.
(১৩)
P.O. Santiniketan
Birbhum
৯।৮।৬৩
ভদ্র,
ধর্মগ্রন্থ– বিশেষ করে মূল text –মাত্রই oceans of salt water. পানীয়-জল বের করতে হলে জানটা পানি হয়ে যায়। কাজেই জরথুস্ত্রি বাবদ অত খাটনি কি সইবে? তবু বলি, প্রথম পড়বে Encyclopaedea of Religion & Ethics-এ Zoroastrianism সম্বন্ধে প্রবন্ধ। তাতে যে biblography আছে সেটা তখন follow up করতে হবে। কিন্তু ERE মোটামুটি ১ম যুদ্ধপূর্ব। পরে ভালো বেরিয়েছে, E. Herzfeld, Zoroaster & his world, Punceton 1947 (USISকে বললে এনে দিতে পারে)।
আর ধর্মচর্চায় যেদিন interest হবে সেদিন কর। ধর্ম আচরণ অন্য জিনিস। সেটাতে যেদিন inte:est হবে সেদিন করবে। অযথা, তেষ্টা না থাকলে, জল খাবার কোনও প্রয়োজন নেই। আমি বড় দুর্বল হয়ে পড়েছি। প্রায় সমস্ত দিন বিছানায় কাটাই। চোখেও ব্যামো। না থাকলেও প্যতুম না। অর্থাৎ চাকরি বজায় রাখার জন্য নিতান্ত যেটুকু কাজ করতে হয় তাই করি। in pain Bengali, আমি এখন দ্বিজেন্দ্রনাথকে অনুকরণ করছি। ভয় শেষটায় না হনুকরণ (arving) হয়ে দাঁড়ায়। শুয়ে থাকি, ক্লাস করি,– (rickshaw যোগে)–ব্যস্!
কবে আসছ? এখন এখানে ভারি সুন্দর। ফিরোজ ভালো আছে।
–আশীর্বাদ জেনো
আ
[দ্বিজেন্দ্রনাথ = দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।]
.
(১৪)
১৪।৮।৬৩
স্নেহাস্পদে,
ধর্মবাবদে সদাই সর্বপ্রথম পড়বে, Encyclopaedea of Religion and Ethics-এ যা জানতে চাও, তা। তখনও তেষ্টা না মিটলে ERE-এ যে bibliography দেবে সেটা follow up করা। তবে দুঃখের বিষয় ইনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে প্রকাশিত হন তার পরের খবর দিতে পারেন না। যদিও এ রকম একখানা Encyclopaedea ত্রিসংসারে নেই। অতি অতি অত্যুত্তম।
অতএব সর্বপ্রথম ওই কেতাবে Zoroastrianism প্রবন্ধটি পড়ে নেবে। বেলভেডেরেতে আছে।
শ-ছয় বোধ হয় দাম। Instalment-এ কেনা যায়। Standard Literature, Esplanade-এ এদের দোকান। বছর পাঁচেক পূর্বে, নতুন কী এক কায়দায় reprint বেরিয়েছে প্রায় ৩০ বৎসর out of print থাকার পর।
নিটশের Zorathustra তার আপন সৃষ্টি। তার সঙ্গে জরথুন্ত্রের কতখানি মিল সেটা আল্লায় মাসুম।
তুমি বোধহয় পাকিস্তান থেকে লেখা– জুন মাসে আমার একখানা চিঠি পাওনি। ফিরোজ এখানে ইস্কুলে পড়ে। মিত্তির এখানে অন্তত দশবার এসে আমার খবর নেয়নি। 1 have been cut, ওকে আর খুঁচিয়ো না। মাস আড়াই ধরে আমি অসুস্থ। ২২ ঘন্টা দিনের বিছানায় কাটাই। হপ্তায় তিন দিন ক্লাস নিই–নান্যপস্থা বিদ্যতে বলে। Organic কোনও trouble নয়। Rest, worst physical weakness, আহারে সম্পূর্ণ অরুচি বলে খেতে পারি না। Weakness-ও যায় না।
—আশীর্বাদক
আ
.
(১৫)
শান্তি
৭।৯।৬৩
স্নেহের দীপংকর,
আমার শরীর ও মন ভালো নয় তাই দীর্ঘ আলোচনাতে কী করে ঢুকি। সত্য বলতে কি পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় লিখতে কষ্ট হয়। না হলে পঞ্চতন্ত্র বন্ধ কেন?
দুই মতই correct যারা তোমার দাদুর শেষদিকের লেখা পছন্দ করতেন না, তারা কোনও রকম serious জিনিস পছন্দ করেন না। অর্থাৎ আমাদের কুসংস্কার, ধর্মের নামে ভণ্ডামি, সামাজিক অনাচার, শাস্ত্রের প্রতি মূঢ় বিশ্বাস, ইত্যাদি বহুবিধ জিনিস নিয়ে তারা আদৌ আলোচনা করতে চান না। দাদু আসর জমিয়ে নিয়ে সেগুলোর hollowness দেখানো, অন্তত তাই নিয়ে একবার চিন্তা করতে প্রলোভিত করার চেষ্টা দেন এবং সেটা pure humour, কভু সামান্য satire, কভু বা reduction ad absurdum পদ্ধতিতে। কাজেই তারা সেগুলো পড়ে সুখ পায়নি।
আর যারা এসব ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করে তাদের sense of humour নেই। কাজেই এসব জিনিস আদৌ পড়ে না।
অন্য লেখকদের কপালেও দুর্ভোগ হয়েছে অন্যান্য দেশে। এদেশে, মনে কর, বিদ্যাসাগরের serious বই এখনও প্রচুর লোকে পড়ে, কিন্তু যেসব লেখা তিনি কস্যচিৎ ভাইপোস্য বেনামিতে লিখেছিলেন সেটা ক-জন পড়ে? সেখানে তিনি ওই রকম ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ (দাদুর চেয়ে অনেক রূঢ়, heartless; বস্তৃত রাজশেখরকে কখনও আমি সামান্যতম রূঢ় বা বেদরদী হতে দেখিনি) করে বিধবা-বিবাহের বিরুদ্ধ মত খণ্ডন করেছেন; মে-মতবাদীদের যেন সমাজের সামনে উলঙ্গ করে নাচিয়েছেন। ঈশ্বরচন্দ্র। তোমার দাদুর মতোই অতিশয় দয়াশীল ছিলেন কিন্তু যেখানে তিনি missionary সেখানে তিনি surgeon-এর মতোই মহেশ ন্যায়রতের (বিধবাবিবাহের দুশমন) পা দু খানা কপাক এম্পুটেটু করেন। দাদু তো মিশনারি নন। তার তো কোনও বিশেষ মতবাদ নেই। তিনি চান মানুষকে liberal হতে, মনের জানালাগুলো খুলে দিতে, একটু re-evaluate করতে, একটুখানি চিন্তা করতে।
Conan Doyle–এরও প্রায় তাই হয়েছিল অন্য ভাবে।
Tolstoy–এরও —। এবং দাঁড়াও না, নিতান্ত unexpected কিছু একটা ঘটলে এদেশে aesthetic sense যে রকম নেমে যাচ্ছে তার ফলে humour সম্পূর্ণ উপে যাবে। গড্ডলিকা, চলীও আর কেউ পড়বে না। Blunt লোকের পক্ষে humour serious, serious in humour, humour in serious, কোনওটাই পড়া হয়ে ওঠে না। এমনকি শার্লক হোম না পড়ে পড়বে মোহন সিরিজ!