৩. ইংরেজের বারির বামনাইয়ের দুটি চূড়ান্ত বেশরম, বেহায়া উদাহরণ পাঠক এস্থলে পাবেন। হিটলার নিরামিষাশী ছিলেন ও তদুপরি তাকে বিশেষ বিশেষ খাদ্য খেতে হত; অর্থাৎ তিনি ডায়েট খেতেন। সেসব বিষয়ে রান্না বড় বড় হোটেলের শেফ রাও স্বাধতে জানে না। তাই ডাক্তারদের আদেশে তাকে নিযুক্ত কতে হয় একটি অতিশয় উচ্চশিক্ষিতা মহিলাকে। ইনি সর্বোচ্চ সম্মানসহ এম.ডি. পাস করার পর বিশেষভাবে স্পেশালাইজ করেন কীভাবে বিশেষ বিশেষ খাদ্য দিয়ে রুগীকে সারানো যায়। (আমাদের কবিরাজ ঠাকুমা দিদিমারা যা করে থাকেন) এবং যারা শীতের দেশে নিরামিষাশী তাদের খাদ্য কীভাবে তৈরি করতে হয় যাতে করে মাছ-মাংসের অভাব পরিপূরণ করা যায়। ইংরেজ এই সম্ভ্রান্ত মহিলাকে বার বার কুক, পাচিকা, রাধুনী বানী, বাবুর্চি বলে তাচ্ছিল্যভরে উল্লেখ করে ব্যঙ্গপি করেছে। তিনি প্রায়ই এর সঙ্গে ডিনার বেতেন। ভাবটা এই, ছোট জাতের হিটলার আর রাধুনী, বাবুর্চি ছাড়া কার সঙ্গে হৃদ্যতা করবে! এবং সঙ্গে সঙ্গে অকস্মাৎ ইংরেজের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায় এবং মহিলার পাণ্ডিত্যের কথা বলতে বেবাক ভুলে যায়। এবং ভুলে যায় বলতে, মহিলাতে-হিটলারেতে খেতে খেতে মোচার ঘন্টে কতখানি গুড় দিতে হয় সে নিয়ে আলোচনা হত না। আলোচনা হত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান নিয়ে।… এবং পূর্বেই বলেছি, লিঙের শিক্ষাদীক্ষা পদমর্যাদা ভুলে গিয়ে ঠিক এই উদ্দেশ্য নিয়ে ভ্যালে চাকর নামে তাকে হীন করার চেষ্টা করেছে। …হিটলারের আদেশ সত্ত্বেও তিনি লিঙেই মতো হিটলারকে ত্যাগ করতে সম্মত হননি। আমার যতদূর জানা, তিনি বার্লিনে নিহত হন। প্রভুভক্তির ফলস্বরূপ।