- বইয়ের নামঃ দ্য মহাভারত কোয়েস্ট : দ্য আলেকজান্ডার সিক্রেট
- লেখকের নামঃ ক্রিস্টোফার সি ডয়েল
- বিভাগসমূহঃ অনুবাদ বই
দ্য মহাভারত কোয়েস্ট : দ্য আলেকজান্ডার সিক্রেট
০. কৃতজ্ঞতা স্বীকার / মুখবন্ধ
দ্য মহাভারত কোয়েস্ট : দ্য আলেকজান্ডার সিক্রেট
মূল : ক্রিস্টোফার সি ডয়েল / অনুবাদ : মাসুম আহমেদ আদি
THE MAHABHARATA QUEST The ALEXANDER SECRET By CHRISTOPHER C DOYLE
দ্য মহাভারত কোয়েস্ট : দ্য আলেকজান্ডার সিক্রেট
মূল : ক্রিস্টোফার সি ডয়েল / অনুবাদ : মাসুম আহমেদ আদি
হাতের মাঝে চকচক করে উঠল উজ্জ্বল রত্ন;
চোখ নামালেন কাইজার; পেয়ে গেছেন যা ছিল কাঙ্ক্ষিত
রূপার মত
দৃশ্যমান হয়ে উঠল এ ঝর্না,
যেন পাথরের মধ্যে থেকে প্রবাহিত হচ্ছে এক রুপালি ধারা।
ঝর্না নয়-তার থেকেও বেশি কিছু;
কিংবা এ অগ্নিশিখা-আলোর ঝর্নাধারা।
কেমন দেখায় প্রভাতের তারা?
ভোরের আলোয় যেমন প্রভাতের তারা–
এটাও তেমন।
কেমন দেখায় রাতের ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের কিরণ?
এটাও তেমন।
কারণ চাঁদের চেয়েও বৃহৎ।
CANTO LAXIX-ESKANDAR NAMA
.
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
অসংখ্য ব্যক্তির কাছে ঋণী এই বই; যাদের সাহায্য ছাড়া হয়ত এর কোনো অস্তিত্বই থাকত না। তাই এই লেখার মাধ্যমে তাঁদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তার আগে, বছরব্যাপী গবেষণা আর লেখালেখির কারণে আমার দীর্ঘ অনুপস্থিতি মেনে নেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি পরী শর্মিলা আর কন্যা শায়নায়াকে। তাদের সমর্থন আর সহযোগিতা ছাড়া কখনোই লিখতে পারতাম
এই বই। প্রথম বইয়ের মত এবারেও, বিশেষ করে পুরাণ আর ইতিহাস নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে শায়নায়া।
ফাইনাল পান্ডুলিপি পড়ে, নিজ লক্ষ্যে অটুট থাকতে মূল্যবান সব মন্তব্য দিয়ে এই বইকে সাহায্য করেছেন আর্তিকা বকশি, আশা মিশিগান এবং আমার স্ত্রী শর্মিলা।
কতজ্ঞ ডব্লিউ এইচ ও রিজিওনাল অফিস ফর সাউথ ইস্ট এশিয়ার ডিপার্টমেন্ট ফর কমিউনিকেবল ডিজিসের ডিরেক্টর ডা. রাজেশ ভাটিয়া কাছে, যিনি অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে বিজ্ঞানের বিভিন্ন থিওরি নিয়ে আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যত্ন সহকারে পড়েছেন পান্ডুলিপি, আর শুধরে দিয়েছেন বিভিন্ন ভুল-ক্রটি। উনার সহযোগিতা পেয়েই নিখুঁত হয়ে উঠেছে বইয়ে তুলে ধরা বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত্র ঘটনা, আলোচনা এবং সাক্ষী প্রমাণ। তবে বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদির সাহায্যে সর্বশেষ ব্যাখ্যা আর অনুমান গঠন করা হলেও, এর মানে এই নয় যে আমার সমস্ত প্রকল্প আর থিওরি সম্পর্কেও উনি একমত পোষণ করেছেন।
মিসেস জ্যোতি ত্রিবেদী এবং মিসেস আশা মিশিগান, সংস্কৃত ভাষায় অত্যন্ত দক্ষ এই দুজন আমাকে ধৈর্য ধরে ব্যাখ্যা করেছেন প্রকৃত শ্লোক আর শুধরে দিয়েছেন এগুলোর অর্থ।
চমৎকার প্রচ্ছদের নকশা করেছেন আনন্দ প্রকাশ। ফলে জীবন্ত হয়ে উঠেছে পাতার পর পাতা মেলে ধরা গল্প।
অসংখ্য ধন্যবাদ জেরাল্ড নর্ডলী, জ্যাকুলিন শুম্যান, ফিলিস আইরিন র্যাডফোর্ড, কেভিন এন্ড্রু মারফি, ক্রিস্টি মার্কস, প্যাট ম্যাক ইওয়েন, ব্যারিট ফার্থ আর ডেভ ট্রবিজ ও লেখকদের গবেষণা দলের আমার সকল সহকর্মীবৃন্দ, যারা গবেষণার অতীত আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে এর নির্ভুলতা।
বইয়ে ব্যবহৃত মানচিত্র আর লোকেশন সৃষ্টির মাধ্যমে দু’হাজার বছর আগে আলেকজান্ডারের রুট তুলে ধরেছেন মায়াঙ্ক মেহতা। আমার বর্ণনাগুলোকে জীবন দান করেছে প্রিয়াঙ্কার গুপ্তের নিখুঁত চিত্র।
ওয়েস্টল্যান্ডের সবাইকে জানাচ্ছি আ বিগ থ্যাংক, বিশেষ করে গৌতম পদ্মনাভন, যিনি ফাইনাল পাণ্ডুলিপি পড়ে প্লট আর গল্পের জন্য মূল্যবান সব মন্ত ব্য দিয়েছেন। আমার সম্পাদক সংঘমিত্র বিশ্বাস, যিনি আমার লেখাকে ঘষামাজা করে তুলে ধরেছেন এর সত্যিকারের সৌন্দর্য।
গবেষণার কাজে ব্যবহৃত সব বই, ব্লগ, আর্টিকেল আর ভিডিওর কথা লিখতে গেলে হয়ত আরেকটি বই হয়ে যাবে; তবে এর প্রতিটি রেফারেন্সের কাছেই আমি অসম্ভব কৃতজ্ঞ। আমার চিত্রিত কল্পের পেছনকার বিজ্ঞান আর ইতিহাস সম্পর্কে অসংখ্য তথ্য ছাড়া অসম্ভব হয়ে পড়ত এসব থিওরি; বিভিন্ন প্রমাণ আর গবেষণার কারণেই সহজতর হয়ে গেছে এ কাজ।
অবশেষে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি কাঁধে তুলে নিচ্ছি এই বইয়ের সমস্ত ত্রুটি এবং কাহিনি বর্জনের দায়।
.
মুখবন্ধ
৩১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
পারস্যের গ্যাবিয়েন, বর্তমান ইরান
জেলখানার তাঁবুতে বিছানায় বসে নিজের দুর্ভাগ্য নিয়ে আক্ষেপ করছেন ইউমিনেস। দোড়গোড়ায় কড়া নাড়ছে মৃত্যু। বন্দী হয়েছেন সেই একচোখা অ্যান্টিগোনাসের হাতে, যার বিরুদ্ধে আগেও তরবারি হাতে লড়াই করেছেন। অথচ এবারের শেষ যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার হয়েছেন তিনি। অ্যান্টিগোনাসের অপহরণকৃত ব্যাগেজ ট্রেনের বিনিময়ে এক-চোখা জেনারেলের হাতে তুলে দিয়েছে তারই নিজের প্রাদেশিক শাসনকর্তার দল।
বহুদিনের তিক্ত বৈরিতার সমাপ্তি হিসেবে জনসমক্ষেই ইউমিনেসকে বন্দী করার আনন্দ উৎসব উদযাপন করেছে অ্যান্টিগোনাস। কিন্তু দিন শেষে সূর্যাস্তের পরে আবার একান্তে ইউমিনেসের সাথে দেখা করতেও এসেছে।