আর্থার আর স্ট্যানলি দেখল ওয়েনের দিকে তাকিয়ে হাসছে অলিভা। নির্ভরতার হাসি। যেন জানে আজই শেষ, আর কোনদিনও ওকে ছেড়ে যাবে না ওর পছন্দের মানুষটা।
নিঃশব্দে বিদায় নিয়ে চলে গেল বার্ট আর্থার, দরজা খুলে হেনরিখ বিউয়েলের ঘরে এক পা ঢুকে থমকে দাঁড়াল ডেপুটি। বিছানায় ঘুমিয়ে আছে অ্যাডাম।স্ট্যানলির দিকে পেছন ফিরে বসে আছে রোসা আর জোডি। ওরা দুজন দেখতে পায়নি ওকে।
আমার জন্যই ওর এই অবস্থা, ফিসফিস করে বলল জোডি।
ভাই যে ভাইকে এত ভালবাসে আগে কখনও দেখিনি, বলল রোসা।
আমিও জানতাম না। সম্পত্তি বাড়াবার দিকে ওর এত খেয়াল দেখে ওকে সাধারণ এক স্বার্থপর লোক হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম।
এখন তাহলে চিনলে?
পকেট থেকে অ্যাডামের লিখে দেয়া কাগজটা বের করল জোডি। কয়েকটানে ছিড়ে ফেলল কুচি কুচি করে।
কি করছ? প্রশ্ন করল রোসা।
ভাইয়ের কাছে অনেক পেয়েছি, বাপের সম্পত্তি দখল করার কোন দরকার নেই আমার। কোনদিন ওর কথার অবাধ্য আর হব না। ও যা দেবে তাতেই আমি খুশি।
চুপ করে অ্যাডামের মুখের দিকে তাকিয়ে বসে রইল ওরা দুজন।
নিঃশব্দে দরজা ভিড়িয়ে দিয়ে স্টোরের সামনের সিঁড়িতে এসে বসল স্ট্যানলি। একটা সিগারেট ধরাল। প্যাট্রিক হলের ওয়ালেট থেকে পাওয়া দুটো কাগজ বের করল পকেট থেকে। ম্যাচের কাঠি জ্বেলে, পুড়িয়ে ছাই করে দিল।
দূরে কয়োট ডাকছে। কিচেনে নিচু গলায় হাসল অলিভা আর ওয়েন। চারটা মৃতদেহ পড়ে আছে বার্নে। আকাশ থেকে খসে পড়ল একটা উল্কা। পৃথিবীতে নিজেকে ভীষণ একা মনে হচ্ছে স্ট্যানলির। এখানে কাজ শেষ। কাল আবার রওনা হয়ে যাবে সে। শেরিফ লেম্যানের সাথে খুঁজে বের করবে আরেক খুনী–স্পাইক হাননাকে। স্টোরের দরজায় মাথা ঠেকিয়ে একদৃষ্টিতে রাতের তারাভরা আকাশে চোখ রাখল সে। ঠোঁটে ঝুলছে বিষণ্ণ একটুকরো হাসি।