.
অজানা আততায়ীর হাতে তোমার বাবা নিহত হওয়ায় আমরা আন্তরিক দুঃখিত স্টপ কবর দেয়ার ব্যবস্থা করব স্টপ জোডির ঠিকানা জানলে তাকেও জানাও।
জ্যাক হিগিনস।
.
দ্বিতীয় টেলিগ্রামে ক্যাটল কোম্পানীকে র্যাঞ্চারের মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে আরও বলা হলো:
অ্যাডাম পশ্চিমে ক্যাটল সহ রওয়ানা হয়ে গিয়ে থাকলে দয়া করে ট্রেনের কণ্ডাক্টরের মাধ্যমে খবরটা ফরোয়ার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা কোরো।
.
অ্যাডাম খবরটা পেলে মালগাড়ি ছেড়ে মেইল ট্রেনে চলে আসতে পারবে ফিউনারালের আগেই, ডেপুটিকে ব্যাখ্যা দিল লইয়ার।
টেলিগ্রাম দুটো পাঠাতে রোসা অফিস ছেড়ে চলে যাওয়ার পর স্ট্যানলি জিজ্ঞেস করল সে কোনও সাহায্য করতে পারে কিনা।
তুমি জানো জোডি বেঞ্চলি কোথায়?
মাথা নাড়ল ডেপুটি। ডেনভার থেকেও একজন এসেছে ওকে খুঁজতে। বক্স বিতেও গিয়েছিল। কিন্তু এমনকি বিলি বেঞ্চলিও জানত না। তার ছোট ছেলে কোথায়।
ডেনভারের লোকটার নাম কি?
প্যাট্রিক হল। লোকটা বোধহয় জোডির কাছে টাকা পায়। র্যাঞ্চার মারা যাওয়ার দশ ঘণ্টা আগে বক্স বিতে গিয়েছিল সে।
হুম, টাক চুলকাল লইয়ার। ওই লোকও র্যাঞ্চারকে খুন করে থাকতে পারে।
উঁহু, মাথা নাড়ল স্ট্যানলি। আমি বিউয়েলদের জিজ্ঞেস করে জেনেছি ওদের ওখানেই রাত কাটিয়েছে প্যাট্রিক হল। লোকটা .৩৮। ব্যবহার করে, কিন্তু র্যাঞ্চার খুন হয়েছে .৪৫-এর গুলিতে। তাছাড়া…
তাছাড়া কি?
হিউ হুবার্টকে ধরতে পারিনি। ধরন দেখে মনে হয় কাজটা তার। দুবছর আগে জুলসবার্গেও এক ডাক্তার আর তার বউকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছিল লোকটা। এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে এই কাউন্টিতে। সে যদি মনে করে থাকে র্যাঞ্চার তার পরিচয় জেনে ফেলেছে।
প্যাট্রিক হল লোকটা এখনও ফেরিসেই আছে? থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করল জ্যাক হিগিনস।
না, রলিন্সে এসে হোটেল ম্যাক্সওয়েলে উঠেছে। পকেট থেকে, একটা কাগজ বের করে লইয়ারের দিকে বাড়িয়ে ধরল সে। প্যাট্রিক হল ট্রেন থেকে নামার পর টেলিগ্রাফার তাকে এটা দিয়েছিল বিলি বেঞ্চলিকে পৌঁছে দেয়ার জন্য। পৌঁছে দিয়েছে সে। তদন্তের জন্য আমি যখন যাই টেলিগ্রামটা ভোলা অবস্থায় হলঘরের টেবিলে পড়ে ছিল।
কাগজের লেখাগুলো পড়ার পর কালো হয়ে গেল জ্যাক হিগিনসের চেহারা। টাক চুলকে বলল, স্ট্যানলি, আরেকবার বলো ঠিক কখন কোন্দিন মারা গেছে বিলি বেঞ্চলি।
বারো তারিখ, আন্দাজ রাত তিনটার দিকে।
খারাপ ব্যাপার হয়ে গেল, স্ট্যানলি, খুব জঘন্য আইনের প্যাচে পড়ে। গেলাম, মাথা চুলকে বলল লইয়ার। জোডি চলে যাওয়ার পর অসুখে পড়ে আমাকে দিয়ে উইল লিখিয়েছিল র্যাঞ্চার। ক্যাটল আর র্যাঞ্চ বড়। ছেলে অ্যাডাম আর সমস্ত টাকা ছোট ছেলে জোডিকে দিয়ে গেছে সে। মরার সময় র্যাঞ্চারের ক্যাটল বেচা টাকা ছিল প্রচুর, কিন্তু ক্যাটল ছিল না একটাও।
লইয়ারের কাছ থেকে টেলিগ্রামটা নিয়ে আরেকবার পড়ল স্ট্যানলি। মনে তো হয় টাকাগুলো দিয়ে ক্যাটল কেনা হয়ে গেছে। ট্রেনে করে ওগুলোকে পাঠিয়েও দেয়া হয়েছে।
তাতে কিছু যায় আসে না, আইন দেখবে মরার সময় র্যাঞ্চারের সম্পত্তি কোন অবস্থায় ছিল। আমাকে আইনগত ঝামেলা মেটাতে উইলে দায়িত্ব দেয়া আছে। ঘটনা যা দাঁড়াচ্ছে তাতে তো বাবার সম্পত্তি থেকে অ্যাডাম বেঞ্চলি বঞ্চিত হবে, র্যাঞ্চের কয়েক একর জমি ছাড়া সবকিছুই পাবে জুয়াড়ী জোডি বেঞ্চলি।
ওদের দুজনকে সমান ভাগ দেয়ার কোনও রাস্তা নিশ্চয়ই আছে, বিড়বিড় করল স্ট্যানলি।
থাকলেও আমার জানা নেই। জোডি চাইলে সবকিছুই অ্যাডামের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে। বাবা মরায় তার তো লাভই হয়েছে!
তুমি বলতে চাইছ জোডির হাত ছিল?
আমি কিছুই বলতে চাইছি না, আর কারও তো কোনও স্বার্থ দেখছি না।
পাওনাদারের স্বার্থ আছে, চিন্তিত কণ্ঠে বলল স্ট্যানলি। প্যাট্রিক হল। শক্ত অ্যালিবাই আছে লোকটার, কিন্তু হিউ হুবার্টকে টাকা দিয়ে কাজটা করিয়ে নিয়ে থাকতে পারে।
প্যাট্রিক হলের ব্যাপারে আলাপ করছিলে তোমরা?খোলা দরজায় দাঁড়িয়ে কৌতূহল প্রকাশ করল রোসা। এইমাত্র টেলিগ্রাম দুটো পাঠিয়ে দিয়ে ফিরে এসেছে সে।
ভাতিজির প্রশ্নে ভ্রূ কুঁচকে গেল লইয়ারের। তুমি তাকে চেনো? হ্যাঁ, আমরা একই ট্রেনে এসেছি। এইমাত্র রাস্তায় তার সাথে আবার দেখা হলো। রলিন্সে কদিন থাকবে জিজ্ঞেস করাতে বলল জোডি বেঞ্চলি আসার আগ পর্যন্ত আছে।
তাহলে বোধহয় বহুদিন থাকতে হবে ওকে, রোসার দিকে তাকিয়ে হাসল লইয়ার।
মিস্টার হলের ধারণী ডেনভার বা শাইয়্যানের পেপারে খবরটা। পড়ে ছুটে আসবে জোডি বেঞ্চলি।
লোকটার ধারণা ভুল নয়, স্বীকার করল স্ট্যানলি।
লইয়ারও মাথা ঝাঁকাল। ওয়াইয়োমিঙের সবচেয়ে বড় র্যাঞ্চারের খুন হওয়া পেপারগুলোর ভাগ্য! হেডলাইন করবে ওরা বড় টাইপে। খবরটা চোখে পড়তেই কত টাকা বাগানোনা যাবে জানতে ছুটে আসবে জোডি। প্যাট্রিক হল ঠিকই বলেছে, রলিন্সে থাকলেই বড়শিতে মাছ গাঁথতে তার সুবিধা হবে।
ফেরিসে আরও অনেক কিছু ঘটে গেছে, নীরবতা ভাঙল স্ট্যানলি। গোলাগুলির ব্যাপারটা খুলে বলে জোসেফ ওয়েনের সংগ্রহ করা প্রথম চিঠিটা লইয়ারকে দেখাল।
চিঠি পড়া শেষে মুখ তুলে তাকাল জ্যাক হিগিনস। লরা নামের কোনও মেয়েকে চেনো?