সোনার খবর, আগেই আমার কানে আসে। ডজ সিটি থেকেই ওদের অনুসরণ করি। ব্যাংক থেকে তোলার সময় সোনার পরিমাণ জেনে নিয়েছিলাম।
কিন্তু ওরা আমাকে বোকা বানিয়ে দেয়। হামলা চালানোর আগেই কোথাও পুঁতে ফেলে সব সোনা। এদিকে যে কোনওখানে হতে পারে মুশকিল হয়েছে সেখানেই। ট্রেইলের ধারে কাছে কোথাও, জানি, কিন্তু অনেক খোঁড়াখুঁড়ি করেও পরে পাইনি! তবে পাব-আর কাউকে হাত দিতে দেব না!
জমি কিনতে চেয়েছি কেন, জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, না? লাভের জন্যে তো বটেই! কিন্তু আমার আসলে দরকার ছিল এ-এলাকাটা, যাতে ভালো করে সোনার খোঁজ করতে পারি। থিভিং রক আর এই পাহাড়ের মাঝামাঝি কোথাওই সোনাটা থাকতে বাধ্য।
মাথা দোলাল কেড্রিক। এবার সব কিছু পরিষ্কার হচ্ছে। বারউইক, পিস্তল ফেলল! ধরা দাও!
বিরস কণ্ঠে হাসল বারউইক। ধোকা দিচ্ছ? জানতাম চেষ্টা করবে! সাহস, আছে বলতে হয়! তুমি পিস্তল ফেলো, কেড্রিক, নইলে মালাইচাকি গুঁড়িয়ে দেব?
লোকটা গুলি করবে, বুঝতে পারছে ক্যাপ্টেন কেড্রিক। বারউইকের পিস্তলের ওপর থেকে চোখ না সরিয়ে পিস্তল ওঠাল ও। ঠাণ্ডা মাথায় ট্রিগার টিপল, বারউইক গুলি করার ঠিক আগমুহূর্তে। গুলিটা বারউইকের পিস্তলধরা হাতের বুড়ো আঙুল ঘেঁষে পেটের একপাশে ঢুকল।
কেঁপে উঠল তার বিশাল শরীর, বেঁকে গেল ঠোঁটজোড়া। বিস্ফারিত দৃষ্টিতে পলের পিস্তলের দিকে তাকাল। গুলি করার জন্যে পিস্তল ওঠাল। অবিচল হাতে আবার ট্রিগার টিপল কেড্রিক। একবার, দুবার। থপ থপ শব্দে বারউইকের শরীরে আশ্রয় নিল বুলেটগুলো। রক্ত সরে শাদা হয়ে গেল লোকটার মুখ হাত থেকে পিছলে পড়ল পিস্তলটা। এগিয়ে এসে ওকে ধরে ফেলল কেন্দ্রিক, শুইয়ে দিল আস্তে করে। বারউইকের থলথলে গাল শাদা হয়ে গেছে। বোকার মতো ওর দিকে তাকাল সে। কী হলো? ওটা-ওটা?।
এটা ওয়েলশ টুয়েলভ-শট-নেভী-পিস্তল, বুঝিয়ে দিল কেড্রিক। পয়েন্ট ফোর-ফোর রাশানের বদলে কদিন হলো এগুলো সঙ্গে রাখছি।
ওর দিকে তাকিয়ে আছে বারউইক, দৃষ্টিতে বিদ্বেষের লেশমাত্র নেই। চালাক! বলল সে। সত্যি চালাক ছেলে তুমি। বরাবর এক চাল এগিয়ে রইলে! তোমার হবে বাছা, তোমার হবে!
.
বৃষ্টি থেমে গেছে। উত্তাপ ছড়াচ্ছে সূর্য।
মাস্ট্যাং।
দ্বিতীয়বার আহত হওয়ার পর আবার হাঁটার শক্তি ফিরে পেয়েছে ক্যাপ্টেন পল কেড্রিক। সামান্থা ফক্সের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে ও। ওদের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে লরেছো শ্যাড। স্যুটটায় কিন্তু চমৎকার মানিয়েছে তোমাকে, পল। ভালো কথা, তোমাদের কি ফিরতে দেরি হবে?
নাহ! স্যান্তা ফে-তে বিয়েটা সেরেই মগোলন-এ র্যাঞ্চ করতে ফিরে আসব আমরা।
সোনার খোঁজে বের হচ্ছ না কেন, বুঝলাম না, লরেডোর কণ্ঠে অভিযোগ। তবে বারউইকের কাৰ্গজপত্রই আসল জিনিস। এবার ঠিক গর্ত খুঁজতে শুরু করবে কামিংস। যাই বলো, সোনার জন্যে কিন্তু সত্যি খারাপ লাগছে।
আমার লাগছে না, বলল সামান্থা। ওই সোনার জন্যে এমনিতেও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। সোনার লোভে বারউইক সহ কতগুলো লোক মারা গেল। তার চেয়ে যেভাবে আছে, সেভাবেই থাক ওই সোনা। ভালো কোনও লোক হয়তো একদিন ওগুলো খুঁজে পাবে-সৎ কাজে লাগাবে।
হায় হায়! হঠাৎ বলে উঠল লরেডো। আমাকে যে যেতে হয়! স্যুর সঙ্গে দেখা করার সময় বয়ে গেল। চলি, হ্যাঁ!
শ্যাডের গমন পথের দিকে তাকিয়ে রইল পল, আর সামান্থা। স্টেজ আসবে একটু পর।
শান্ত মাস্ট্যাং–খুন খারাবী ছাড়া পুরো তিনটি দিন কেটে গেছে।