কাউন্ট ইলিয়া রস্তভ
কাউন্টেস নাতালি রুস্তভা, ঐ স্ত্রী
কাউন্ট নিকলাস রস্তভ (নিকোলেংকা), ঐ বড় ছেলে
কাউন্ট পিতর রস্তভ (পেতয়া), ঐ ছোট ছেলে
কাউন্টেস ভেরা রস্তভ, ঐ বড় মেয়ে
কাউন্টেস নাতালি রস্তভা (নাতাশা), ঐ ছোট মেয়ে
সোনিয়া, রস্ত পরিবারের আশ্রিতা
বের্গ, আলফোঁস কালিচ, জার্মান বংশোদ্ভুত জনৈক অফিসার, পরে ভোর স্বামী
বলকনস্কি-পরিবার
প্রিন্স নিকলাস বলকনস্কি অবসরপ্রাপ্ত সেনাপতি-প্রধান
প্রিন্স আলু বলকনস্কি, ঐ ছেলে
প্রিন্সেস মারি বলকনস্কায়া, ঐ মেয়ে
প্রিন্সেস এলিজাবেথ বলকনস্কায়া (লিজে), আন্দ্রুর স্ত্রী
তিখন, প্রিন্স এন, বলকনস্কির খানসামা
আলপাতি, ঐ নায়েব
কুরাগিন-পরিবার
প্রিন্স ভাসিলি কুরাগিন
প্রিন্স হিপোলিৎ কুরাগিন, ঐ বড় ছেলে
প্রিন্স আনাতোল কুরাগিন, ঐ ছোট ছেলে
প্রিন্সেস হেলেন কুরাগিনা (লেলিয়া),ঐ মেয়ে, পরে পিয়েরের স্ত্রী
প্রিন্সেস আন্না মিখায়লভ দ্রুবেৎস্কায়া
প্রিন্স বরিস বেক্রয় (বরি), ঐ ছেলে
জুলি কুরাগিনা, বরিসের স্ত্রী
বিলিবিন, কূটনীতিবিদ
দেনিসভ, ভাসিলি দিমিত্রিচ, হুজার অফিসার
লাভ্রুশকা, ঐ সহিস
দলখভ (ফেদিয়া), জনৈক বেপরোয়া অফিসার
কাউন্ট রস্তপচিন, মস্কোর শাসনকর্তা
শিনশিন, কাউন্টেস রস্তভার আত্মীয়
তিমখিন, পদাতিক বাহিনীর অফিসার
তুশিন, গোলন্দাজ বাহিনীর অফিসার
প্লাতন কারাতে, জনৈক চাষী
.
প্রধান প্রধান ঘটনাবলির তারিখ
প্রথম খণ্ড :
১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ ১১ই অক্টোবর কুতুজভ ব্রাউনাউ-এর নিকটে সেনাদল পরিদর্শন করল
২৩শে অক্টোবর রুশবাহিনীর এনস নদী অতিক্রম
২৪শে অক্টোবর আমসতেতেন-এ যুদ্ধ
২৮শে অক্টোবর রুশ বাহিনীর দানিয়ুব নদী অতিক্রম
৩০শে অক্টোবর দুরেনস্তিন-এ মতিয়ের-এর পরাজয়
৪ঠা নভেম্বর নেপোলিয়ন শোন থেকে মুরাণকে চিঠি লিখল, শোন গ্ৰেবার্ন-এর যুদ্ধ
১৯শে নভেম্বর অস্ত্রালিজ-এ সমর-পরিষদের বৈঠক
২০শে নভেম্বর অস্তারলিজ-এর যুদ্ধ
১৮০৭ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে জানুয়ারি প্রুশিসঙ্ক-আইলাউ-এর যুদ্ধ
২রা জুন ফ্রিডল্যান্ড-এর যুদ্ধ
১৩ই জুন তিলসিট-এ দুই সম্রাটের সাক্ষাৎ
দ্বিতীয় খণ্ড
১৮১২ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই মে নেপোলিয়নের ড্রেসডেন ত্যাগ
১২ই জুন নেপোলিয়নের নিয়েমেন অতিক্রম করে রাশিয়ায় প্রবেশ
১৪ই জুন আলেক্সান্দার বলাশেভকে নেপোলিয়নের কাছে পাঠাল
১৩ই জুলাই অস্ত্রভনাতে পাভলোগ্রাদ হুজারদের যুদ্ধ
৪ঠা আগস্ট আলপাতিচ স্নোলেন-এ কামানের গর্জন শুনতে পেল
৫ আগস্ট স্মোলেনঙ্কের উপর গোলাবর্ষণ
৭ আগস্ট প্রিন্স নিকলাস বলকনস্কির বন্ড হিলস ছেড়ে বোণ্ডচারভো যাত্রা
৮ই আগস্ট কুতুজভের প্রধান সেনাপতিপদে নিয়োগ
১০ই আগস্ট প্রিন্স আন্দ্রুর সেনাদলের বন্ড হিলসের অদূরে অবস্থান
১৭ই আগস্ট কুতুজভ কর্তৃক সেনাবাহিনীর ভার গ্রহণ, নিকলাস বোগুচারভো পৌঁছল
২৪শে আগস্ট শেভার্দিনো দুর্গের যুদ্ধ
২৬শে আগস্ট বরদিনোর যুদ্ধ
তপন রুদ্র
.
প্রথম পর্ব – অধ্যায় : ১
আচ্ছা প্রিন্স, তাহলে তো জেনোয়া ও লুক্কা এখন বোনাপার্তদের পারিবারিক সম্পত্তি বিশেষ। কিন্তু আমি আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছি, একেও যদি আপনি যুদ্ধ না বলেন, এখনো যদি সেই খ্রিস্টবৈরীর–আমি সত্যি বিশ্বাস করি যে সে লোকটি খ্রিস্টবৈরী–জঘন্য আচরণ ও সন্ত্রাসকে সমর্থন করেন, তাহলে আপনার সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না, আপনি আমার বন্ধু থাকবেন না, বা আপনি যে নিজেকে আমার বিশ্বস্ত দাস বলে প্রচার করে থাকেন তাও আর থাকবেন না। কিন্তু আপনার হল কী? মনে হচ্ছে আপনাকে খুব ভয় পাইয়ে দিয়েছি–বসে পড়ুন, আর সব খবর আমাকে খুলে বলুন।
১৮০৫ সালে জুলাই মাস, বক্তা খ্যাতনামা আন্না পাভলভনা শেরার, ভদ্রমহিলা সম্রাজ্ঞী মারিয়া ফিয়দরভনার প্রধান ও প্রিয় সখী। কথাগুলো বলা হল প্রিন্স ভাসিলিকে, ভদ্রলোক উচ্চপদমর্যাদার অধিকারী, আজকের বৈঠকে সেই প্রথম সমাগত অতিথি। আন্না পাভলভনা কয়েকদিন যাবৎ কাশিতে ভুগছে। মহিলা নিজে অবশ্য বলেছে যে সে লা গ্রিপ্পেতে ভুগছে, গ্রিপ্পে কথাটা সেন্ট পিটার্সবুর্গে নতুন আমদানি হয়েছে, শুধু ভদ্রলোকরাই কথাটা ব্যবহার করে থাকে।
তার সব আমন্ত্রণপত্রই ফরাসি ভাষায় লেখা; সকালেই সেগুলো বিলি করে এসেছে লাল পোশাকপরা পরিচারক; তাতে লেখা ছিল :
কাউন্ট (অথবা প্রিন্স), আপনার হাতে যদি কাজ না থাকে আর একটি অসহায় পঙ্গু মানুষের সঙ্গে সন্ধ্যাটা কাটানো যদি ভয়ঙ্কর বলে মনে না করেন, তাহলে আজ রাতে ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে আপনার দর্শন পেলে খুবই আনন্দিত হব–আন্নেৎ শেরার।
মহিলাটির কথায় বিন্দুমাত্রও ক্ষুব্ধ না হয়ে প্রিন্স বলল, হা ঈশ্বর! কী তীব্র আক্রমণ! এই মাত্র সে ঘরে ঢুকেছে; পরনে নকশা-করা দরবারি পোশাক, ব্রিচেস আর জুতো, বুকে অনেকগুলো তারকা আঁটা; চ্যাপ্টা মুখে গাম্ভীর্যের প্রকাশ। সে কথা বলল সেই চোস্ত ফরাসিতে যে ভাষায় আমাদের পূর্বপুরুষরা শুধু কথাই বলত না, চিন্তাও করত, সমাজর উঁচু মহলে ও দরবারের পরিবেশে মানুষ হওয়া মর্যাদাসম্পন্ন লোকের মতো তার কথা বলার ভঙ্গি। আন্না পাভলাভনার কাছে এগিয়ে গিয়ে তার হাতে চুমো খেয়ে প্রিন্স তার সুগন্ধী, চকচকে টাকটাকে এগিয়ে দিয়ে মৌজ করে একটা সোফায় বসল।