আজ রাতেই, পোলার্ড জানিয়ে দিল। আমি আপনাকে আপনার প্লেন ধরিয়ে দেব।
না তার আর দরকার হবে না, ধন্যবাদ। স্কানেটের অস্বীকার। আমি ভাবছি আমি নিজেই ড্রাইভ করে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যাব। আর এই চেক দিয়ে জুয়ার দান মারব।
পোলার্ড বলল, তা আমার লক্ষ্য থাকবে। কিন্তু এখন তার মনে হলো স্কানেটকে তার শক্তি ও প্রভাব দেখানোর প্রয়োজন। পোলার্ড সতর্ক করে দিল, আমি আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই, লস অ্যাঞ্জেলেসে যদি আপনাকে কখনো দেখা যায় তবে অবশ্যই অ্যারেস্ট করা হবে এবং টাকা আদায় করা হবে।
স্কানেটের লাল মুখ উচ্ছলিত হয়ে উঠল। বলল, আমি সেটাই পছন্দ করব। আমিও অ্যাথেনার মতো বিখ্যাত হতে চাই।
সেই রাতে পোলার্ডের নিরীক্ষণ দল রিপোর্ট করল–বজ স্কানেট ওশেন এভিনিউ ছাড়লেও বেভারলি হিলস হোটেলে গিয়ে উঠেছিল। সেখানে সে পঞ্চাশ হাজার ডলারের চেকটি দি ব্যাংক অব আমেরিকার একটি অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করেছে। এই রিপোর্টের মাধ্যমে পোলার্ড নিশ্চিত হলো যে, স্কানেটের ওপর কিছুটা হলেও তার প্রভাব পড়েছে।
পোলার্ড এই তথ্যগুলো রিপোর্ট আকারে ববি বানজের কাছে পাঠাল এবং পরবর্তী নির্দেশনার আহ্বান জানাল। এ বিষয়ে আর কোনো উচ্চবাচ্য না করার নির্দেশ দিল বানজ। এরপর স্কানেটের স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রটি অ্যাথেনার কাছে পাঠানো হলো। স্টুডিওতে আবারো অ্যাথেনার ফিরে আসার নিশ্চয়তা দিতে যে এমন কৌশলের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা বোঝাতেই এই চুক্তিপত্রের প্রদর্শন। কিন্তু চুক্তিপত্রটি দেখে যে অ্যাথেনা হেসেছিল তা বানজ ও পোলার্ড কেউ বুঝেনি।
পোলার্ড বলল, তুমি চেকটি বাতিল করে ফেলতে পারো।
না, বানজের নেতিবাচক জবাব। সে ক্যাশ ভাঙবে আর সাথে সাথেই আমরা তাকে জালিয়াতির মামলায় ফাঁসিয়ে দেব। আমি শুধু চাই অ্যাথেনা যেন না জানুক যে স্কানেট এ শহরেই আছে।
অ্যাথেনার জন্য আমি ডাবল-সিকিউরিটি বসাব। পোলার্ড বলল। যদি সে উচ্ছল হয়ে ওঠে এবং সত্যিই যদি তার ক্ষতি করতে চায়, তবে কোনোভাবেই তাকে আটকানো যাবে না।
স্কানেট একজন প্রতারক। বানজ বলল, তার এমন ঘটনা প্রথম নয়। এত কিছুর পরেও সে এই প্রতারণা করল কেন?
আমি তোমাকে বলছি কেন। পোলার্ড বলল। আমরা তার কক্ষে চুপিসারে ঢুকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি। জানো কি পেয়েছি। একটি কন্টেইনার ভর্তি অ্যাসিড।
ওহ শিট, বানজ প্রায় আঁৎকে উঠল। বলল, বিষয়টি কি পুলিশকে জানানো যায় না? অন্তত জিম লুজিকে তো জানানো যায়।
পোলার্ড বলল, এসিড রাখা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ নয়। বরং চুপিসারে তার কক্ষে প্রবেশটাই অপরাধের বিষয়টি প্রকাশ পেলে স্কানেট আমাকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বে।
তুমি কখনো কিছু বলেনি আমাকে, বনজ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল। আমরা কখনো এসব আলোচনা করিনি এবং তুমি যা জানো, সব ভুলে যাও।
অবশ্যই, মি, বানজ পোলার্ড আশ্বাস দিল। এবং, আমি এর জন্য তোমার কাছে কোনো বিলও দাখিল করিনি।
অসংখ্য ধন্যবাদ, যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বানজ। তবে আমার সাথেই থেকো দয়া করে।
স্কিপি ডিরির কাছ থেকে ক্লডিয়া ধারণা নিচ্ছিল। ছবিতে প্রযোজক ও লেখকের পাণ্ডুলিপি থেকে পরিচালক যেমন নিখুঁত অভিনয়ের জন্য দৃশ্যপট বুঝিয়ে দেয় ক্লডিয়াকে ঠিক সেভাবেই নির্দেশনা দিচ্ছিল ডিরি।
ডিরি বলল, অ্যাথেনাকে খুব আন্তরিকভাবে তোমার চুমু দিতে হবে। তুমি হবে তার কাছে একেবারেই নত। প্রয়োজনে তোমাকে কাঁদতে হবে, তুমি নার্ভাস হয়ে ভেঙে পড়বে। তুমি তার জন্য যা করেছ তা মনে করিয়ে দেবে। মনে করিয়ে দেবে তুমি তার কত অন্তরঙ্গ একজন সত্যিকারের বন্ধু এবং একই পেশার কর্মী। তোমাকে এ ছবির জন্য অ্যাথেনাকে ফিরিয়ে আনতেই হবে।
ক্লডিয়া স্কিপিকে প্রশ্ন করল, কিন্তু এর জন্য আমাকেই কেন? শান্ত ও প্রশ্রয়ের কণ্ঠে আরো বলল, তুমি হচ্ছ একজন প্রযোজক, ডিটা একজন পরিচালক, লডস্টোনের প্রেসিডেন্ট বানজ– তোমরা তাকেচুমু দাও গিয়ে। এসব ক্ষেত্রে আমার চেয়ে তোমরা ঢের বেশি অভিজ্ঞ।
তুমি যাবে কারণ লেখাটা তুমি এমনভাবে লিখেছ যে, অ্যাথেনা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। বলল ডিরি, এই চিত্রনাট্যের জন্য তুমি নিয়েছ আমাকে, নিয়েছ অ্যাথেনাকে। এ অবস্থায় যদি প্রজেক্টটি ব্যর্থ হয় তবে সেই ব্যর্থতার সাথে সর্বদা তোমার নামও উঠে আসবে।
ডিরি চলে গেল কিন্তু তার কথাগুলো বেজেই চলেছিল ক্লডিয়ার মস্তিষ্কে। ক্লডিয়া জানে ডিরির কথাগুলোই ঠিক। তবে এলোমেলো বেপরোয়া হয়ে উঠছিল যেন তার মন। এমন অবস্থায়, সে প্রায়ই যা-কবে তাই করল ক্লডিয়ার ভাই ক্রসের কথা ভাবল। ক্রসই হচ্ছে একমাত্র লোক যে তাকে এমন সমস্যার সমাধান দিতে পারে। অ্যাথেনার প্রতি বজের এই আক্রমণাত্মক মনোভাব দূর করতে প্রয়োজন কেবল ক্রসের সহযোগিতা এতটাই বিশ্বাস ক্লডিয়ার তার ভাইয়ের প্রতি।
অ্যাথেনার সাথে সম্পর্ককে বাণিজ্যিক করে ভোলাটা ক্লডিয়া কোন মতেই মেনে নিতে পারছে না– ঘৃণার চোখে দেখছে সে। তাছাড়া অ্যাথেনা তাকে নাকচ করে দিতে পারে। কিন্তু ক্রস তাকে সাহায্য করতে অবশ্যই এগিয়ে আসবে– সে বিশ্বাস ক্লডিয়ার আছে।
ক্লডিয়া ভেগাসে জানাদু হোটেলে ফোন করল। তবে সে সেখান থেকে জানতে পারল ক্রস সম্ভবত কুওগে রয়েছে। পরের দিন হয়তো সে ফিরে আসবে।