আর এখন মনে হচ্ছে যে, এই কামরায় সবাই আরামে আছে। পেটি সামনে এগিয়ে ভয়ে ক্রসের পাশে সোফায় বসল। ভিনসেন্ট পানশালার পেছনে ব্র্যান্ডির গ্লাস তার ঠোঁটে তুলে স্যালুট জানাল।
কিন্তু বিচার হোক বা না হোক, তুমি পরিবারটির বিরুদ্ধে অপরাধ করেছ ডন বলল।
অবশ্যই শাস্তি হবে। তোমার জন্য অথ, আর লিয়া ভাজির জন্য তার জীবন।
ক্রস বলল, লিয়া ডেন্টির সাথে কিছুই করেনি অবশ্য লুজির জন্য। মুক্তিপণে তাকে যদি মুক্ত দেন। আমি জানাদুর অর্ধেকের অধিকারী। আমার এবং লিয়া ভাজির জন্য দান হিসেবে আমি সম্পত্তির অর্ধেক আপনাকে দিয়ে দেব।
ডন ক্লেরিকুজিও এটা ভেবে দেখবে বলে মনে হলো। তুমি বিশ্বাসী ও অনুগত সে বলল। সে জর্জিও পরে ভিনসেন্ট ও পেটির দিকে ঘুরে ফিরল। যদি তোমরা তিনজন সম্মত হও আমি সম্মত হব। তারা কোনো উত্তর দিল না।
ডন যেন অনুতাপে দীর্ঘশ্বাস নিলেন। তোমার সম্পত্তির অর্ধেক তুমি দেবে কিন্তু অবশ্যই আমাদের রাজ্যের বাইরে চলে যাবে। ভাজি অবশ্যই তার পরিবারের সাথে সিসিলিতে ফিরে যাবে কিংবা যাবে না এটা তার ইচ্ছা। আমি যতদূর অনুমান করতে পারি তুমি এবং ভাজি অবশ্যই কখনো আবার একত্রে কথা বলবে না। আর আমি আমার ছেলেদেরকে আদেশ করছি, তোমাদের উপস্থিতিতে কখনো তাদের ভাগ্নের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবে না। তুমি এক সপ্তাহ থাকবে তোমার কাজ গোছানোর জন্য। জর্জিও’র কাছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজে সই দেবে। তারপর ডন মৃদু কর্কশ ভাষায় বলল, তুমি আমাকে আশ্বস্ত করবে যে ডেন্টির পরিকল্পনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। এখন শান্তিতে যাও এবং স্মরণ করো। আমি সর্বদা তোমার বাবাকে একটা সন্তানের মতো ভালোবাসতাম।
যখন ক্রস ঘর ছাড়ল তখন ডন ক্লেরিকুজিও চেয়ারের বাইরে এলেন এবং ভিনসেন্টকে বললেন বিছানায়। ভিনসেন্ট তাকে উপর সিঁড়িতে যেতে সাহায্য করল। এখন ডনের পায়ে নিশ্চিত দুর্বলতা এসে গেছে। তার বয়স পরিশেষে তার শরীর ধ্বংস করতে শুরু করছিল।
.
সমাপ্তি
নাইস, ফ্রেন্স
কুওগ
ভেগাসের শেষ দিনগুলোতে ক্রস ডি লিনা তার চিলেকোঠার বেলকনিতে বেসল। নিচে তাকিয়ে দেখল সূর্যস্নাত উন্মুক্ত মাঠ-ঘাট। সিজার প্যালেস, কলহ, মরীচিকা ও মরুর পান্থশালা বিখ্যাত হোটেল নিয়নের তাঁবু সূর্যের সাথে যে, চ্যালেঞ্জ করে।
ডন ক্লেরিকুজিও নির্বাসন প্রদানে সুনির্দিষ্ট ছিল। ক্রস লাস ভেগাসে আর কখনো ফিরে আসেনি। তার বাবা কি রকম সুখী। পিপিও এখানে রয়েছে। আর গ্রোনিভেল্ট তার নিজের ভ্যালহালায় শহর গড়ে তুলেছে। কিন্তু ক্রস কখনো তাদের শান্তি আসলেই উপভোগ করতে পারল না। এটা সত্য, ভেগাসের সুখ সে উপভোগ করেছিল। কিন্তু সেই সুখে কোনো স্বাদ ছিল না।
সাত ভিলাতে সব সবুজ পতাকা মরুর নীরবতায় লুটিয়ে পড়ল। কিন্তু ডেন্টির প্রেতাত্মা একটা কালো কঙ্কাল পুড়ে যাওয়া বিল্ডিংয়ে ঝুলে রইল। কিন্তু সে আবার কখনো এর সব দেখল না।
সে ভালোবাসত জানাদু। সে ভালোবাসত তার পিতা ও গ্রোনিভেল্টকে এবং ক্লডিয়াকে।
যদিও তাদের কিছু ধারণার বিরোধিতা করত। গ্রোনিভেল্ট জানাদুর কাছে বিশ্বস্ত হতে ব্যর্থ হয়। তার বাবা ক্লেরিকুজিও’র কাছে সত্য হতে পারেনি। আর ক্লডিয়া তার নিষ্পাপত্রে বিশ্বাস করত। এখন সে তাদের থেকে মুক্ত। সে একটা নতুন জীবন শুরু করবে। অ্যাথেনার জন্য তার ভালোবাসা কি গড়তে পারবে? গ্রোনিভেল্ট তার বাবা এমনকি ওল্ড ডন রোমান্টিক ভালোবাসার বিপদ সম্পর্কে তাকে সতর্ক করেছিল। যারা তাদের নিয়তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন মহৎ লোকদের মারাত্মক দোষ এটা। এখন সে তাদের উপদেশ কিভাবে উপেক্ষা করে?
একজন মহিলার কৃপার প্রতি তার নিয়তিকে রাখবে কেন?
কিছুটা সরল তার দৃষ্টি, তার স্বরে শব্দ, যে পথে সে চলাচল করে। তার সুখ এবং তার দুঃখ তার সবই তাকে সুখী করে। পৃথিবীটা চোখ ধাঁধানো সুখের মতো হয়ে যায় যখন সে তার সাথে থাকে। খাদ্য তৃপ্তিকর হয়ে যায়, সূর্যের তাপ উষ্ণ করে তার হাড়। আর সে অনুভব করে তার মাংসের ক্ষুধা, জীবনকে পবিত্র করে। আর যখন সে তার সাথে ঘুমায় সে কখনো দুঃস্বপ্নের ভয় করে না। তার ঘুম এগিয়ে যাবে প্রভাতের দিকে।
অ্যাথেনাকে শেষ দেখার পর এখন তিন সপ্তাহ পার হচ্ছে। কিন্তু এই সকালে তার স্বর সে শুনতে পাচ্ছে যেন। ফ্রান্সে তাকে জানিয়েছিল, সে আসছে। তার স্বরে মুখ সে ধরে ফেলেছে কারণ এখন সে জানল সে স্বয়ং জীবিত আছে। এটা সম্ভব, সে তাকে ভালোবাসবে। আর এখন, কম করে হলেও বিশ ঘণ্টা সে তাকে দেখবে। ক্রসের বিশ্বাস, কিছুদিন সত্যই সে তাকে ভালোবাসবে। সে তাকে ভালোবাসার পুরস্কার দেবে। সে কখনো তাকে সায় দেবে না। আর কিছু ফেরেস্তার মতো সে তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবে।
সম্ভবত অ্যাথেনা অ্যাকুইটেন ফ্রান্সের একমাত্র মহিলা যে তার সৌন্দর্য নষ্ট করার চেষ্টায় মেকাপ ও কাপড় পরিধান করে। শুধু তাই নয়, দেখতে যাতে খারাপ দেখা যায় সে সেই চেষ্টাও করে। সে সমকামী নয় কিন্তু বুঝতে সমান হয়, তার শারীরিক সৌন্দর্য এত মারাত্মক সে তার ভেতরের জন্য খুব ক্ষতি করে। সে ক্ষমতাকে ঘৃণা করে। যা তাকে অন্য জনগণের কাছে সোপর্দ করে। সে অহংকারকে ঘৃণা করে। আর অহংকার অকেজো করে দেয় শক্তি। জেনে কারো বিষয়ে নাক গলানো তার জীবনের কাজ।