বন্ড ভেসপারের সারা শরীরটার দিকে একবার দৃষ্টি বুলিয়ে নেয়। ভেসপারের উদ্ধত বুকের দিকে বন্ডের দৃষ্টি কয়েক সেকেন্ডের জন্য আটকে যায়। তাবপর সে সোজা হয়ে দাড়িয়ে ভেসপারকে কাছে টেনে নিয়ে প্রথমে দুই গালে চুমু দেয়। এরপর–
বন্ড একহাতে দরজাটা বন্ধ করে অন্য হাতে ভেসপারকে টেনে নিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।
চুম্বন-প্রদান নতুন করে শুরু হল। বন্ড ভেসপারের নিম্ন ওষ্ঠটি এবার নিজের দুই ওষ্ঠের মধ্যে রাখে। ভেসপারও বন্ডকে প্রবল কামনায় জড়িয়ে ধবে।
ওরা দুজনে আলিঙ্গনাবদ্ধ। বন্ড বলে–আজকে আমাদের সুখ, আনন্দে ডুবে যাবার এক স্বর্গীয় স্থান পেয়েছি। ডারলিং, মাই সুইট ডারলিং–
কামনাতাড়িত ভেসপারের চোখ জ্বলছে।
বন্ড এবার আরও জোরে ভেসপারের দেহটা দুই বাহু দিয়ে নিজের শরীরের সাথে চেপে ধরে। আবার চুম্বন দিতে দিতে বন্ড এবার তার মুখ ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামাতে থাকে। বুকের স্তনযুগলের মাঝে এখন বন্ডের মুখ। বন্ড বাঁ হাত দিয়ে ভেসপারের জামার চেনটা টেনে দেয়।
ভেসপার এখন স্মার্ট, সপ্রতিভ। বন্ডের ভালোবাসার উত্তর দিতে তার এখন কোনো জড়তা নেই। সে-ও এবার বন্ডকে দাঁড় করিয়ে তার টাই, জামার বোম খুলে দিচ্ছে। এবং
ভেসপার নিজের জামাটা খুলে ফেলে। বন্ডকে নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যায়। বন্ডের মাথাটা ধরে তার দম্ভভরা দুই স্তনের মধ্যে চেপে ধরে। ভেসপারের পরনে শুধু রঙিন ব্রেসিয়ার।
আস্তে আস্তে সে বন্ডকে নিয়ে বিছানায় চলে আসে। কিন্তু–
বুকে মুখ ঘর্ষণরত বন্ড আচমকাই ভেসপারকে ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর ভেসপারের দিকে তাকিয়ে বলে–সরি ডারলিং। এখনই না–
ভেসপারের মুখটা শুকিয়ে যায়। কেন? বুঝতে পারে না সে।
ওরা উভয়ই উভয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু প্রত্যেকের শরীরের মধ্যে বয়ে চলেছে দেহজ কামনার নীরব ঝড়।
বন্ড ঝুঁকে পড়ে ভেসপারের ঠোটে, বুকে ঘনঘন চুম্বন এঁকে দিল। ৩বিপর একটা লম্বা শ্বাস ফেলে কী যেন খুঁজতে লাগল।
–কী খুজছ?
–আমার ব্যাগটা। এর মধ্যে আমার সিগারেট আছে।
ভেসপার উঠে বন্ডকে নিজের ব্যাগ থেকে একটা সিগারেট দিল। তারপর নিজেও নিল। লাইটাব জ্বেলে সিগারেটে অগ্নিসংযোগ করল।
ঘরের জানলাটা খুলে ভেসপার বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। একটা হাত তুলে জানলার বিটের ওপর বাখে, অন্য হাতে সিগারেট টেনে চলেছে সে।
ভেসপারের পরনে এখন শুধু ব্রা আর প্যান্টি। কোমরের খাজ পিছন থেকে আরও চিত্তাকর্ষক মনকে মাতাল করে তোলে।
সিগারেট টানতে টানতে বন্ড বিছানায় গিয়ে বসে। এক দৃষ্টিতে ভেসপারকে সে লক্ষ করতে থাকে। ভেসপারও সেটা বুঝতে পারে। না বোঝার কিছু নেই।
বন্ডের মুখে জ্বলন্ত সিগারেট, প্রায় শেষ হয়ে আসছে। উত্তেজনায় ঘন ঘন টান দিচ্ছে সে। বন্ড টাই, জামা সব খুলে ফেলে। উঠে দাঁড়ায়। দুপা এগিয়ে আসে। সিগারেটটা ঘরে রাখা অ্যাশ ট্রেতে গোঁজে। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় ভেসপারের দিকে।
পিঠের ওপর ব্রেসিয়াবের স্ক্রিপে হাত রাখে। এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ভেসপারকে। সবল হাতেব আলিঙ্গনে ভেসপারের যৌবনপুষ্ট দেহটা সামান্য কেঁপে ওঠে। ঠোঁট থেকে সিগারেটটা পড়ে যায়। বন্ড তার ঠোঁট রাখে ভেসপারের নগ্ন কোমল কাঁধে। ব্রেসিয়ারের হুক খুলে দেয়। তারপর–
না। এবার নিজেকে পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দিল ভেসপার। বন্ডকে অবাক করে দিয়ে সে এক ঝটকায় ব্রেসিয়ারটা খুলে ফেলে দিল। পাগলের মতো বলে উঠল–কাম অন, কাম অন ডারলিং!
মুগ্ধ বিস্ময়ে বন্ড তাকিয়ে রইল ভেসপারের দিকে। ভেসপারের চোখ নয়, যেন তার গর্বোদ্ধত স্তনদ্বয় তাকে সুখক্রীড়ায় নীরব আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ভেসপার বন্ডের একটা হাত তুলে তার নিজের বুকের ওপর রাখে।
একী! বন্ড কাঁপছে। দুর্দম, কঠিন জেমস বন্ডের হাত কাঁপছে কেন? কপালে ঘাম ফুটে উঠছে। চরম আবেগে ভেসপার জড়িয়ে ধরে বন্ডকে। বন্ডের নগ্ন বক্ষে এখন ভেসপারের শরীরের এক পরম সুখসম্পদ গভীরভাবে ঘসে চলেছে। বন্ডও এখন পাগল হয়ে গেছে।
ভেসপার বলে–বিছানায় চল। এখানে নয়।
বন্ড ওর দুই স্তনের মাঝে মুখ বেখে বলে–এখন নয় ডার্লিং। আমি তো তোমার সঙ্গেই আছি।
বন্ডের দুই হাত ভেসপারের কাঁধে। ভেসপার ওর এক হাত বন্ডের এক হাতের ওপর রেখে অন্য হাতের আঙুল দিয়ে বন্ডের বুকে আলপনা আঁকতে আঁকতে বলে–বেশ, তুমি যা বলবে। এক কাজ করো। তুমি তোমার ঘরে যাও। আমি ততক্ষণ স্নান সেরে আসি। তারপর তুমি।
ভেসপারের ঘর থেকে বেরোতে গিয়েও দরজার কাছে এসে বন্ড আবার ঘুরে দাঁড়াল। ভেসপার ততক্ষণে গায়ে তার জামাটা দিয়ে জড়িয়ে নিয়েছে। বন্ড ডাকল–ভেসপার, ডারলিং–
ভেসপার ঘাড়টা সামান্য ঘোরাল। বন্ড দেখল, ভেসপারের চোখ দুটো ভিজে উঠেছে। বন্ড এগিয়ে গিয়ে ওকে আবার গভীরভাবে চুমু খেল। কোনো কথা বলল না কেউ। তারপর দরজা খুলে চলে এল নিজের ঘরে।
বন্ড এখন নিজের ঘরের বিছানায় টান টান হয়ে শুয়ে আছে। সে ভাবছে, এখন কি সে সমুদ্রস্নানে যাবে, নাকি ভেসপারের কাছে? ভেসপার যে তাকে এখনই সব দিতে চেয়েছিল। ভেসপারের সারা দেহ কামনার আগুনে ভীষণভাবে জ্বলছিল। কিন্তু বন্ড কেন জানিনা ভীষণ টায়ার্ড ফিল করছে। তার কাছে তো ভেসপার সহজলভ্য হয়ে উঠেছিল। তবে?
–চল। ঘরে যাওয়া যাক।–বন্ড ভেসপারকে বলে।
ভেসপার বন্ডের দিকে এক ঝলক দেখে নিয়ে মুখটা ফিরিয়ে নেয়।