—————–
(১) ‘Tutti i fenomeni dell’universo, sieno essi prodotti della mano dell’uomo, ovvero delle universali leggi della fisica, non ci danno idea di attuale creazione, ma unicamente di una modificazione della materia. Accostare e separare sono gli unici elementi che l’ingegno umano ritrova analizzando l’idea della riproduzione:
e tanto e riproduzione di valore (ব্যবহার-মূল্য, যদিও এই লেখায় ফিজিওক্র্যাটদের সঙ্গে বিতর্কে ভেরি নিজে পরিষ্কার নন যে কি রকম মূল্যের কথা তিনি বলেছেন) e di ricchezze se la terra, l’ariae l’acqua ne’ campi si trasmutino in grano, come se colla mano dell’uomo il glutine di un insetto si trasmuti in velluto ovvero alcuni pezzetti di metalio si i organizzino a formare una ripetizione.’–পিয়েত্র ভেরি, ‘Meditazioni sulla Econonia Politica’ প্রথম মূদ্রণ ১৭৭৩, in custodi’s edition of the Italias Economists, Porte Modern t.xv., পৃঃ ২২।
(২) তুলনীয় হেগেল : Philosophie des Rechts’, বার্লিন, ১৮৪০, পৃঃ ২৫০। ১৯০।
(৩) পাঠক লক্ষ্য করবেন যে আমরা এখানে শ্রমিক নির্দিষ্ট শ্ৰম-সময়ের জন্য যে-মূল্য বা মজুরি পায় তার কথা বলছি না, আমরা বলছি সেই দ্রব্যাদির মূল্যের কথা যার মধ্যে শ্ৰম-সময় বিধৃত হয়েছে। আমাদের আলোচনায় আমরা এখনো ‘মজুরী’ পৰ্যন্ত আসিনি।
(৪) যা দিয়ে সর্বতোভাবে এবং প্রকৃতই সব সময়ে সমস্ত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ ও তুলনা কয়া হয় তা যে শ্ৰম, সেকথা প্ৰমাণ করার জন্য অ্যাডাম স্মিথ বলেছেন, ‘শ্রমের সমান সমান পরিমাণের মূল্য শ্রমিকের কাছে সৰ্বকালে এবং সর্বস্থানে একই হতে বাধ্য। তার স্বাস্থ্যের, শক্তির এবং কর্মের স্বাভাবিক অবস্থায়, এবং তার যে গড়পড়তা কর্মকুশলতা আছে তাতে সে সর্বদাই তার বিশ্রামের, স্বাধীনতার এবং সুখের নির্দিষ্ট এক অংশ ত্যাগ করতে বাধ্য।’ ‘জাতিবৃন্দের ধনসম্পদ’ (‘ওয়েলথ অব নেশনস b l.ch ৫) একদিকে, অ্যাডাম স্মিথ এখানে (কিন্তু সবখানে নয়) পণ্য-উৎপাদনে যে পরিমাণ শ্রম ব্যয়িত হয় তার দ্বারা মূল্য নির্ধারণের সঙ্গে শ্রমের-মূল্য দ্বারা পণ্যের মূল্য নির্ধারণের প্রসঙ্গটি গুলিয়ে ফেলেছেন, এবং তার ফলে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে সম-পরিমাণ শ্রমের মূল্য সর্বদাই সমান। অপরদিকে, তাঁর এই রকম একটা অনুভাবনা আছে যে, যে-শ্ৰম পণ্যের মূল্যের ভিতর অভিব্যক্তি হয়, তা কেবল শ্ৰম-শক্তির ব্যয় বলেই পরিগণিত হয়; কিন্তু তিনি এই ব্যয়কে কেবল বিশ্রাম, স্বাধীনতা, সুখ প্রভৃতির ত্যাগ বলে মনে করেন, কিন্তু সেই সঙ্গে জীবিত প্ৰাণীর স্বাভাবিক কাজকর্ম হিসেবে মনে করেন না। কিন্তু তঁর চোখের সামনে রয়েছে আধুনিক মজুৰী-শ্রমিক। অ্যাডাম স্মিথের পূর্বগামী পূর্বোক্ত নাম-পরিচয়হীন লেখক তা ঢের বেশি সঠিক ‘ভাবে বলেছেন। একজন লোক নিজেকে এক সপ্তাহ কাজে নিযুক্ত রেখেছে জীবিকা সংগ্রহের জন্য…এবং বিনিময়ে যে তাকে অন্য জিনিস দেয়, সে তার জন্য কত শ্ৰম এবং সময় ব্যয় করেছে তার হিসেব ছাড়া আর কোন ভাল হিসেব করতে পারে না তার মূল্যের তুল্যমূল্যের জন্য; ফলতঃ, তার মানে আর কিছু নয়, কেবল কোন নির্দিষ্ট শ্ৰম-সময়ে তৈরি জিনিসের বদলে ঠিক সেই পরিমাণ শ্ৰম-সময়ে তৈরি জিনিসের বিনিময়।’ (J.C., পৃঃ ৩৯) এখানে শ্রমের যে দুটি দিক আলোচনা করা হল তার জন্য ভিন্ন ভিন্ন শব্দ থাকায় ইংরেজী ভাষার একটি সুবিধা আছে।” যে শ্রম ব্যবহার মূল্য তৈরি করে এবং যা গুণগতভাবে বিচাৰ্য, তাকে বলে। ‘ওয়ার্ক (কাজ) আর তা থেকে পৃথক হলে ’লেবর’ (‘শ্ৰম’) যা মূল্য সৃষ্টি করে এবং যা পরিমাণগত ভাবে বিচাৰ্য– এঙ্গেলন্স।
.
১.৩ মূল্যের রূপ বা বিনিময় মূল্য
প্রথম অধ্যায়। তৃতীয় পরিচ্ছেদ
পণ্য জগতে আবির্ভূত হয় ব্যবহারমূল্য হিসেবে, জিনিস অথবা দ্রব্য হিসেবে, যেমন, লোহা, ছিট, শস্য ইত্যাদি হিসেবে। এই হচ্ছে তাদের সাদাসিধে আটপৌরে, দৈহিক রূপ। অবশ্য, এগুলি পণ্য কেবল এইজন্য যে তারা দ্বিবিধ একটি জিনিস-একই সঙ্গে উপযোগিতার বাহক এবং মূল্যেরও ধারক। সুতরাং তারা পণ্য আকারে আত্মপ্ৰকাশ করে। অথবা তারা পণ্যের আকার ধারণ করে কেবলমাত্র এই হিসেবে যে, তাদের দুটা রূপ আছে, একটি হচ্ছে দৈহিক অথবা স্বাভাবিক রূপ আর একটা মূল্য-রূপ।
পণ্যমূল্যের বাস্তবতার সঙ্গে ‘ডেম কুইকলির’র পার্থক্য এই যে, আমরা জানি না “তাকে কোথায় পাওয়া যাবে।” পণ্যের মূল্য হচ্ছে তার স্কুল বাস্তবতার বিপরীত, বস্তুর এক অণুমাত্রও তার অবয়বের মধ্যে ঢোকে না। শুধু একটা পণ্য নিয়ে খুশিমতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যতই পরীক্ষা করা যাক না কেন, তবু মূল্যের ধারক হিসেবে তার স্বরূপ বোঝা অসম্ভব। অবশ্য, যদি আমরা মনে রাখি যে পণ্যের মূল্যের একটি বিশুদ্ধ সামাজিক সত্তা আছে এবং একটি অভিন্ন সামাজিক বস্তুর-মনুষ্য শ্রমের-অভিব্যক্তি বা বিগ্ৰহ হিসেবেই কেবল একটি পণ্য এই সামাজিক সত্তা অর্জন করে, তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়ায় এই যে, বিভিন্ন পণ্যের মধ্যেকার সামাজিক সম্পর্কের মধ্যেই মূল্য আত্মপ্ৰকাশ করতে পারে। আসলে কিন্তু আমরা আরম্ভ করেছিলাম বিনিময়-মূল্য থেকে অথবা পণ্যের বিনিময়-ঘটিত সম্বন্ধ থেকে, তার পিছনে লুক্কায়িত মূল্যের ঠিকানা বের করবার জন্য। মূল্য আমাদের কাছে প্ৰথম যে রূপ নিয়ে হাজির হয়েছিল, আমরা এখন সেই রূপের দিকেই ফিরে যাব।