গযনীর মুসলিম সালতানাত নিঃশেষ হয়ে যখন এলাকাটি ইংরেজদের কবলে চলে যায়, তখন ইতিহাসের নিষ্ঠুর ও মুসলিম বিদ্বেষী ইংরেজ লর্ড মৃত সুলতান মাহমূদের সাথে সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম আচরণ করেন। তিনি তার কবরে নির্মিত স্থাপনার প্রধান দরজাটি খুলে হিন্দুস্তানে নিয়ে আসেন। ইংরেজ লর্ড-এর ধারণা ছিল সুলতান মাহমূদ এই দরজাটি হিন্দুস্তানের সোমনাথ মন্দির থেকে নিয়েছিলেন। গযনী শহর থেকে দেড় মাইল দূরে অবস্থিত ফিরোজীবাগের সেই ঐতিহাসিক কবরস্থানের আজ আর কোন চিহ্নই অবশিষ্ট নেই। জায়গাটি একটি পরিত্যক্ত ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। কবর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও যতো দিন পৃথিবীর বুকে সূর্য উঠবে, মানুষ থাকবে, মুসলমান থাকবে ততদিন অসংখ্য অগণিত মুসলমান সুলতানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে, আর মক্কা ও মদীনায় তার প্রেরিত শিবমূর্তির অবশিষ্ট টুকরোগুলো স্মরণ করিয়ে দেবে সুলতান মাহমুদ ইসলামের ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। অম্লান তাঁর কীর্তি, অনিঃশেষ তার ঈমানী চেতনা। আজো তাঁর চেতনা ঈমানের দীপ্তি ছড়ায়। আল্লাহ আখেরাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন। আমীন!
-: সমাপ্ত :-