৩৮। জাওজওয়া অনেক স্থলে ককো বা কুকু বলে উচ্চারিত। এটা হচ্ছে লিও আফ্রিকানসের গাওগাও। স্থানটি হয় ওয়াদাইর ফিট্রে হ্রদের তীরের ফিরি কানেমের দক্ষিণ-পূর্ব অথবা এটা হচ্ছে বর্ণোর কুকু (মারকোয়ার্ট ৯৫, ff; Hartmann in M. S. ০. S. XV, 176 ff.) মুওয়াতাঁবুন কিম্বা মুর্তাবৃনের কোনো সন্ধান বের করতে আমি সক্ষম হইনি।
৩৯। মরক্কোর রাজার ওয়াফান বা রক্ষিদল ছিল স্থায়ী সৈন্য বাহিনীর কেন্দ্রস্থল। উপজাতীয় সৈন্য থেকে এরা ছিল ছিন্ন প্রকারের (মাসলিক আল–আসবার দেমবাইসের অনুবাদ, ইণ্ডেস্ এস, ডি,। দেমমবাইনের একটি পাণ্ডুলিপিতে ইয়ানতিবৃনের স্থানে ইনাতিউন পাঠ করা হয় (এ গ্রন্থেরই ২১০, n. টীকা ২ দ্রষ্টব্য)।
৪০। কাহির হচ্ছে এয়ারের রূপান্তরিত নাম। এ নামটি দেওয়া হয়েছে ইন্ আজাওয়া কিম্বা আসিওর দক্ষিণে অবস্থিত স্বল্প লোক বসতিপূর্ণ পাহাড়ের-দেশ। নিম্নে এটা সেখানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে যেখানে তুয়া এবং মিশরগামী রাস্তা বিভক্ত হয়েছে। এটা আশ্চর্য যে ইব্নে বতুতা কাহিরকে প্রধান পর্বত তিন দিনের পথের ফারাক বলে ধরেছেন।
৪১। হ্যাগার বা হোগার হচ্ছে মধ্য সাহারার পর্বত অধিবাসী বার্বার (তুয়ারেগ) উপজাতি। এটা হচ্ছে পুরাকালীন আটলাস পর্বতশ্রেণী-এখন এর অধিবাসীগণের নামানুকরণে আহাগার নামে পরিচিত।
৪২। বুদা তুয়াত উপত্যাকার ২৮ উত্তরে, ০:৩০ পূর্বে উত্তরের শেষ সীমান্তে অবস্থিত। এ জেলাটির বিবরণ এবং ইতিহাসে বিবৃত করেছেন গাওতিয়ার এবং চাদিয়ো মিশনৃস্ সাহারা গ্রন্থে (প্যাসির, ১৯০৮) প্রথম খণ্ড, ২৫০। আরবীয় ভৌগলিকদের মত, অনুসারে মারাকুশের অধিবাসীগণও পঙ্গপাল আহার করতো।