- বইয়ের নামঃ ইবনে বতুতার সফরনামা
- লেখকের নামঃ এইচ. এ.আর. গিব
- প্রকাশনাঃ ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন
- বিভাগসমূহঃ অনুবাদ বই, ভ্রমণ কাহিনী
ইবনে বতুতার সফরনামা
০. অবতরণিকা
এ্যাডভেঞ্চার অব ইবন বতুতা – এইচ. এ. আর. গিব
ইবনে বতুতার সফরনামা / অনুবাদ : মোহাম্মদ নাসির আলী
ইবনে বতুতার সফরনামা একখানা মূল্যবান ঐতিহাসিক দলিল স্বরূপ। এ গ্রন্থের প্রকৃত মূল্য নিরূপণ করতে ইবনে বতুতার জীবন ও জগৎ সম্বন্ধে একটা মোটামুটি ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয় । মধ্যযুগের মুসলিম সভ্যতার ইতিহাসে ইবনে বতুতার চরিত্র সব চাইতে জীবন্ত । তিনি তার সফরনামার মধ্যে দোষে-গুণে মণ্ডিত নিজের এবং সমসাময়িক যুগের যে চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন, তা সে যুগের অবক্ষয় থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ যুগ-মানুষেরই প্রতিচ্ছবি। তবে একথা ঠিক যে, ইবন বতুতার সফরনামায় তার ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে খুব অল্প কথাই জানা যায়। তাঁর গ্রন্থের সম্পাদক ইবন সুজায়ী লিখেছেন যে, ইবন বতুতা ১৩০৪ খ্রীষ্টাব্দে তানজানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তী কালে লিখিত ইবন বতুতার একখানি সংক্ষিপ্ত জীবনী গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, তিনি ১৩৬৮ খ্রীষ্টাব্দে অথবা তার পরবর্তী বছরে মরক্কোর ইনতিকাল করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিলো মুহম্মল-বিন আবদুল্লাহ।
— ড. কাজী দীন মুহম্মদ
.
‘IBNE BATUTAR SAFARNAMA” (The Adventures of Ibn Battuta). Bengali translaed by Mohammad Nasir Ali. 1st Published: Bangla Academy, 1968. This New Edition Published by : Shosovon Eftakher Sawon on be-half of Drupad Sahityangan. 46 Banglabazar, Dhaka-1100. Drupad First Published: February 2014.
.
প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলীর জন্ম ১০ জানুয়ারি ১৯১০ সালে বিক্রমপুরে। পড়াশোনা করেছেন তেলিরবাগ কালীমোহন দূর্গামোহন ইনস্টিটিউশনে। এন্ট্রান্স পাস করেছেন ১৯২৬ সালে স্বর্ণপদক সহ। পরবর্তীতে পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চাকরি জীবনের শুরু অবিভক্ত ভারতের কোলকাতা হাইকোর্টে। ‘৪৭ পরবর্তী সময়ে একই সাথে প্রকাশনা ও ঢাকা হাইকোর্টে চাকরি করেছেন। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নওরোজ কিতাবিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার।
শিশু সাহিত্যের উপর প্রবর্তিত প্রায় সবগুলো পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এরমধ্যে ইউনেস্কো, বাংলা একাডেমী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইউনাইটেড ব্যাংক, লাইব্রেরী অব কংগ্রেস, যুক্তরাষ্ট্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশন উল্লেখযোগ্য।
অধুনালুপ্ত দৈনিক আজাদ পত্রিকার ‘মুকুলের মহফিল’ শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে ‘বাকবান’ নামে সমধিক পরিচিত। ফটোগ্রাফি, সেলাইকর্ম, রবীন্দ্র-নজরুল সংগীতের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ৩০ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
.
বাংলা একডেমীর প্রাক্তন পরিচালকের প্রসংগ কথা
ইবনে বতুতার সফরনামা একখানা মূল্যবান ঐতিহাসিক দলিলস্বরূপ। এ গ্রন্থের প্রকৃত মূল্য নিরূপণ করতে হলে ইবনে বতুতার জীবন ও জগৎ সম্বন্ধে একটা মোটামুটি ধারণা থাকা বাঞ্চনীয়। মধ্যযুগের মুসলিম সভ্যতার ইতিহাসে ইবনে বতুতার চরিত্র সব চাইতে জীবন্ত। তিনি তার সফরনামার মধ্যে দোষে-গুণে মন্ডিত নিজের এবং সমসাময়িক যুগের যে চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন, তা সে যুগের অবক্ষয় থেকে উদ্ধার প্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ যুগ-মানসেরই প্রতিচ্ছবি। তবে এ কথাও ঠিক যে, ইবনে বতুতার সফরনামায় তার ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে খুব অল্প কথাই জানা যায়। তাঁর গ্রন্থের সম্পাদক ইবনে জুজায়ী লিখেছেন যে, ইবনে বতুতা ১৩০৪ খ্রীষ্টাব্দে তানজিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে লিখিত ইবনে বতুতার একখানি সংক্ষিপ্ত জীবনী গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, তিনি ১৩৬৮ খ্রীষ্টাব্দে অথবা তার পরবর্তী বছরে মরোক্কয় ইন্তিকাল করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিলো মুহম্মদ-বিন-আবদুল্লাহ্।
ইবনে বতুতার চরিত্রে প্রকৃত ইসলামী বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছিল। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধও ছিলো অপরিসীম। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের প্রতি তার আকর্ষণ ছিলো বলেই বাইশ বছর বয়সে তিনি সফরের উদ্দেশ্যে জন্মভূমি তাঞ্জির ত্যাগ করেন। সফরকালে তিনি বিভিন্ন দেশের ভৌগলিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রভৃতি বিষয়ে যে সব মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করেন তারই ফলশ্রুতি ইবনে বতুতার সফরনামা। তবে এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নাই যে, চতুর্দশ শতাব্দীর মুসলিম সমাজ সম্বন্ধে একটা বিস্তৃত বিবরণ প্রদান করাই ছিলো গ্রন্থখানা রচনার মুখ্য উদ্দেশ্য। ইবনে বতুতার এ উদ্দেশ্যও সফল হয়েছে। বাংলা ভাষাভাষী পাঠক সাধারণও ইবনে বতুতার সফরনামা পাঠ করে নিজেদের কৌতূহল মেটাতে সক্ষম হবেন মনে করে বাংলা ভাষায় গ্রন্থখানির অনুবাদ প্রকাশ করা হলো।
ড. কাজী দীন মুহম্মদ
পরিচালক, বাংলা একাডেমী
৭ই অক্টোবর ১৯৬৮
.
ধ্রুপদ মুদ্রণ প্রসংগ কথা
‘ইবনে বতুতার সফরনামা’ একটি মূল্যবান এবং ঐতিহাসিক দলিল গ্রন্থ। গ্রন্থটি একবার মাত্র প্রকাশিত হয়েছিলো পাকিস্তানি শাসনামলে–বাংলা একডেমী থেকে। আমরা বিভিন্ন সময় একাডেমীর পরিবর্তনশীল পদ মহাপরিচালকের কাছে গ্রন্থটির খোঁজ চেয়েছি-মুদ্রণের অনুরোধ করেছি কিন্তু ওখানে যা হয় তাই হয়েছে। অনেক নামী-দামী লেখক, গবেষক শুধুমাত্র দাপ্তরিক জটিলতার জন্য তাঁদের বই তুলে নিয়েছেন এবং বেসরকারী প্রকাশকদের দিনে মুদ্রণের জন্য।