God has not promised
Skies always blue,
Flower-strewn pathways
All our life through;
God has not promised
Sun without rain,
Joy without sorrow,
Peace without pain.
আমি এ কথা বলব না যে আমার জীবন অন্য কারও জন্য একটা রোল মডেল হতে পারে। কিন্তু আমার নিয়তি যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে গরিব শিশুরা হয়তো বা একটু সান্ত্বনা পেতে পারে। এতে হয়তো তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ ভেঙে বেরিয়ে আসার প্রেরণা পাবে। তারা যেখানেই যাক, তাদের সচেতন হতে হবে যে খোদা তাদের সঙ্গেই আছেন, আর তিনি যখন তাদের সঙ্গে আছেন তখন কে পারে তাদের বিরুদ্ধে যেতে?
But God has promised
Strength for the day,
Rest for the labour
Light for the way.
আমার পর্যবেক্ষণে আমি দেখেছি, অধিকাংশ ভারতীয় অনাবশ্যকভাবে দুর্দশা ভোগ করে আবেগ কীভাবে আয়ত্তে রাখতে হয় জানে না বলেই। মনস্তাত্ত্বিক সংকটেই তারা অবশ। পরবর্তী সর্বোত্তম বিকল্প, ওটাই একমাত্র কার্যকর সুযোগ বা সমাধান, এবং যে পর্যন্ত না সবকিছু ভালোর দিকে মোড় নেয় ইত্যাদি হচ্ছে। আমাদের নৈমিত্তিক আলাপচারিতায় ব্যবহৃত কথাবার্তা। এইসব নেতিবাচক, আত্মপরাজয়মূলক চিন্তাভাবনা কেন আমরা ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারি না? আমি অনেক সংগঠন আর অনেক মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি। তাদের অনেকের ছিল সীমাবদ্ধতা। আমার কথা মান্য করা ছাড়া তাদের যেন আত্মমূল্য প্রমাণের পথ ছিল না। ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ট্রাজেডি নিয়ে কেন লেখা হয় না? এবং সাংগঠনিক সাফল্যের পথ সম্পর্কে? প্রত্যেক ভারতীয়ের অন্তরের প্রচ্ছন্ন আগুনে ডানা গজাক, এবং এই মহান দেশের গৌরবে আকাশ আলোকিত হোক।
.
১৬.
প্রযুক্তি হচ্ছে দলগত তৎপরতা। বিজ্ঞানের সঙ্গে এখানেই এর অমিল। এটা ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে না, বরং এর ভিত্তি হচ্ছে অনেক মানুষের মিথস্ক্রিয়া। আমি মনে করি আইজিএমডিপির সবচেয়ে বড়ো সাফল্য এটা নয় যে রেকর্ড সময়ের মধ্যে দেশ স্টেট-অব-দ্য-আর্ট মিসাইল সিস্টেম অর্জন করেছে। বরং এর থেকে সৃষ্টি হয়েছে অসাধারণ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের কিছু দল। ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানে আমার ব্যক্তিগত অর্জন সম্পর্কে কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে, আমি তাহলে তরুণদের কাজের জন্য একটা চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ সৃষ্টির কথাই বলব।
আকার নেবার একেবারে গোড়ার দিকে দলের অবস্থা থাকে শিশুর মতো। সজীবতা, উদ্যম, কৌতূহল আর আনন্দের আকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে এসব ইতিবাচক গুণ বিনষ্ট হতে পারে বাবা-মায়ের ভুল নির্দেশনার কারণে। দলের সাফল্যের জন্য অবশ্যই এমন পরিবেশ প্রয়োজন যেখানে উদ্ভাবনা প্রতিভা কাজে লাগানোর সুযোগ আছে। এমন অনেক বিষয় নিয়ে আমাকে লড়তে হয়েছে। ডিটিডিঅ্যান্ডপি (এয়ার), আইএসআরও, ডিআরডিও এবং অন্যান্য জায়গায় যেখানে আমি কাজ করেছি। কিন্তু সবসময় আমি নিশ্চিত করেছি, কাজের উপযুক্ত পরিবেশ আর উদ্ভাবন ও ঝুঁকি গ্রহণের সুযোগ যেন পায় আমার দল।
এসএলভি-৩ প্রকল্পের সময় প্রথম যখন আমরা প্রজেক্ট টিম সৃষ্টি করছিলাম, এবং পরে আইজিএমডিপিতে, তখন এসব দলের লোকেরা নিজেদের আবিষ্কার করে সংস্থার উচ্চাকাঙ্খর একেবারে সম্মুখ সারিতে। এসব দলে মনস্তাত্ত্বিক প্রবাহ সন্নিবিষ্ট করা হয়েছিল, ফলে তারা প্রচণ্ডভাবে দৃশ্যমান ও ভেদ্য হয়ে পড়েছিল। যৌথ গৌরব অর্জনে তাদের অবদান অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলে আশা করা হয়েছিল।
আমি সচেতন ছিলাম, সাপোর্ট সিস্টেমের যে কোনো ব্যর্থতা দলীয় কৌশলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কয়েকটি ঘটনায় ধৈর্য আর স্নায়ুশক্তি হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের। অনিশ্চয়তা আর জটিলতার উচ্চমাত্রা প্রায়ই দলীয় তৎপরতায় জায়গা করে নিত, আর তা হতো একটা ফাঁদের মতো।
এসএলভি-৩ প্রকল্পের প্রথম বছরগুলোয়, প্রায়ই আমি শীর্ষ ব্যক্তিদের রায়দুর্বলতার মুখোমুখি হতাম, কারণ অগ্রগতি তখনও দৃশ্যমান হয়নি। অনেকেই ভাবত এসএলভি-৩ এর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে প্রতিষ্ঠান। ভাবত দল চলছে অপরীক্ষিতভাবে। এসব ভয় ছিল কাল্পনিক, পরে তা প্রমাণিত হয়। প্রতিষ্ঠানে অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তি ছিলেন। যেমন ভিএসএসসিতে। তারা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়গুলোয় আমাদের দায়িত্বশীলতা ও অঙ্গীকার উপেক্ষা করতেন। পুরো কার্যক্রমে এমন ধরনের লোকদের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল সংকটজনক অংশ। আর কুশলী হাতে এটা করতেন ড, ব্ৰহ্ম প্রকাশ।
.
একটা প্রজেক্ট টিম হিসাবে আপনি যখন কাজ করবেন, তখন সাফল্যের ব্যাপারে আপনাকে একটা জটিল দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে। সেটা দরকার হয়ে উঠবে আপনার জন্য। সবসময়ই প্রত্যাশার সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলবে। আর প্রজেক্ট টিম খন্ডিত হয়েও যেতে পারে বাইরের সাব-কন্ট্রাক্টরদের ও প্রতিষ্ঠানের ভেতরকার বিশেষজ্ঞ দপ্তরের টানাটানির মধ্যে। ভালো প্রজেক্ট টিম দ্রুত সেই ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিবর্গকে খুঁজে বের করতে পারে যার মাধ্যমে আলোচনা চালান যেতে পারে। তাদের চাহিদা নিয়ে এসব ব্যক্তিদের পক্ষে আলোচনা চালান নিশ্চয় প্রধান প্রত্যাশিত বিষয় হবে। পরিস্থিতি পরিবর্তন বা উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত আলোচনাও চলতে থাকবে, সে নিশ্চয়তা বিধান করাও জরুরি। অপ্রীতিকর সারপ্রাইজ বহিরাগতরা অপছন্দ করে। তেমন কিছু না ঘটার ব্যবস্থা নিতে হবে ভালো দলকে।