ব্যারণ মার্টিন আমাদের যে ঘটনা বলেছে। আমি বললাম তার সঙ্গে এর কি সম্পর্ক। সম্পর্ক একটা আছে। এইগুলো এখন বোঝা যাচ্ছে না তবে একদিন তা বোঝা যাবে। আমার মনে হচ্ছে। পোয়ারো অত্যন্ত আশাবাদী।
হেস্টিংস আমি মনে করি না সে খুন করতে পারে। সে খুনের কথা বলেছে সরলভাবে এবং আমি হঠাৎ খুব তাড়াতাড়ি মিস অ্যাডমসের বাড়ির দিকে রওনা হলাম। কিন্তু ঠিকানা না জানায় আমরা থিয়েটার দেখে তা যোগাড় করলাম।
.
দ্বিতীয় মৃত্যু
আমি পোয়ারোর কথার কোন মানে বুঝছিলাম না। মিস অ্যাডমসের ঘর নিচের একতলায় আমরা রোজভিউ ম্যানসনে এসে পৌঁছলাম।
একজন মহিলা দরজা খুলে দিলেন। তিনি বললেন, ঘুমের মধ্যে অ্যাডমস মারা গেছেন। পোয়ারো মাথা নেড়ে বলল, খুব দেরী হয়ে গেছে।
তার মতামত ঠিক আছে। ভদ্রমহিলা বললেন, ক্ষমা করবেন। আপনারা কি ওনার বন্ধু, আপনাদের তো আগে আমি দেখিনি।
সে বলল যে, আপনি ডাক্তার ডেকেছেন? তিনি কি বললেন।
মহিলা বললেন, অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মৃত্যু। সে খুব ভালো মেয়ে ছিল।
পোয়ারো মহিলাকে বলল, আমি গোয়েন্দা-আমি তোমার কত্রীর সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করব।
এই মৃত্যুটা অ্যাকসিডেন্ট। দয়া করে আমাকে ডাক্তারের ঠিকানা বলুন। ডাক্তার হিথ, ১৭ কর্নেল ঠিকানা বলল। তার নাম অ্যানিসবেনেট।
আপনি মিস অ্যাডমসের সঙ্গে জড়িত। আমি দেখতে পারি মিস বেনেট।
হ্যাঁ। সে খুব ভালো মহিলা ছিল। এক বছর ধরে তার কাজ করছি।
পোয়ারো অত্যন্ত সমবেদনা নিয়ে তার কথা শুনছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম সে এইভাবে সবঘটনা জানতে চাইছিল। এটা খুব দুঃখ দিচ্ছে তোমাকে, তাকে সেটা বলল পোয়ারো।
সে বলল, রাত সাড়ে নটার সময় অ্যাডামস ঘুমিয়ে পড়েছিলেন আমি ভেবেছি। আমি চা নিয়ে এসে ট্রেটা নামিয়ে রাখলাম। আমি পর্দা টেনে দিলাম। একটা রিং যখন আওয়াজ করল। তখন তার খুব আওয়াজ হওয়া সত্ত্বেও তিনি কিন্তু ঘুমিয়ে থাকলেন। আমার কিরকম অদ্ভুত লাগছিল। তাই আমি তার বিছানার পাশে গিয়ে তার গায়ে হাত দিলাম। তিনি রোজ রাত্রে ঘুমের জন্য ওষুধ খেতেন।
সে আরো বলল, কাল ৭টার সময় বেরিয়ে গেছিল। কাল তার সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসেনি। সে একটা মুক্তোর হার সবসময় পড়ত। তিনি সমসময় হাসিখুশী থাকতেন। সে রাত ২ টোর সময় ফিরলেন। তিনি আগের দিন খুব ক্লান্ত ছিলেন।
পোয়ারো বললেন, তার মনে আছে সেটা ভিক্টোরিয়ার ফোন নম্বর।
পোয়ারো বললেন, তার ভুল হতেও পারে। পোয়ারোর চোখ পড়ল একটি ছোট স্যুটকেস এ একটি অ্যাটচি কেসের ওপর। কাল সকালে তিনি ওগুলো নিয়ে গেছিলেন। আচ্ছা, আমি কি ওগুলো খুলিতে পারি। অ্যালিকস কিছুই বললো না যা পোয়ারো করতে চান।
পোয়ারো বলল, তুমি কি ভাবছ। অ্যালিকস তার মনে হয় সে তার বন্ধু মিস ড্রাইভার-এর সঙ্গে লাঞ্চ খেয়েছে। তার একটা টুপির দোকান আছে। ওয়াশিংটনে বোনকে চিঠি লেখেন।
শোবার ঘরে কারলেটা অ্যাডামস ঘুমোচ্ছে। তাকে দেখে হেস্টিংস নিয়ে যেতে চাইল। তার মনে হল সে তাকে বাঁচাতে পারল। যখন সে এডওয়্যারের মৃত্যু শুনেছে। তখন সে একেবারে মারা গেছে।
.
জেনি ড্রাইভার
পরের দিন ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তার তখন ড্রাগ নিয়েছিলেন।
ডাক্তার একটা ছোট ব্যাগ থেকে ভাল পেয়েছেন। তিনি এটা দেখালেন সি. এ. প্যারিস থেকে নভেম্বর ১০ টা শুভরাত্রি। তাই, আমরা এখানে জুনে আসি, এবং বোঝা যায় তার স্টাফের রসের সঙ্গে কথা বলা ছমাসের মধ্যে, এটা আঠেরো, তার আগে তিনি প্যারিসে ছিলেন।
সে কারোর প্রতি অনুরক্ত নয়।
সে কল্পনাবিলাসী নয় বাস্তববাদী।
পোয়ারো বললেন, আপনি ডি নামে কাউকে চেনেন।
না তিনি চেনেন না, বললেন তার বন্ধু।
.
অহংবাদী লোকটি
আমি মনে করি না পোয়ারো কোন উত্তর দেবেন তার প্রশ্নের। জেনি ড্রাইভার সোজা হয়ে টেবিলে বসেছিলেন।
পোয়ারো ড্রাইভারকে বললেন। তিনি তার উত্তর পেয়ে খুশী। তিনি অনেক কিছু বলেছেন। তুমি জানতে চাও আমি তোমাকে কি বলতে চাই। তোমাকে আমি কিছু ঘটনা বলতে চাই।
তিনি বললেন, কাল রাত্রিতে এসেছিলেন রাত দশটার সময় মিসেস অ্যাডমস। লেডি এডওয়্যার বলে পরিচয় দেন। তিনি মাথায় সোনালী উইগ পড়ে ছিলেন। তিনি বাড়ি ছেড়ে যান দশটা পাঁচ মিনিটে এবং তিমি মাঝরাতের আগে বাড়ি ফেরেননি। তিনি ঘুমোত যান অতিরিক্ত ভালে সেবা করে। আমি এরপর আপনাকে কিছু জিজ্ঞাস করতে চাই। সে বলল, আমি মনে করি আপনি ঠিক বলেছেন। সেইজন্য হয়তো সে একটা নতুন টুপি কিনেছিল। সে তার বাঁদিক ঢাকতে চেয়েছিল। এটা সাধারণত মাথার ডানদিকে পরা হয়। পোয়ারো বললেন।
এখন আমার মনে হচ্ছে কারলেটা তার মুখ ঢাকতে চেয়েছিল।
আমি মনে করলাম রিজেন্ট গেটের সামনে বাঁদিকে খোলা হল। তাই যে কেউ তাকে যদি দেখবে তাকে দেখতে পারেনি। আমি মনে করছি যে জেন-এর মুখের সামনে বাঁদিকে একটা আঁচিল আছে। পোয়ারো তাতে সম্মতি দিলেন।
জেন বললেন যদি আপনি একমুহূর্তে চিন্তা করেন যে, কারলেটা তাকে মেরেছে।
আমি এটা মনে করি না, কিন্তু এটাই মনে হয় আমি এর জন্য গরণটা জানতে চাই। পোয়ারো বললেন, এটা বিজ্ঞানসম্মতভাবে খুন করা হয়েছে।
খুনীরা জানে যে কোথায় মারলে নাকে ব্যথা লাগবে। তোমার কি মনে হয় অ্যাডামের কোন ডাক্তারে সঙ্গে জানাশোনা ছিল। না আমি তা জানি না। সে জানাল তিনি চশমাও পরতেন না।