আমি তোমার লক্ষ্যে, সাফল্য লাভ করবো। মনে কর, হ্যাঁ সকলেরই দুর্বল জায়গা আছে। আমি যদি মনস্তত্বের ভিত্তি করি তাহলে আমি চেষ্টার ত্রুটি করব না।
আমি তার সঙ্গে পরের দিন রিজেন্ট পার্কে যেতে চাই। কিন্তু সে আমাকে নিতে চায় না তার মতে এটা যদি দোষনীয় না হত এবং রহস্যজনক ঘটনা না হত, তাহলে তোমার হৃদয় উজ্জীবিত করবে।
আমি বললাম আমি যাবই, পোয়ারো খুব হাসল। এটা খুবই বিস্ময়কর আমাদের আগন্তুক হলেন ব্যারণ মার্টিন।
নায়ককে সকালের আলোতে বুড়োটে দেখাচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল, যে, সে ড্রাগ নিচ্ছে। মিস্টার পোয়ারো সুপ্রভাত, তিনি বললেন, মিঃ হেস্টিংস আপনাকে দেখে আমি খুব খুশী হয়েছি। আমি মনে করছি আপনি খুব ব্যস্ত।
না আপাতত আমি ব্যস্ত নই। ব্যারণ বললেন স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ড থেকে ডেকে নিয়ে যায় না। কোন ঘনিষ্ঠ ব্যাপার। আমি এটা খুব বিশ্বাস করি।
তুমি অলীক ও বাস্তব গুলিয়ে ফেলছ। আমি সত্যিই বলছি এখন আমার কাছে কোন কাজ নেই। ব্যারণ বললেন যে, এটা আমার সৌভাগ্য যে আপনি আমার জন্য কিছু করতে পারবেন।
পোয়ারো বললেন, আমার জন্য কোন সমস্যা আছে বুঝি, আছে এবং নেইও এইরকম আর কি। এইসময় তার হাসিটা ভয়ে ভরা ছিলো। তিনি পোয়ায়োর সামনে বললেন, তার মধ্যে কোন গণ্ডগোল চলছিল।
সে অসুবিধা বোধ করছিল। সে তার একটা সমস্যা যার সম্পর্কে তিনি বেশী কিছু চাইছিলেন না। সমস্ত ব্যাপারটা আমেরিকাতে শুরু হয়েছে। একটা সামান্য ঘটনা আমার দৃষ্টি এড়ায়নি; আমি যখন ট্রেনে যাচ্ছিলাম, আমি তখন একজন লোক দেখলাম, যার সোনালী দাঁত ছিল এটাই আমার মধ্যে ঘটনার সৃষ্টি করে, পাইলট তার মাথাটা নাড়াচ্ছিল। তিনি বললেন, আমি ডিউক লোকটিকে দেখেছি তার ছ মাস পরে লসঅ্যাঞ্জেলসে লোকটাকে দেখেছি। তার একমাস পরে যখন আমার হোটেল যাবার প্রয়োজন হলে সেখানে গিয়ে তাকে আবার দেখলাম। তখন তার দাড়ি ছিল না। এটা খুবই অদ্ভুত ব্যাপার।
অদ্ভুতই বটে। আমি কিছুই মনে করতাম না যখন তাকে শিকাগোতে দেখলাম, অদ্ভুত জুতা এবং জামা নিয়ে। আমি ভীষণ অবাক হলাম। আমার মনে হয় তাকে আমি ছায়াসঙ্গী বলতে পারি।
খুবই আশ্চর্যের। এটা নয় কি? আমি আরও অবাক হলাম। প্রত্যেকবার আমি তার সোনার দাঁত লক্ষ্য করেছি। কিন্তু আমি কখনো তার সঙ্গে কথা বলিনি। তাকে আমি জিজ্ঞেস করিনি যে কেন সে তার সঙ্গ নিচ্ছে।
অভিনেতা বললেন, না, তিনি তা করেননি। আমি করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু তার পর তার বিপক্ষে গেলাম। একদিন হয়ত আবিষ্কার করবে যে আমি তাকে অনুসরণ করেছি তারা হয়তো আমার জন্য অন্য কাউকে ঠিক করবে যাকে আমি বুঝতে পারব না।
কেউ যার সোনার দাঁত থাকবে না, পোয়ারো বললেন। তিনি বললেন, তাদের বলতে কাদের বোঝাতে চাইছেন।
এটা কথার কথা, আমি অসুবিধার জন্য বলছিলাম। আসলে আমি মাপ চাইছি। আমি তার পেছনের লোকগুলো সম্পর্কে জানি না।
আপনি কি তাদের কারণ বিশ্বাস করেন? না কেউ না।
ব্যারণ মার্টিন বললেন, এটা আমার মনে কিছুটা স্থান গ্রহণ করে। অনেক সময় এই মনে করাই ঠিক হয় ওঠে।
আমার সঙ্গে লণ্ডনের ঘটনা দুবছর আগে ঘটেছিল। এটা খুব ছোট ঘটনা ছিল কিন্তু এটা আমি ভুলতে পারিনি। আমি কিছু ব্যাখ্যা পাইনি। এই দুঃখজনক পরিস্থিতির অন্য কিছুর সঙ্গে সম্পর্কে আছে আমি সেটাতে অবাক হই।
আপনি দেখেছেন তাতে একজন মেয়ে ছিল। এর কারণ শুনবেই তুমি। সুষম কখনও এটা বলতে পারো না। কিন্তু এটা একদিন বা দুদিনে হতে পারে না। তার মনে তুমি একজন তরুণীর মতামত নিতে চাও। এখন সে ইংল্যাণ্ডে আছে। যখন সে আমার পিছু করছিল। সে শেষ আঠারো মাস সেখানে ছিল।
মিস্টার পোয়ারো এখন বলুন যদি আমি তার অনুমতি পাই আপনি কি আমার জন্য কাজ করবেন।
পোয়ারো বললেন, আমি এই জিনিষটা যাতে পরিষ্কার হয় তার জন্য চেষ্টা করব। কিন্তু যদি আপনি এ কাজে তদন্ত করেন তাহলে তা এখন জনসাধারণের মধ্যে যেন প্রচারিত না হয়। পোয়ারো বললেন, এটা নির্ভর করে তুমি কি মনে কর। যদি এতে কোন দোষণীয় না থাকে।
আমাকে বল তোমাকে যে অনুসরণ করে তার কত বয়স হবে। তিরিশ হবে। হ্যাঁ এটা দেখার বিষয়। এটা বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আমি তাকে দেখতে শুরু করলাম। পোয়ারো বলল, বেশ আকর্ষণীয় হচ্ছে ব্যাপারটা। আমার মনে হয় তার দৃষ্টি একদম ঠিক।
ব্যারণ বলল, জেন একজন উঁচু যারা আছে তাদের মধ্যে।
পোয়ারো বলল, তার এদিকে দৃষ্টি।
পোয়ারো বলল, যে, সুন্দরী রমণীর সঙ্গে সে ভালো সম্পর্ক নিয়ে চলে।
ব্যারণ বললেন, আমি তা মনে করি না।
জেনকে নিয়ে কথা হচ্ছিল। কথা অন্য রাস্তায় চলে যেতে মার্টিন বললেন যে তিনি মনে করেন জেন একটা পাপ করতে পারে।
.
একটি আলাপচারিতা
আমি ও পোয়ারো লর্ড এডওয়্যারের রিমোট-এর সঙ্গে খুব ভালো অনুমান করলাম। আমার পোয়ারোর মনস্তত্ব সম্পর্কে নিমগ্ন ছিলাম না কিন্তু লেডি এডওয়্যার যা তার স্বামীর সম্বন্ধে বলছিলেন তাতে কৌতূহল বাড়াল।
দরজা খোলা হলো একজন খুব সুন্দর, লম্বা যাকে আমি কখনও দেখিনি, অত্যন্ত ভদ্র, সুন্দর ছেলেটি, সে যেন আমাকে কারো কথা মনে করিয়ে দিলো। কিন্তু সে যে কে আমি জীবনেও মনে করতে পারি না।
সে আমাদের এডওয়্যারের ঘরে যাবার রাস্তা দেখিয়ে দিল। তিনি যে ঘরে বসে ছিলেন সেটি একটি লাইব্রেরী। লর্ড এডওয়্যার যিনি বছর পঞ্চাশের একজন লোক। তার দৃষ্টি অন্তর্নিহিত তার কালো চুল কিছুটা ধূসর হয়ে এসেছে। সেখানে নিশ্চয়ই কিছু ছিল। তার ব্যবহার ছিল পোশাকী। আমরা বসলাম। জানালা দিয়ে কিঞ্চিৎ আলো আসছিল এবং ঘরটা বেশ ঠাণ্ডা।