হয় সে মিথ্যে বলছে নয়ত তার স্বামী মিথ্যে বলেছে। আপনাকে তিনি বিয়ে করেননি বলে হয়তো যাতে তার ডিভোর্স না হয় এজন্য তিনি চিঠিটা চেপে দেন।
ব্যারণ মার্টিন সব অস্বীকার করেছেন। যখন মিস অ্যাডামস তার বোনকে চিঠিটা দেখালেন যে এটা মনে হলো খুবই খারাপ। শেষে এটা আবিষ্কার করা গেল এই চিঠিটা আমাকে লেখা হয়েছিল। রোনাল্ড চিঠিটার মাঝখানটা ছিঁড়ে দিয়েছিল। কাপ্টেন মার্শ যখন গ্রেপ্তার হলো সে দৃঢ়স্বরে বলল, সে ব্যারণকে বাড়িতে যেতে দেখেছেন। তার মনে হয় না মার্টিন খুন করবেন।
তাহলে এবার মিস ড্রাইভারের দিকে আঙুল তোলা যায়। যখন আমি মিস্টার মার্টিনের সঙ্গে আপনাকে দেখলাম আমি বুঝেছিলাম আপনি অসুবিধা বোধ করছেন। আপনি বোঝাতে চাইছিলেন আপনার বন্ধু রোনাল্ড মার্শের সঙ্গে বেশী ঘনিষ্ঠ ব্যারণের সঙ্গে নয়। আমার মনে হয় আপনি লেডি এডওয়্যারকে পছন্দ করতেন না। যখন রোনাল্ড ধরা পড়েছেন। তখন তিনি রোনাল্ডকে হত্যা করেন। যাতে সে হেস্টিংসকে সব কথা বলে না দেয়।
আমি হেস্টিংসকে ৫টি প্রশ্ন করেছিলাম কে চিঠিটা চেয়েছিল। উত্তর হলো ব্যারণ মার্টিন।
হঠাৎ ডিভোর্সের কথা বদলালেন কেন। সে হয়তো নিজে পরে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তা কেউ ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছেন। হয়তো তিনি চানি তার জীবনে কোন দুর্ঘটনা ঘটুক। বদনাম হোক। আমি যাদের সন্দেহ করিনি তার মধ্যে ক্যারল যিনি চশমা পড়েন, তিনি তার বাড়িতে ছিলেন। তিনি তার প্রমাণের সঙ্গে সাযুজ্য নয়। তিনি এরকম খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তার মধ্যে কোন মোটিভ থাকতে পারে। গ্লেডউইন মার্শ তার বাবাকে অশ্রদ্ধা করত। সে তার বাবাকে খুন করতে পারে। সে তার ভাইকে ভালোবাসত। সে বাইরে থেকে এসেছিল। তার ভাইও খুন করতে পারে।
এখানে একটা ছোট সূত্র আছে। মিস অ্যাডামসের ব্যাগ থেকে একটা বাক্স পাওয়া গেছে। সেখানে D লেখা, গ্লেডউইনকে তার ভাই ডিনারে বলত, সে গত নভেম্বরে প্যারিসে তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে।
এরপর আমরা ডিউকের মার কথা বলতে পারি যদি তিনি চান তিনি তার ছেলের জীবন শেষ করে দিতে পারেন। এরপর জেনী ড্রাইভার। তার পদবী D দিয়ে শুরু হয়। বাটলার ও কাপ্টেন মার্শ মার্টিনকে রিজেন্ট গেটে যেতে দেখেছিল। সে হয়ত দেখেছিল খুন হতে। মার্শ তিনি খুন হতে এনভেলাপ ভর্তি টাকা নিয়ে বেরিয়ে যান।
সকালে বাড়ির ঝি এটা বুঝতে পারে লেডি এডওয়্যার-এর কোন উদ্দেশ্য থাকুক বা না থাকুক স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ড তাকে তদন্ত করে।
যদি চশমাটা মিস ক্যারলের হয় এবং চিঠিটা যদি চেপে যায় কাটলেন অ্যাডামসের সঙ্গে তার বিকালে কথা হয়। কারলেটা অ্যাডামসের ব্যাগে তার চশমাটা পাওয়া যায়।
হেস্টিংস আমাকে বলেছিল সে, রোনাল্ড সর্বপ্রথম মন্টেগু কর্নার থেকে উঠে দাঁড়াতে দেখে। আমি জেনের পরিচারিকার কাছ থেকে সবকিছু জানতে পারি।
.
আসল গল্প
সে বলল যে, কারলেটা অ্যাডামস ৭টার সময় পিকাডেলী প্যালেস আসে, সে রাতের ট্রেনে লিভারপুল যাবে। সে লাগেজ পায়। ৮.৩০ লেডি এডওয়্যার আসে। সবাই একসঙ্গে ডিনার খায়। লেডি জেনকে কেউ চেনে না। লেডি এডওয়্যার একটা উইগ পড়েছিলেন এবং চশমা, সে বিকালে উইগটা খুলে লেডি এডওয়্যারের সঙ্গে কথা বলেন। এটা তাদের মধ্যে বলা ছিল। এরপর লেডি এডওয়্যার রিজেন্ট গেটে এসে লর্ড এডওয়্যারের সঙ্গে ছল করে লাইব্রেরীতে এসে তাকে মারেন। সে জানত না যে মিস ব্যারণ তাকে দেখেছে। কাটলেন একটা ছোট বাক্সে ব্যাগের মধ্যে চিঠিটা পায়।
চিঠিটা পড়ে রোনাল্ড মার্শকে দেখে যায় এই দুর্ঘটনা ঘটানোর প্রয়োজন ছিল। সে এনভেলাপটা বদলে তার ব্যাগে ঢোকাল।
এরপর সে স্যাভয় হোটেলে গেল তারপর সে কালো পোশাক পড়ল এরপর ক্যাটলেনা অ্যাডামস সেখানে গেছিল। লেডি এডওয়্যার কারলেটার সঙ্গে বিজয় উৎসবের ভাষাতে অতিরিক্ত ভার্নাল সেবন করিয়ে তাকে মেরে ফেলল। এরপর মন্টেগু কর্নারে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইল। সে যখন তাদের একথা বলবে বলেছিল। সময় বুঝে তাকেও শেষ করে দেওয়া হয়।
পোয়ারো বললেন যে, কাথিলকরা কোন বিবাহিত মহিলাকে বিবাহ করবেন না। তাই এই জন্য বিধবা হয়ে তাকে বিয়ে করাই ছিল তার লক্ষ্য। আসলে সে অভিনয় করতে পারত বলে এটা তার কাছে সুবিধা ছিল।
তাহলে তোমাকে কেন লর্ড এডওয়্যারের কাছে পাঠান হল।
ব্যারণ মার্টিন সর্বান্তঃকরণে তার প্রেমিকার দুঃখ চায়। জ্যাপ বললেন যে, তাহলে ওই বাক্সটা কি?
লেডি এডওয়্যার এলিসের চশমা নিতে চান। এলিস তার বাক্সের জন্য প্যারিসে যান।
ড্রাইভার বিয়ে করতে চান ব্যারণকে। পোয়ারো বললেন, আপনি অত্যন্ত দৃঢ় যে আপনি একজন ফিল্মস্টারকে বিয়ে করেছেন।
.
মানসিক প্রমাণ
লেডি এডওয়্যার সুইসাইড করেন। তিনি মারা যাবার আগে চিঠি লিখেছে।
সে লিখেছে যদি আমি বিধবা হই তাহলে মার্টিন আমাকে বিয়ে করবে তাই ক্যাটলেনা অ্যাডামসকে দিয়ে স্বামীকে মেরে ফেলতে চাইলাম। তাকে ১০,০০০ ডলার দেব বলে রাজী, হলাম। সে আগ্রহী হল।
সে আমার হোটেলের প্ল্যানটা দিল। সে আমাকে চশমা দিল।
আমি তাকে খুন করলাম। প্রমাণ না রাখার জন্য একটা চিন্তা এল। আমি সেই বাক্সটার মত অপর বাক্স নিয়ে তাতে সব জিনিষ রাখলাম। যাতে তা বোঝার অসুবিধে হয়। আমি এলিসকে সেখানে পাঠালাম। সে এবিষয়ে কিছু জানত না।