উইলিংফোর্ড থেকে আমি শ্ৰীমতী অলিভারকে ফোন করলাম, তিনি অনেক কষ্টে নিজের কৌতূহল ও উত্তেজনা দমন করে ডাক্তার রবার্টসকে নিয়ে আমার বাড়িতে হাজির হলেন। ডাক্তার রবার্টস যখন সব মিটে গেছে ভেবে স্বস্তিবোধ করলেন ঠিক তখনই আকস্মিকভাবে চরম আঘাত এসে পড়লো। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। মিঃ পোয়ারো বিদ্যুৎগতিতে শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তার ফলে তিনি আর নতুন কোনো কৌশল প্রয়োগ করতে পারলেন না। অসহায়ভাবে ধরা দিতে বাধ্য হলেন।
সঙ্গে সঙ্গে এই রহস্যময় মামলার পরিসমাপ্তি ঘটলো।
কিছুক্ষণ সবাই নিস্তব্ধ হয়ে রইল, অবশেষে রোডা নীরবতা ভঙ্গ করলেন।
ভাগ্যিস জানলার ধারে দাঁড়িয়ে লোকটা সমস্ত দেখতে পেয়েছিলো তা না হলে ডাক্তার রবার্টস ধরাই পড়তেন না।
না, না সেটা কোনো ব্যাপার নয় ম্যাডাম, সমস্তটাই পোয়ারোর উর্বর মস্তিষ্কের কৃতিত্ব। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন।
এসো এসো বন্ধু লুকিয়ে থাকার আর দরকার নেই। উইণ্ডো ক্লীনার কে সবাই-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
ইনি একজন সম্ভাবনাপূর্ণ নতুন অভিনেতা।
তাহলে সমস্ত ব্যাপারটা একটা ভাওতা! তাহলে রবার্টসকে সত্যিই কেউ দেখেনি!
আমি দেখেছিলাম, পোয়ারোর কণ্ঠস্বরে গম্ভীর আত্মপ্রসাদের সুর। মনের চোখ দিয়ে অনেক কিছুই দেখা যায়।
ডেসপার্ড সকৌতুকে বললেন, এসো রোড, আমরা এনাকে খুন করে দেখি খুনীকে বৃদ্ধার প্রেতাত্মা ধরতে পারেন কিনা।