এ্যানথনি মাথা নাড়লো, অর্থাৎ তার যাওয়ার ইচ্ছে নেই। এতদিন পর মন থেকে তার দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। খুশীতে ভরে আছে তার হৃদয় মন। বহুদিন পর আইরিসকে একান্ত আপন করে কাছে পেয়েছে। সে এই মুহূর্তটিকে নষ্ট হতে দিতে চায় না।
রেস ওদের কাছ থেকে বিদায় নিলো।
-আচ্ছা এ্যানথনি, আইরিস সরাসরি তাকালো এ্যানথনির চোখের দিকে, তুমি কি করে বুঝলে, আমি খুন করিনি, অথচ ওঁরা তো ধরে নিয়েছিলো, আমি খুনী।
শোন প্রিয়তমা, আমার ভালোবাসাই আমার মনে এ বিশ্বাস এনেছে। এ্যানথনি বলে, আমার অন্ততঃ অনুমান তাই।
এ্যানথনি একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে আইরিসের নীল চোখ আর রক্ত লাল কম্পমান ঠোঁটের দিকে। আইরিস লজ্জা পায় চোখ নামিয়ে নেয়।
অনেকক্ষণ নীরবে কেটে যায়। একসময় স্বপ্ন ভঙ্গ হয় এ্যানথনির।
–আশা করি তিনি আর আমাদের কাছাকাছি নেই, তাই না?
–তিনি মানে কে? কার কথা বলছো এ্যানথনি?
-এই প্রশ্নের উত্তর তো তোমার কাছে আছে আইরিস। রোজমেরি…আমার ধারণা, তিনি জানতেন যে, তখন তুমি ভীষণ বিপদের মধ্যে পড়ে আছে।
রোজমেরি, তোমাকে জানাই অজস্র ধন্যবাদ, বিদায়। –একেই বলে স্মৃতিচিহ্ন। কান্না ভেজা কন্ঠে আইরিস বলে, তার ভালোবাসা যেন আমরা কখনো বিস্মৃত না হই। ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।