টম মিটলেনের মেরিনার খুব কাছেই ক্ৰটন ক্লাবের আলোটা নিভে গেল। লিডা বলল, আমরা দুজনই দুজনের জন্য সব কিছু করব। ভাবলাম লিডার তো কাজের এত আগ্রহ ছিল, তাহলে সে শরীরী খেলার পুতুল হচ্ছে কেন? লিডার আমাকে প্রথম জন ছিল। আমাকে সে যত না ভয় করত টনটন ম্যাকিউটকে সে বেশী ভয় করত। ভুদু চার্চে যে মারাত্মক কাণ্ড ঘটেছিল সেটা বেশ বিশ্বাসজনক ছিল।
আমি লাখ লাখ ডলারের বোট এবং অস্ত্রের ওপর বসে আছি। তখনকার মতোই আমি তার পছন্দসই মানুষ, সেই জন্যই আমি তাকে বিশ্বাস করি।
পানীয় নিয়ে ফিরে এলে লিডাকে জিজ্ঞেস করলাম বোটটার মালিক কে?
লিডা সিগারেট জ্বালালো। স্টানফোর্ডের বাসিন্দা কি এক্সচেঞ্জের কর্মী ডোনাল্ড ক্যাম্পবেলের কাছে আমাদের নৌকা বাঁধা আছে। অবশ্য তিনি এখন আর নেই। কোন কাগজ? স্টেটরুমের ড্রয়ারে যা আছে? মাথা নাড়লাম, আজ রাতে দরকার নেই। মেয়েটা একটা সিগারেট আমার মুখে দিল এবং আঙুলগুলো আমার চিবুকে দিল, বলল, আমি যা করতে চাই তাই কর। সে আমার গালে চাপ দিল। খুব তাড়াতাড়ি করতে লাগল। তখন সে আর ধৈর্য ধরতে পারল না।
এরপর শুধু সে আর আমি এবং মুঠো মুঠো অন্ধকার।
.
০৪.
ভাসমান একটা ডকের পাশে সী-উইচটাকে রাখলাম। কালো রঙের, রোগা একটা ছোট ছেলে, মাথায় ছোট চুল, এসে অভিবাদন করে দাঁড়াল, বললাম, আমাদের অপেক্ষা করে আছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রাত। লিডা ভ্রুকুটি করে বলে ইয়েস, ক্যাপ্টেন ডার্লিং। ছেলেটাকে কাঁধে নিয়ে ডক-বোর্ডিং এবং থামের দিকে গিয়ে প্রশ্ন করলাম টম মিটলেন কোথায়? ছেলেটি বলল তিনি অফিসে আছেন।
টম মিটলেন যখন হংকং-এর কনসিউলেটর-এর জাহাজের পরিচালক ছিল তখন আমি তাকে জানতুম, সে তখন একজন বুড়ো গোলন্দাজ বিদ্যার সারজেন্ট ছিল। আমাকে চিঠিতে জানিয়েছিল সে তার জীবনটা জাহাজে কাটাতে চায়। ইটের একটা ছোট বাড়িকে উদ্দেশ্য করে জানলাম ওটাই অফিস। বললাম, টমকে আমি চিনি, তোমাকে আমার এখন আর দরকার নেই বলে পাঁচ ডলার দিয়ে বিদায় করলাম।
দরজাটা অর্ধেক ভোলা ছিল। টম দরজার দিকে পিঠ করে বসেছিল। মাথায় টাক, ঘাড়টা সামান্য উঁচু। দরজা ঠেলে দাঁড়াতে টম চেয়ার ঘুরিয়ে তাকাল আমার দিকে। প্রভু যীশুকে স্মরণ করে বললাম, নোপ তুমি আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছ। নিকোলাস হান্টিং কার্টার বেঁচে থেকে খুব সামান্যই খরচ করেছিল। সে একটু সাহায্য চেয়েছিল। চেয়ারে বসা অবস্থায় টম আমার হাতদুটোকে মুঠো করে ধরল। মুখটা আলোর মতো জ্বলজ্বল করছিল। একটা ড্রয়ার খুলে একটা ওল্ড পাইপ ড্রাইভার নিল। আর দুটো গ্লাস নিয়ে এল। গ্লাসটা হাতে নিয়ে এল। গ্লাসটা হাতে নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললাম, টম তোমাকে দেখে আমি খুব আনন্দ পেলাম। কিন্তু এখন আমাদের মদ খেয়ে মাতলামি করবার সময় নয়। আমার এখন সাহায্য প্রয়োজন যা একটু রহস্যপূর্ণ। টম জানত না যে আমি এ. এক্সই, সে শুধু জানত যে, আমি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ করি। আমার মনে হলো যে, সে বোধহয় আমাকে সি. আই. এ বলে ভাবছে। তার দিকে দাঁত খিঁচিয়ে বললাম–বেশ। ভালো লাগছে। তোমার ব্যাপারটা খুলে বলতো। সব কিছু কেমন রহস্যময় মনে হচ্ছে। কোয় যেন গোলমাল আছে। বললাম সব লোককেই আমি চিনি। কেউই নিজেকে বিরক্ত করবে না। টম খালের দিকে চেয়ে বলল, তোমার কোন সাহায্য দরকার আছে কি? মাথা নেড়ে না বলে আবার বললাম যে, সে যেন সৈন্য দলের সঙ্গেই থাকে যদি তার গায়ের জোরের দরকার হয়। টম জানাল বার্ধক্য তার সারা অঙ্গে এসে হাজির হয়েছে। এরপর ডেক্স থেকে ফোনটা তুলে টমকে বললাম, আমি তার কাছে থেকে শুধু আমার স্বেচ্ছাধীনতার সাহায্য চাই। বললাম আমি যেখানে ছিলাম এবং যেখানে আছি সেখান থেকে প্রায় ৫৭ ফুট দূরে প্রত্যেকটা লোককে যেন রাখে।
টম পয়েন্ট ৪৫ অটোমেটিক নিয়ে বেরিয়ে এল, যেটা ১৯১১ সালের মডেল। বলল–টমি আমাকে ছেড়ে যেতে চাও? আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। অপারেটরকে ডায়াল করলাম। টমকে আমি খুব বিশ্বাস করেছিলাম। এবং তার কাছে একটা এস পি তালিকা ছিল যাতে শুধু রহস্যগুলোর রহস্যই থাকবে। বললাম সে থাকতে চায় তাই যেন কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখে।
অপারেটার ওয়াশিংটনে এ. এক্সকে ডাকার জন্য বলল, রাত ডিউটি অফিসারকে পেশায়। শুনলাম হক নিউইয়র্কে আমাদের দেখার জন্য ছুটে আসছেন। ভাবলাম তার প্রথম এজেন্টকে দেখার জন্য ওয়াশিংটনে এসেছিল বুড়ো লোকটা? নরকের দুঃস্বপ্নের রাত শুরু হতে চলেছে। আমায় বেয়ারা চালাঘর থেকে ফোন করতে আশ্বস্ত হলাম যে হক তাহলে পৌঁছে গেছেন। বললাম, ভদ্রলোককে থাকতে বল। আচ্ছা উনি কি এখানে আছেন? দুরাভাষে ভেসে এল হকের হুঙ্কার, নিক, আশা করি তোমার কর্তব্য থেকে তুমি এতটুকু বিচ্যুত হওনি। আমি ঠিক বলছি তো, এস, বি.-র, উপরে অনেক খুঁটিনাটি কথা আছে। এর অনেক ঘটনাই আমাদের জানা নেই কিন্তু এটাই হলো সমস্ত সমস্যার উৎস। স্টেভ বেনেটের যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল তার মধ্যে নরকের সৃষ্টি হয়ে গেছিল এবং এক্স এই কাজের মধ্যে যুক্ত ছিল না। কিন্তু মেয়েটা কোথায়? আমি বললাম, আমি একটা খেলনা রাজহাঁস পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু লাপার ছেলেরা লাপাকে খুব গর্বিত করেছিল। হঠাৎ উন্মাদনা ভেসে আসে, আমি দুটোকেই জীবন্ত অবস্থায় মেরে ফেলেছি। বলালম, আমি গানবোটও পেয়েছি। হক বললেন, পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে যদিও এখন নিরাপদ। জিজ্ঞেস করলেন হেডকোয়ার্টার থেকে তার নামে কোন নির্দেশ এসেছে কিনা। আমি তখন তাকে অর্ডার করলাম। ১৫ মিনিটের জন্য আমি জিনিসগুলো নিলাম। বেশ কিছু তার কমপিউটারের কাছে গুম গুম শব্দ করে উঠল, তখনই আমি হকের সঙ্গে শেষ কথা বলেছি। হককে বললাম যে, সমস্ত অভাবটাই আমার জন্যে। হক বললেন, মুখগুলোই এখন বাজে বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বললেন, আমি একা ঐগুলো নিয়ে হাইতিতে শিয়ার কাছে যাব। আমি জানতাম যে ঐ এক্স-এর কোন লোক নেই যে আমাকে একটু সাহায্য করতে পারবে, বললাম, এটা খুবই জটিল ব্যাপার। বললাম, এখন আমাকে আপনার কাছে থেকে পৃথক হতে হবে এবং শুনতে হবে, বিশেষ করে ভি.এর উপর। হক বললেন ড. রোগেরা ভ্যালডেজ-এর সমস্ত রহস্য মানতে হবে, দরকার হলে তাকে হত্যা করতে হবে। হক বললেন, যদি আমার কিছু করার থাকে তবে প্রথমে আমি সি. জি. পরে কে, ডর তারপর নতুন ব্যাপারগুলো দেখব। আমি বললাম হক যেন সমুদ্রের গার্ডের সঙ্গে থাকেন এবং জানতে চাইলাম ওয়েস্ট-এ নতুন ব্যবস্থার জন্য হাত বাড়াব কিনা। বললাম, আমার এখানে যে ভাউচার আছে তার সম্মান আমি রাখব। হককে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন রাখলাম। মনে মনে বললাম যে ভগবানের জোরেই এত খেলা চলেছে। হাইতিতে ভ্যালডেজকে হত্যা করতে হবে কিন্তু লিডার ওপর নজর দিতে হবে। তাকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে কারণ অভিযানে সফল হলে সিয়া আর নিষ্ঠার হক লিডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইবে। দরজায় টোকা দিতে টম বেরিয়ে আসতেই বললাম যে সমস্ত কাজ শেষ। বললাম একটা কাগজ দাও, আমি তোমার জন্য একটা ভাউচার করে দেব। টম বলল, ওসব কিছুরই দরকার হবে না। আমি বললাম ওটা করের টাকা! আমি তোমাকে তোমার নিজের টাকা দিয়ে দেব। টম বড়সড় করে তালিকা বলল ঐ ভাবেই সে কাজটা করবে।