- বইয়ের নামঃ মাইন ক্যাম্ফ
- লেখকের নামঃ অ্যাডলফ হিটলার
- প্রকাশনাঃ দি স্কাই পাবলিশার্স
- বিভাগসমূহঃ অনুবাদ বই
০১. ধূসর অতীত – মা বাবার সঙ্গে
মাইন ক্যাম্ফ (আমার সংগ্রাম)
মূল : অ্যাডলফ হিটলার। রূপান্তর : আক্কাস আলী। প্রকাশকাল : বইমেলা ২০১৩
লেখকের কথা
১৯২৪ সালের ১ এপ্রিল, মিউনিক গণ-আদালতের বিচারে লেখ্ নদীর তীরে ল্যান্ডবার্গের দুর্গে আমার কারাবাসের দিনগুলো শুরু হয়।
গত কয়েক বছরের অবিশ্রান্ত পরিশ্রমের পর একটা কাজ করার মত সময় এ প্রথম আমার ভাগ্যে জোটে; অনেকেই আগে আমাকে অনুরোধ করেছে এবং আমি নিজেও ভেবেছি যে আমাদের সংগ্রামের পক্ষে এটা অত্যন্ত মূল্যবান। সুতরাং এ ভেবেই আমি এ বইটা লেখা শুরু করি, যার মূল উদ্দেশ্য শুধু সংগ্রামটাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়, তাকে উন্নত করাও। তাই এ বই থেকে এমন অনেক কিছু শেখার আছে যা তৎকালীন পারিপার্শ্বিক লেখা বা প্রবন্ধ থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।
আমি কিভাবে উন্নতির সোপান বেয়ে ওপরে উঠেছি, এ বইয়ের প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশে তা বর্ণনা করেছি। শুধু তাই নয়; আমার সম্পর্কে ইহুদী সাংবাদিকরা যে কল্পিত অপপ্রচার করেছে, সেটা ধ্বংস করার সুযোগও এ বইয়ের মাধ্যমেই আমি পেয়েছি।
এ বই আমাকে দূরে সরিয়ে রাখবে না, বরং সংগ্রাম যাদের হৃদয়ের দাবি তাদের কাছাকাছি আমাকে পৌঁছে দেবে, তাদের জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে। আমি জানি যত লোককে মুখের কথায় কাজ করানো যায়, লেখার দ্বারা তা সম্ভব নয়। প্রতিটি সৎ এবং মহৎ সংগ্রাম পৃথিবীতে যা সংগঠিত হয়েছে, তা জন্ম নিয়েছে মহৎ বক্তার বক্তৃতা থেকে, কোন বড় লেখকের লেখা থেকে নয়।
যাহোক, ভণিতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের দৃঢ় হাতিয়ার হিসেবেও লেখাটা প্রয়োজন। সুতরাং এ বইটি তার ভিত্তিপ্রস্তর।
অ্যাডলফ হিটলার
দি ফোর্টেস
ল্যান্ডস্বার্গ লেখ্ নদীর তীরে
.
উৎসর্গ
১৯২৩ সালের ৯ নভেম্বর সাড়ে বারটার সময় ফেল্ড হেরেনহালের সামনে গণ-আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এবং মিউকিনের সামরিক বাহিনী কর্তৃক তৎকালীন জনগণের উদ্ধারকার্যে ব্রতী হওয়ার দোষে যারা নিহত হয়েছেন :
অ্যালফার্থ ফেলিক্স, ব্যবসায়ী, জন্ম ৫ জুলাই, ১৯০১ সালে।
বাউরিড্যাল অ্যানড্রেস, টুপী প্রস্তুতকারক, জন্ম ৪ মে, ১৮৮৯ সাল।
ক্যাসেলা থিয়োডর, ব্যাঙ্ক কর্মচারি, জন্ম ৮ আগস্ট, ১৯৯০ সাল।
অ্যারলিক উইলহেম, ব্যাঙ্ক কর্মচারি, জন্ম ১৯ আগস্ট, ১৮৯৪ সাল।
ফাউষ্ট মার্টিন, ব্যাঙ্ক কর্মচারি, জন্ম ২৭ জানুয়ারি, ১৯০১ সাল।
হেথেনবার্গার আন্তু, তালা প্রস্তুতকারক, জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯০২ সাল।
কর্ণে অস্কার, ব্যবসায়ী, জন ৪ জানুয়ারি, ১৮৭৫ সালে।
কুন কাইল, মুখ্য পরিচালক, জন্ম ২৬ জুলাই, ১৮৯৭ সাল।
লাফোর্স কার্ল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র, জন্ম ২৮ অক্টোবর, ১৯০৪ সাল।
নই বাউয়রে ফুর্ট, পরিচালক, জন্ম ১৬ আগস্ট, ১৯০৪ সাল।
ফোর্ডটেন থিয়োডর ভন্ ডার, উচ্চ প্রাদেশিক কোর্টের কাউন্সিলার, জন্ম ১৪ মে, ১৮৮৪ সাল।
রিকমাস জো, অবসরপ্রাপ্ত অশ্ববাহিনীর অধিনায়ক, জন্ম ৭ মে, ১৮৮৪ সাল।
সাউনার রিতার মাস্ক আরভিন ভন্, ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার, জন্ম ৯ জানুয়ারি, ১৮৮৪ সাল।
স্ট্রানস্কি লরেন্স রিটার্ন ভন, ইঞ্জিনিয়ার, জন্ম ১৪ মার্চ, ১৮৯৯ সাল।
উলফ উইলহেলম্ ব্যবসায়ী, জন্ম ১৯ অক্টোবর, ১৮৯৮ সাল।
তথাকথিত জাতীয়তাবাদী অফিসারবৃন্দ এ মৃত নায়কদের এক জায়গায় কবর দেওয়ার সুযোগটুকু পর্যন্ত দিতে অস্বীকার করে। সে কারণে আমি আমার লেখা এ বইটির প্রথম অংশ তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম; যাতে সেসব শহীদ স্মৃতির চিরায়ত শক্তি আমাদের সংগ্রামী সৈনিকদের আলো দেখাতে পারে।
অ্যাডলফ হিটলার
দি ফোর্টেস্,
লেখ্ নদীর তীর, ল্যান্ডস্বার্গ
১৬ অক্টোবর, ১৯২৪ সাল।
.
০১. ধূসর অতীত
মা বাবার সঙ্গে
ইন নদীর তীরে ব্রুনাই গ্রামে জন্মেছিলাম বলে আজ নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। ব্রুনাই ছোট গঞ্জশহর; সাদামাঠা হলেও জায়গা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক দুটো প্রদেশের মাঝে। এ দুই প্রদেশের একত্রীকরণের জন্য যে কোন উপায়েই আমাদের সারাটা জীবন উৎসর্গ করা উচিত।
জার্মান এবং অস্ট্রিয়াকে একই পতাকাতলে নিয়ে আসতে হবে। হ্যাঁ, তা ছলে-বলে অথবা যে কোন রকমের কৌশল প্রয়োগ করে। যদিও অর্থনৈতিক দিক থেকে বিচার করলে অস্ট্রিয়াকে জার্মানির পতাকাতলে না আনাটাই উচিত। হয়তো বা চরম বোকামি। কারণ সেদিক থেকে উভয়েই চরম অসুবিধায় পড়বে। তবু একত্রিকরণ করা চাই, যে কোন মূল্যে; এবং উপায়ে। দুদেশের লোকের ধমনীতে যখন একই রক্ত প্রবাহিত, তখন তাদের সবাইকে এনে জার্মানির পতাকাতলে দাঁড় করাতে হবে। নিজেদের সন্তানেরা যদি একত্রে পাশাপাশি দাঁড়াতেই না পারে তবে বিদেশী রাষ্ট্র জয়ের চিন্তাটা নিছক বাতুলতা। যখন জার্মানরা নিজেদের রাষ্ট্রের ফসলে নিজেদের উদর পূর্তি করতে পারবে না, তখনই অন্য রাষ্ট্রের দিকে হাত বাড়ানো উচিত। অবশ্য লাঙলটাকে উল্টো করে তখন তরবারী হিসেবে তা ব্যবহার করতে হবে। যুদ্ধের সময় স্বজন হারানোর চোখের জলে উত্তরকালের জার্মানদের জন্য সৃষ্টি করবে দৈনন্দিন বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় রসদ রুটি।