কিশোর ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।
মিস্টার পারকার এবং জিনাও।
কিশোর বলল, ব্যাপার কিছু বুঝলেন, পারকার আঙ্কেল?
হ্যাঁ। সালমি ভালই খেল দেখিয়ে গেল। এখন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে নেজার ম্যাণ্ডারের বর্ম আমার ভাই পাঠায়নি। ওর নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে সে নিজেই… কতবড় দুঃসাহস!
কিন্তু কেন? জিনা প্রশ্ন করল। কেন সে এ কাজ করতে গেল?
কেন আবার। নিরিবিলিতে জানের দুশমনকে খতম করার। জন্যে। আমার জাদুঘরটাকেই বেছে নিয়েছিল সে কাজটা সারবে বলে।
চিঠিটা শেষ করো, জিনা বলল।
চিঠির শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্যে লেখা রয়েছে:
জিনা-কিশোর, কফিনের ভেতর তোমাদের জন্যে বিশেষ জিনিস আছে।
জিনার চেহারা থেকে রক্ত সরে গেল। নির্ঘাত কোনও লকেট হবে! বলল কাঁপা গলায়।
তিনজোড়া হাত একযোগে ঢুকে গেল কফিনের ভিতর। সবাই ভাল করেই জানে, আর যা-ই হোক, কোনও লকেট অন্তত নেই ভিতরে।
দুহাতে কাগজ সরাতে লাগল সবাই।
একটা প্যাকেট ঠেকল কিশোরের হাতে। নরম।
বের করে আনল। ফিরোজা রঙের কাগজে মোড়ানো ওটা।
কিশোর-জিনার হৃৎপিণ্ড উত্তেজনায় লাফাতে শুরু করেছে।
কাগজটা ফড়ফড় করে ছিঁড়ে ফেলল কিশোর। সাদা কিছু একটা আছে প্যাকেটের ভিতর।
দুটো টি-শার্ট।
ওগুলো একে একে খুলে ফেলল কিশোর। ওগুলোর বুকে-পিঠে লেখা:
ভূত বিশেষজ্ঞ!