হঠাৎ সচকিত হয়ে খটাস করে স্যালুট কিল ফগ। ইয়েস, স্যার! নিশ্চয় স্যার! ঝামেলা!
হাঁটতে হাঁটতে কি মনে হতে কিশোরের দিকে ফিরে তাকালেন ক্যাপ্টেন, তুমি তো যেটা ধরো, সেটা শেষ করে ছাড়ো। ভেনট্রিলোকুইজমের বই পড়েছ বললে। শিখেছিলে নাকি?
হাসল কিশোর, খুব সামান্য। প্র্যাকটিস করতে গিয়ে তেমন ভাল লাগেনি বলে অল্প শিখে ছেড়ে দিয়েছি।
মুখটা নড়ে উঠল তার। গলাটা কেমন ফুলে উঠল। স্বর কিংবা কথা কিছুই বেরোল না।
ফগের ঠিক মাথার ওপরে একটা পেঁচা ডেকে উঠল কিররর-কিররর-কিররর। চমকে মুখ তুলে তাকাল সে। আহ, ঝামেলা! দিনকাল কি উল্টে গেল নাকি? এই দুপুরবেলা পেঁচা বেরোয়!
পেঁচা কেন, মাথার ওপর কোন পাখিই দেখতে পেল না সে। আরও অবাক হয়ে গেল। এ কি ভূতুড়ে কাণ্ড! ডাক দিয়ে মুহূর্তে কোথায় উধাও হয়ে গেল পাখিটা?
কিন্তু ক্যাপ্টেন আর তার সঙ্গী ঠিকই বুঝে ফেলেছেন ব্যাপারটা।
ফগের দিকে তাকিয়ে ক্যাপ্টেন বললেন, এখানেই তোমার সঙ্গে কিশোরের তফাৎ। ওর সামান্য চালাকিটাও ধরতে পারলে না। ঠিকই বোকা বানিয়ে ছাড়ল।
বড় বড় হয়ে গেল ফগের গোল চোখ। বোকাটা বনল কি করে ধরতে পারল না।
এখনও বুঝলেনা? আরে বোকা, ডাকটা কিশোরই দিয়েছে। ভেনট্রিলোকুইজম নিয়ে এত আলোচনা হলো, তাও মাথায় ঢুকল না? তোমার মাথার ওপর ও ছুঁড়ে দিয়েছে পেঁচার ডাক। এ জন্যেই তো পাখিটাকে দেখতে পাওনি। সবার সামনে বোকা বনে এতই হতাশ হয়ে গেল ফগ, তখনকার মত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল, চাকরিটাই ছেড়ে দেবে। বিচ্ছু ছেলেটার কাছে পরাজিত হয়ে বার বার এ ভাবে লজ্জা পাওয়া থেকে তো বাঁচা যাবে। বিড়বিড় করে বলল, আহ, বড্ড ঝামেলা! তবে এতই আস্তে, কারও কানে গেল না কথাটা!