আসল কথাটা হলো দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মানসিক চাপ থাকলে ভাল মেজাজ খারাপ হয়ে যায় হাসলেন তিনি হলে একটা ব্যাপার বোঝা যাচ্ছে, এই দীর্ঘ যাত্রায় একসঙ্গে থেকে থেকে অনেক কাছাকাছি চলে এসেছেন তোমাদের। নিঃসঙ্গ জীবনে তিন তিনজন ভাল বন্ধু জুটিয়ে নিয়েছেন।
হাসল না কেবল মুসা।
এখন আসল কথা শোনো, পরিচালক বললেন, খাওয়াতে এনেছি। কোথাও আরামে বসে তোমাদের গল্পটা শোনার জন্যে। আরও একটা প্রস্তাব– দিতে পারি, হাতে কাজ না থাকলে আমার সঙ্গে যেতে পারো। আমার নতুন ছবিটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে আজ রাতে। মিস্টার রাবাকে ফোন করে দাও। সম্ভব হলে যেন সন্ধ্যার দিকে চলে আসেন আজ তিনি। কয়েক ঘণ্টা সময় দেন আমাদের।
পরিচালকের প্রস্তাবে খুশি হলো কিশোর।
তবে মুসাকে তেমন খুশি দেখাল না। আমতা আমতা করে বলেই ফেলল, এ ধরনের অনুষ্ঠানে যেতে ভয় লাগে আমার, স্যার।
অবাক হলেন পরিচালক। কেন?
অর্কিডপ্রেমীদের অনুষ্ঠান তো দেখলাম। বাপরে বাপ! ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটা আলোচনা অনুষ্ঠান দেখেছিলাম একবার। টিভির সামনে থেকে উঠে সোজা দৌড় দিতে ইচ্ছে করে। অর্কিডওয়ালারা। তার চেয়ে বিরক্তিকর!
হেসে ফেললেন পরিচালক। না, অতটা বিরক্তিকর লাগবে না আমাদের অনুষ্ঠান, কথা দিতে পারি তোমাকে, উত্তেজনা আর আনন্দের অনেক খোরাক পাবে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রচুর খাবার সাজানো দেখবে টেবিলে, মুসার দিকে সরাসরি তাকালেন তিনি। চোখে মিটিমিটি হাসি। তোমার পছন্দ মত।
এইবার হাসি ফুটল মুসার মুখে। তাহলে স্যার আর কোন আপত্তি নেই আমার।