চলো এখান থেকে বেরিয়ে যাই, উঠে দরজার কাছে চলে গেল মুসা। ডাইনিং রূমের খুব কাছাকাছি রয়েছি আমরা। যে কোন সময় চলে আসতে পারে পাগলটা।
কোথায় যাব? হাতের তালুতে থুতনি ঠেকিয়ে বসে রইল কিশোর।
সৈকতে। ওখানেই তো পালিয়েছিলাম।
কি হবে তাতে?
হয়তো হবে না কিছু। কিন্তু এখানে যেমন, ফাঁদে আটকা পড়া ইঁদুরের অবস্থা তো আর হবে না। দৌড়াদৌড়ি করার অন্তত সুযোগ থাকবে।
উঠে দাঁড়াল কিশোর। ঘরটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে আলোটা নিভিয়ে দিল। তাতে আগের চেয়ে অন্ধকার লাগল সুড়ঙ্গটা। গরমও বেশি লাগছে কেন যেন। বদ্ধ বাতাসে বিশ্রী একধরনের ভাপসা গন্ধ।
ওই দেখো, হাত তুলে ফিসফিস করে বলল মুসা।
কিশোরও দেখল। সামনে কয়েক গজ দূরের একটা দরজার ফাঁক দিয়ে হলদে আলো আসছে।
পাতলা আলোর ফালিটার দিকে তাকিয়ে আছে ওরা, এই সময় ঘরের ভেতর পায়ের শব্দ শোনা গেল। তারপর কাশি।
খাইছে! ভয়ে কেঁপে উঠল মুসার গলা। ভূত না তো?