হ্যাঁ, ক্লান্ত ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকালো রিড। গুহা থেকে বেরিয়ে খোলা বাতাসে আসার পর অনেকটা সুস্থ লাগছে তাকে, ঘোরের ভাবটা আর নেই! চল, যাওয়া যাক।
হাঁটতে জ্যাকের অসুবিধে হলো না, কিন্তু রিড একেবারেই পারলো না। পালা করে তাকে বয়ে নিয়ে চললো ছেলেরা। জিনার কোলে টোগো। ছাড়লেই সোজা পথে না গিয়ে ওটা আরেক দিকে চলে যেতে চায়।
মাঝপথে দেখা হলো পুলিশের সঙ্গে। কলিউডের ফোন পেয়ে গুহার দিকেই আসছিলো। রিডের দায়িত্ব নিলো ওরা।
ফার্মে ফিরে এলো ছেলেমেয়েরা। উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছিলেন জনির বাবা, মা, আর ল্যারি। উষ্ণ সংবর্ধনা জানালেন সবাইকে। জিনার কোল থেকে টোগোকে প্রায় কেড়ে নিলো ল্যারি। জড়িয়ে ধরে আদর করতে করতে বললো, পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাসটা তুই ছাড়, বুঝেছিস! বড়দের মতো করে বললো সে। বড় খারাপ অভ্যাস! ধরে একদিন এমন মার লাগাবো… কথা আর শেষ হলো না তার। যেন বুঝতে পেরেই মারের ভয়ে ঝটকা দিয়ে তার হাত থেকে ছুটে গিয়ে মাটিতে লাফিয়ে পড়লো বাচ্চাটা। তিড়িং বিড়িং করে খানিকটা লাফিয়ে নিয়ে দৌড় দিলো গোলাঘরের দিকে। ওটাকে ধরে আনতে ছুটলো ল্যারি।
বাচ্চা দুটোর কাণ্ড দেখে হাসতে আরম্ভ করলো সবাই। এমনকি রিডও পায়ের ব্যথা ভুলে গিয়ে হেসে উঠলো।
পাগল ছেলে! সস্নেহে সেদিকে তাকিয়ে বললেন মা। থাক, আর কিছু বলবো না টোগোকে। ওটার জন্যেই আজ ওদের ফিরে পাওয়া গেল..আরে, তোমরা সব দাঁড়িয়ে কেন? এসো এসো, ঘরে এসো। চা-নাস্তা রেডিই আছে।
ওসব নাস্তা-ফাস্তায় কাজ হবে না আমার, হেসে হাত নাড়লো জ্যাক। আমার আর রিডের ভুড়িভোজন দরকার। কখন যে শেষ খেয়েছি, ভুলেই গেছি।
ঠিক আমার কথাটা বলেছেন,তুড়ি বাজালো মুসা। কখন যে খেয়েছি মনেই নেই। এতো খাটাখাটনি করেছি, মনে হচ্ছে নাড়ি পর্যন্ত হজম হয়ে গেছে। আন্টি, দুটো বড় বড় কেক, আর অন্তত খানকুড়ি মাংসের বড়া না হলে চলবে না আমার।
পাগল ছেলে! মুসার দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয়বার বললেন মিসেস কলিউড।