উঠে দাঁড়াল ডলি। বলল, চা-টা আমিই দিই। কেটলি হোকে কাপে ঢালতে শুরু করল সে। সবাইকে দিতে দিতে বলল, আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি দুএকদিনের মধ্যেই। বাবাকে বলে দিয়েছি, আবার স্কুলে যাব। পড়ালেখা ভ ল ত শেষ হলে ভর্তি হব অভিনয়ের স্কুলে। ট্যালেন্ট থাকলে আমার অভিনেত্রী হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না।
এই তো বুদ্ধিমতি মেয়ের মত কথা, লেখক বললেন। ট্যালেন্ট এবং আত্মবিশ্বাস। যে কোন কাজ স্বাভাবিক উপায়েই করা উচিত।
শেষ হয়ে গেল খাওয়া। কোন প্লেটেই তার কিছু নেই।
আতঙ্কের মহর্ত উপস্থিত। ভয়ে ভয়ে কিমের দিকে তাকাতে লাগল কিশোর আর রবিন।
বুঝে ফেলল কিম। জোরে জোরে মাথা নেড়ে বলল, ভয় নেই, আজ ইংরেজি ছাড়া কিছু করিনি। তবে আমাজানের জংলীদের একটা বিশেষ ডিশ করার ইচ্ছে আছে। সাপের মাংস, বানরের রক্ত আর…
সেটা কবে! আতকে উঠল রবিন।
অবশ্যই জানাব। দাওয়াত করব তোমাদেরকে, আশ্বাস দিয়ে বলল কিম।
অন্তত সাতদিন আগে জানাবেন। যাতে আমেরিকা ছেড়েই পালাতে পারি। রীতিমত আতঙ্ক ফুটেছে রবিনের চোখে।
লেখক বললেন, আমিও পালাব তোমার সঙ্গে। পরের একটা মাস আর বাড়িমুখো হব না।
মুখ বাকাল কিম। এত বেরসিক লোকদের নিয়ে পারা যায় না। বলল, আসলে আপনাদেরকে আমার দরকার নেই। আমি মুসাকে পেলেই খুশি। কি বলো, মুসা?