রোজারের কি খবর? সন্দেহমুক্ত হয়েছে নিশ্চয়? কাগজে তো কিছু লেখেনি।
হয়েছে। পুলিশের কাছে মুখ খুলেছে বিল আর তার সঙ্গীরা। গুপ্তচরগিরি আর দূতিয়ালী করত রক। বিলের গ্রুপের মত অনেক গ্রুপ আছে রিপাবলিকানদের। নেতাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করত রক, এনে রাখত মিস্টার রোজারের ফ্রিজে। তারপর মাসে একবার প্লেনে করে যেত মেকসিকো সিটিতে, রডরিগেজদের কারও হাতে সেই টাকা দিয়ে আসত। সব না। কিছু কিছু করে রেখে দিত নিজের জন্যে, বুঝতে পারেনি কেউ।
রকই জিনো, তাই না?
হ্যাঁ। রক জিনিমুর রেনাল্ড। মায়ের দেশ মেসা ডিওরো। বাপের নাম রেনান্ড, আমেরিকান। রকের নানার নামও ছিল জিনিসুর, রিপাবলিকানদের একজন বড়সড় নেতা ছিলেন। রকের মা-ও ছিলেন বড় নেত্রী। মায়ের মৃত্যুর পর রক যোগ দেয় রিপাবলিকানদের দলে।
হুঁ। আচ্ছা, কি করে বুঝলে, ব্যাংক ডাকাতির কিছু টাকা রেখে দিয়েছে সে?
বুঝিনি, আন্দাজেই বলে ফেলেছিলাম। কিছু একটা বলে দেরি করাতে চাইছিলাম ওদের, তাই বিলের মনে সন্দেহ ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলাম, মুসল কিশোর। কাজে লেগে গেল ফন্দিটা।
অন্ধ কে সেজেছিল? নিশ্চয় রক?
হ্যাঁ, জবাব দিল রবিন। তার গাড়ির ট্রাংকে উইগ আর মেকাপের সরঞ্জাম পেয়েছে পুলিশ। অ্যাট্রানটো সেজে ডাকাতি করতে যাওয়াটাকে বেশ একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার মনে করেছিল রক।
হাসলেন সাইমন। ওদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার মূলে ওই রক। মাইসের কথা বল। মুভিং কোম্পানিটা একটা ভাঁওতা, তাই না? আসলে ব্যবসা করত বেআইনী অস্ত্রের?
হ্যাঁ, জবাব দিল মুসা। গা ঢাকা দিয়েছে মাইস। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, এখনও ধরতে পারেনি।
এখন আসল কথাটা বল। সিনথিয়া ব্যানালিসের সঙ্গে এসবের কি সম্পর্ক?
কোন সম্পর্ক নেই। তার বাড়ি মেসা ডিওরোতে, বিলকে চেনে, ব্যস। রিপাবলিকানদের সাপোর্ট করে, তবে টেরোরিস্টদের নয়।
বিলের সঙ্গে ঝগড়া লাগল কি নিয়ে?
তাকে নিজের দলে ঢোকাতে চাইছিল বিল। সিনথিয়া রাজি হয়নি।
ভাল করেছে, খামটা রবিনের হাতে ফিরিয়ে দিলেন সাইমন। ভাল কাজ দেখিয়েছ তোমরা। আচ্ছা, তোমাদের এই গল্প নিয়ে যদি একটা বই লিখে ফেলি, আপত্তি আছে?
আমাদের নেই, বলল কিশোর। তবে মিস্টার ডেভিস ক্রিস্টোফারকে জিজ্ঞেস করতে হবে। আমার মনে হয় রাজি হবেন তিনি। আপনি বই লিখে দিলে ছবি। বানাতে সুবিধে হবে তার।
হ্যাঁ, ঠিকই বলেছ। সে-ই ভাল। আগে তাকে জিজ্ঞেস করে নাও, গাল চুলকালেন লেখক। তা আমার সঙ্গে সাগরে বেড়াতে যাচ্ছ কবে?
ছিপ নেবেন তো, স্যার? মুসা জিজ্ঞেস করল।
নিশ্চয়ই।
হাসি ছড়িয়ে পড়ল মুসার সারা মুখে। তাহলে যখন বলবেন তখনই।