আমি এখানে কেন এসেছি জানো? মহিলার উন্মুক্ত বাহুতে হাত রাখল লেফটেনেন্ট। বিশ্বাসঘাতকরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে জনসাধারণের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। এখানে অস্ত্র লুকানো আছে। আমরা জানি। কোথায় ওগুলো?
ভীরু মেষশাবকের মত কাঁপছে মহিলা, লেফটেনেন্টের পাশে থেকে সরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। বলল, হুজুর, আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ। সে অস্ত্রশস্ত্রের কথা কিছু জানে না।
জানে না? ডি ক্রেসপেডেস মহিলাকে কাছে টানল। তোমরা ওই সন্ত্রাসবাদীদের সম্পর্কে কিছু জানো না? মাচাডাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তোমরা কিছুই জানো না?
সামনে এগিয়ে এল লোপেজ। ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিল স্ত্রীকে। আমরা কিছুই জানি না, হুজুর।
ডি ক্রেসপেডেস টেবিলের পাশ থেকে সরে গেল। কঠোর চেহারা। এ লোকটাকে ধরো। খেঁকিয়ে উঠল সে।
এক সৈনিক লোপেজের হাত মুচড়ে পিঠের কাছে ঠেসে ধরল।
মহিলা তার ঘন চুল খামচে ধরল। বিস্ফারিত চোখ। ওহ না… না….।
ডি ক্রেসপেডেস নিজে সার্চ পার্টিতে অংশ নিল, কিন্তু পেল না কিছুই। আবার রোদে বেরিয়ে এল সে, বাকি দুই সৈনিককে চিৎকার করে আদেশ দিল খামারের বাইরের অংশটা খুঁজে দেখতে। তারপর ফিরে এল। দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তাকাল লোপেজের দিকে। অস্ত্রগুলো কোথায় লুকিয়ে রেখেছ? বলল সে। জলদি বলো।
মাথা নাড়ল লোপেজ। আমরা অস্ত্রের ব্যাপারে কিছু জানি না, হুজুর।
সৈনিকের দিকে ফিরল ডি ক্রেসপেডেস। ওকে শক্ত করে ধরে রাখো। তারপর সে পা বাড়াল মহিলার দিকে। মহিলা ঘুরল ছুট দিয়ে পাশের কামরায় চলে যেতে, কিন্তু ওখানে দরজা আটকে দাঁড়িয়ে আছে আরেকজন সৈন্য। হাসছে। দাঁত না যেন পিয়ানোর চাবি। কী করবে সেই ভাবনায় দিশেহারা লোপেজের বউ, ডি ক্রেসপেডেস এসে খপ করে তাকে ধরে ফেলল। এক টানে ছিঁড়ে ফেলল ব্লাউস। মহিলা দুই হাতে বুক আড়াল করে দেয়ালে গুঁড়ি মেরে বসল। ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
ডি ক্রেসপেডেস কাঁধের ওপর দিয়ে তাকাল লোপেজের দিকে। তুমি মরে যাওয়ার পরপরই তোমার বউকে আমি নেব। বলল সে। খাসা মাল।
বহু কষ্টে নিজেকে সামলে রাখল লোপেজ। সৈন্যটা এমনভাবে ওর হাত মুচড়ে ধরে রেখেছে, নড়াচড়া করতে পারছে না লোপেজ।
এক সৈনিক এমন সময় ঘরে ঢুকলে ডে ক্রেসপেডেস তাকে হুকুম দিল। এই লোকটা যতক্ষণ না কথা বলবে, একটা একটা করে ওর হাতের আঙুলগুলো কেটে ফেলবে।
চিৎকার দিল মহিলা। ডি ক্রেসপেডেসের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে তার হাত ধরে আকুল গলায় বলল, সত্যি বলছি আমরা অস্ত্রশস্ত্রের কথা কিছু জানি না, হুজুর। দয়া করে ওকে মারবেন না।
ডি ক্রেসপেডেস মহিলার দিকে তাকিয়ে হাসল। তারপর ধুলো মাখা বুট জুতো দিয়ে ওর উন্মুক্ত বুকে ধাক্কা মারল। লাথি খেয়ে ছিটকে পড়ল মহিলা। হাত দিয়ে আড়াল করল মাথা।
সৈন্যরা লোপেজকে জোর করে বসিয়ে দিল টেবিলে। শক্ত কাঠের ওপর টেনে মেলে ধরল হাত। তারপর বেয়োনেটকে ছোট কুঠারের মতো ব্যবহার করে এক নিগ্রো এক কোপে লোপেজের একটা আঙুল কেটে ফেলল।
ডি ক্রেসপেডেস বসে বসে দেখল ফিনকি দিয়ে বেরোনো রক্ত টেবিল থেকে গড়িয়ে টপটপ করে মেঝেতে পড়ছে। সে মুখ বিকৃত করে সিধে হলো।
লোপেজের বন্ধ ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে মৃদু আর্তনাদ ভেসে এল। দুই সৈন্য, যারা ওকে ধরে রেখেছে, এবার পালা বদল করল লোপেজের হাত টেবিলের ওপর ঠিকঠাক মেলে ধরতে।
ও কথা না বলা পর্যন্ত, বলল ডি ক্রেসপেডেস। জ্যাকেট খুলে সোর্ড বেল্ট খুলে ফেলল।
নিগ্রো বেয়োনেট তুলে নিয়েই সাঁই করে নামিয়ে আনল। হাড়ে ইস্পাত ঢুকে যেতে কট করে শব্দ হলো। আঙুল কেটে কাঠের মধ্যে ঢুকে গেল ফলা। ফলাটা বের করতে বেগ পেতে হলো সৈনিককে।
ডি ক্রেসপেডেস তার জ্যাকেট এবং সোর্ড বেল্ট টেবিলের ওপর রেখে এগিয়ে গেল মহিলার দিকে। ঘোঁত ঘোত করতে করতে কুঁকল। তারপর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে চলল অপর কামরাটিতে। মহিলাকে ছুঁড়ে ফেলে দিল বিছানায়। তারপর ফিরে এসে লাথি মেরে বন্ধ করে দিল দরজা। ঘরের ভেতরটা ভীষণ গরম যদিও জানালা দিয়ে ঢুকতে পারছে না রোদ।
মহিলা কাত হয়ে শুয়ে রয়েছে। হাঁটু জোড়া ভাঁজ হয়ে চিবুকে ঠেকে আছে। চোখ বুজে বিড়বিড় করে প্রার্থনা করছে। মোটকা শরীর নিয়ে বিছানায় উঠে এল ডি ক্রেসপেডেস, মহিলাকে ধরে চিৎ করে শোয়াল। তারপর হাতের জোরে চাপ দিয়ে ভাঁজ করা হাঁটু সমান করল। গা থেকে বাকি কাপড়টুকুও টেনে ছিঁড়ল। তার কোনো তাড়া নেই। তবে মহিলা তাকে ধাক্কা মেরে শরীরের ওপর থেকে ফেলে দিতে চাইলে সে জোরে ঘুসি। মারল বুকে, যেন পেরেক গাঁথল। যন্ত্রণায় নীল হয়ে গেল বেচারীর মুখ।
ডি ক্রেসপেডেস অভিজ্ঞতা থেকে জানে শক্ত, কাঠ হয়ে থাকা শরীর তাকে কোনো আনন্দ দিতে পারবে না তাই সে মহিলাকে শারীরিকভাবে ভেঙে ফেলতে মনস্থ করল।
দুই হাত রাখল মহিলার দুই বাহুর ওপর এবং নরম পেশীর মধ্যে ডেবে যেতে লাগল আঙুল। চোখ খুলে গেল মহিলার। আর্তনাদ করল। তার ওপর ঝুঁকে এল ডি ক্রেসপেডেস এবং বিশাল শরীর দিয়ে চেপে ধরে মোটা মোটা আঙুল মহিলার শরীরের আরও গভীরে ঢুকিয়ে দিল। ভয়াবহ ব্যথায় মহিলা কাঁদতে থাকল, প্রতিহত করার শক্তি নেই, নরম কাদা হয়ে পড়ে রইল বিছানায়। ডি ক্রেসপেডেস যখন মহিলার শরীরে প্রবেশ করল ততক্ষণে সে একদম শান্ত হয়ে গেছে, শুধু নিঃশব্দ কান্নায় অঝোরে জল ঝরছে চোখ বেয়ে।