০৫.
রাত হয়েছিল তন্দ্রায় জড়িত কণ্ঠে মৈত্র বললেন, ‘সুর, তুমি আজ আমাকে কী এক আজব রূপকথা শোনালে! এমন বানাতেও পারো!’
সুর একটু হাসলেন। বললেন, ‘তা কাহিনীটা লাগল কেমন?’
‘স্রেফ ফাঁকি দিলে।’ মৈত্র বললেন হাই তুলতে তুলতে, ‘আমি আশা করেছিলুম তোমার
জীবনের প্রচ্ছন্ন করুণ রোমান্স শুনতে পাব। তার কথা, যাকে তুমি বিয়ে করতে চেয়েছিলে, পাওনি বলে অবিবাহিত রয়েছ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সে আছে। এদেশে না হোক ওদেশে ‘সে’ একদিন ‘ও’ হবে কিনা জানিনে, কিন্তু তোমার ‘ও’ যাকে বলেছ ও তার বিকল্প নয়। আচ্ছা, আজ তবে আসি’
‘হবে না। হবে না। ‘সে’ তার স্থান ছেড়ে দিয়েছে। ‘ও’ আমার নয়ন জুড়েছে ও জুড়িয়েছে। আচ্ছা, শুনতে চাও তো শোনাব আরেক দিনা’ এই বলে সুর তাঁকে মোটরে তুলে দিতে চললেন। শোফারকে হুকুম দিলেন, ‘প্রিন্সিপ্যাল সাবকা কোঠি’
বেয়ারা এসে তাঁর সান্ধ্য পোশাক খুলে নিল। পরিয়ে দিল শোবার পায়জামা। এখন রাত জেগে মামলার নথি পড়া।