রুহান এগিয়ে গেল, মা দুই হাতে তাকে শক্ত করে চেপে ধরে ফিসফিস করে বললেন, আমি সৃষ্টিকর্তার হাতে তোকে সপে দিয়েছিলাম। সৃষ্টিকর্তা আবার তোকে আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে।
মা ছেড়ে দেবার পর রুহান জিজ্ঞেস করল, নুবা ত্রিনা কেমন আছে মা?
ভালো আছে।
কোথায় তারা?
ঘুমাচ্ছিল। এখন নিশ্চয়ই উঠেছে।
ঘুম ভাঙ্গা চোখে ততক্ষণে নুবা আর ত্রিনা উঠে এসেছে। অবাক হয়ে তার। তাদের ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
রুহান হাত বাড়িয়ে বলল, কাছে আস।
দুজনে দ্বিধান্বিত ভাবে এগিয়ে এসে তাদের ভাইকে স্পর্শ করে। নুবা ফিসফিস করে বলে, তুমি আর চলে যাবে না তো?
রুহান হেসে বলল, ধুর বোকা। আমি কী চলে গিয়েছিলাম? আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল!
তোমাকে আবার কেউ ধরে নিয়ে যাবে না তো?
না। নেবে না।
ত্রিনা নুবার দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলল, মনে নাই নুবা, সবাই বলেছে পৃথিবী আবার আগের মতো হবে। ভালো আর সুন্দর?
হ্যাঁ। ত্রিনা দুই চোখ বড় বড় করে বলল, দুইজন মানুষ এসেছে স্বর্গ থেকে, তারা সারা পৃথিবীটাকে সুন্দর করে দিচ্ছে!
নুবা চোখ বড় বড় করে রুহানের দিকে তাকাল, সেই মানুষ দুইজন নাকি অপূর্ব সুন্দর! তাদের চেহারা নাকী দেবদূতের মতোন। তাদের হাতের অস্ত্র দিয়ে তারা চোখ বন্ধ করে পৃথিবীর সব দুষ্টু মানুষকে শেষ করে দিতে পারে।
ত্রিনা বলল, তাদের মাথায় অনেক বুদ্ধি। তাদের বুকে নাকী সিংহের মতো সাহস।
নুবা বলল, পৃথিবীর সব মানুষ নাকী তাদের ভালোবাসে।
ত্রিনা বলল, আমরাও তাদেরকে ভালোবাসি। আমি আর নুবা প্রতি রাতে তাদের জন্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।
নুবা ছেলেমানুষের মতো বলল, আর তুমি জান। সেই দুজনের একজনের নাম রুহান রুহান! ঠিক তোমার মতোন। কী আশ্চর্য, তাই না?
রুহান ছোট দুটি বোনকে কাছে টেনে এনে ফিসফিস করে বলল, হ্যাঁ খুব আশ্চর্য।
মা একদৃষ্টে তার সন্তানের দিকে তাকিয়েছিলেন হঠাৎ কাঁপা গলায় বললেন, রুহান।
কী মা?
তুই–তুই সেই রুহান। তাই না?
রুহান এক মুহূর্তের জন্যে চিন্তা করল, তারপর বলল, হ্যাঁ মা। আমি সেই রুহান রুহান।
—XOXO—