ইতালি ৩, ব্রাজিল ২
.
গ্রুপ ঘ
উঃ আয়ার্ল্যাণ্ড ২, অস্ট্রিয়া ২
ফ্রান্স ১, অস্ট্রিয়া ০
ফ্রান্স ৪, উঃ আয়ার্ল্যাণ্ড ১
সেমি—ফাইনাল
ইতালি ২, পোল্যাণ্ড ০
পঃ জার্মানি ৮, ফ্রান্স ৭ (অতিরিক্ত সময়ের পর ৩—৩)
তৃতীয় স্থানের ম্যাচ
পোল্যাণ্ড ৩, ফ্রান্স ২
ফাইনাল (মাদ্রিদ)
ইতালি ৩, পঃ জার্মানি ১
গোলদাতা—ইতালির : রোসি, তারদেল্লি, আলতোবেলি।
পঃ জার্মানির : ব্রিটনার।
ইতালি—জফ (অধি), বারগোমি, সিরিয়া, কোল্লাভাতি, ক্যাব্রিনি, ওরিয়েলি, জেন্টাইলে, তারদেল্লি, কোন্তি, রোসি, গ্রাজিয়ানি (আলতোবেলি)।
পঃ জার্মানি—শুমাখার, কালৎজ, স্টাইলাইক, কার্ল—হাউঞ্জ ফরস্টার, বার্নড ফরস্টার, ড্রেমলার (রুবেশ), ব্রিটনার, ব্রিগেল, রুমেনিগে (অধি) (হানস মুলার), ফিশার, লিটবারশকি।
.
মেক্সিকো ১৯৮৬
.
প্রথম রাউণ্ড
গ্রুপ ১
ইতালি ১, বালগেরিয়া ১
আর্জেন্তিনা ৩, দঃ কোরিয়া ১
ইতালি ১, আর্জেন্তিনা ১
বালগেরিয়া ১, দঃ কোরিয়া ১
ইতালি ৩, দঃ কোরিয়া ২
আর্জেন্তিনা ২, বালগেরিয়া ০
গ্রুপ ২
মেক্সিকো ২, বেলজিয়াম ১
প্যারাগুয়ে ১, ইরাক ০
মেক্সিকো ১, প্যারাগুয়ে ১
বেলজিয়াম ২, ইরাক ১
মেক্সিকো ১, ইরাক ০
বেলজিয়াম ২, প্যারাগুয়ে ২
.
গ্রুপ ৩
ফ্রান্স ১, কানাডা ০
সোভিয়েত ইউঃ ৬, হাঙ্গেরি ০
সোভিয়েত ইউঃ ১, ফ্রান্স ১
হাঙ্গেরি ২, কানাডা ০
ফ্রান্স ৩, হাঙ্গেরি ০
সোভিয়েত ইউঃ ২, কানাডা ০
.
গ্রুপ ৪
ব্রাজিল ১, স্পেন ০
উঃ আয়ার্ল্যাণ্ড ১, আলজেরিয়া ১
ব্রাজিল ১, আলজেরিয়া ০
স্পেন ২, উঃ আয়ার্ল্যাণ্ড ১
ব্রাজিল ৩, উঃ আয়ার্ল্যাণ্ড ১
স্পেন ৩, আলজেরিয়া ০
গ্রুপ ৫
উরুগুয়ে ১, পঃ জার্মানি ১
ডেনমার্ক ১, স্কটল্যাণ্ড ০
পঃ জার্মানি ২, স্কটল্যাণ্ড ১
ডেনমার্ক ৬, উরুগুয়ে ১
স্কটল্যাণ্ড ০, উরুগুয়ে ০
ডেনমার্ক ২, পঃ জার্মানি ০
.
গ্রুপ ৬
পোল্যাণ্ড ০, মরক্কো ০
পর্তুগাল ১, ইংল্যাণ্ড ০
ইংল্যাণ্ড ০, মরক্কো ০
পোল্যাণ্ড ১, পর্তুগাল ০
মরক্কো ৩, পর্তুগাল ১
ইংল্যাণ্ড ৩, পোল্যাণ্ড ০
.
দ্বিতীয় রাউণ্ড (প্রি—কোঃ ফাইনাল)
মেক্সিকো ২, বালগেরিয়া ০
বেলজিয়াম ৪, সোভিয়েত ইউঃ ৩ (নির্ধারিত সময়ের পর ২—২)
ব্রাজিল ৪, পোল্যাণ্ড ০
আর্জেন্তিনা ১, উরুগুয়ে ০
ফ্রান্স ২, ইতালি ০
পঃ জার্মানি ১, মরক্কো ০
ইংল্যাণ্ড ৩, প্যারাগুয়ে ০
স্পেন ৫, ডেনমার্ক ১
কোঃ ফাইনাল
ফ্রান্স ৫, ব্রাজিল ৪ (অতিরিক্ত সময়ের পর ১—১)
পঃ জার্মানি ৪, মেক্সিকো ১ (অতিরিক্ত সময়ের পর ০—০)
আর্জেন্তিনা ২, ইংল্যাণ্ড ১
বেলজিয়াম ৬, স্পেন ৫ (অতিরিক্ত সময়ের পর ১—১)
সেমি—ফাইনাল
পঃ জার্মানি ২, ফ্রান্স ০
আর্জেন্তিনা ২, বেলজিয়াম ০
তৃতীয় স্থানের ম্যাচ
ফ্রান্স ৪, বেলজিয়াম ২ (অতিরিক্ত সময়ের পর ২—২)
ফাইনাল (মেক্সিকো সিটি)
আর্জেন্তিনা ৩, পঃ জার্মানি ২
গোলদাতা—আর্জেন্তিনার : ব্রাউন, ভালদানো, বুরুশাগা।
পঃ জার্মানির : রুমেনিগে, ফোলার।
আর্জেন্তিনা—পম্পিদো, ব্রাউন, কুসিউফো, রাগেরি, জুলিও, গুইস্তি, বাতিস্তা, এনরিকে, মারাদোনা, ভালদানো, বুরুশাগা।
পঃ জার্মানি—শুমাখার, জেকবস, বের্টোল্ড, কার্ল—হাইঞ্জ ফোরস্টার, ব্রিগেল, ম্যাগাট (হোনেস), এডার, ব্রেহমে, ম্যাটাউস, রুমেনিগে, ফোলার।
.
(সংযোজন)
১৯৯০ ইতালি
”ইতালিয়া ৯০”—এর জন্য ফিফা স্লোগান দিয়েছিল—”গো ফর গোল”, গোল বলতে বিপক্ষের গোলের দিকে ধাওয়া, নিজের গোলের দিকে নয়। কিন্তু অধিকাংশ দলই গোল করার থেকে নিজেদের গোল খাওয়া বন্ধের দিকেই বেশি মনোযোগী হওয়ায় গোলের অনুপাত সর্বকালীন কমতির দিকে নেমে যায়। প্রথম রাউণ্ডের ৩৬ ম্যাচে গোল হয় ৮২টি। গড়ে ম্যাচ পিছু ২.২৭ গোল। সারা পৃথিবী জুড়ে দর্শকরা গোলের উত্তেজনা ও চমকদারিত্ব না পেয়ে বিরক্ত হয়ে পড়লেন। অথচ গোল বাড়াতে স্ট্রাইকারদের সুরক্ষা দেবার জন্য ফিফা রেফারিদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছিল, গোল করা আটকাবার জন্য যেসব ডিফেণ্ডাররা ফরোয়ার্ডদের মেরে মাটিতে ফেলে দেবে তাদের যেন তখুনি মাঠ থেকে বার করে দেওয়া হয়। যারা একটা লাল বা দুটো হলুদ কার্ড দেখবে তাদের জন্য বড় রকমের জরিমানারও ব্যবস্থা হয়। কিন্তু সবই হল ভস্মে ঘি ঢালা।
আয়ার্ল্যান্ড চারটি ম্যাচের একটিও না জিতে এবং দুটি মাত্র গোল দিয়ে, এবং চারটি ম্যাচে ইংল্যান্ড তিনটি মাত্র গোল দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল। অথচ এই দুই দেশে গোল করাকেই নাকি ফুটবলের আসল ধর্ম বলে মনে করা হয়। আর্জেন্তিনা একটু ভাল ফল দেখায়—চার ম্যাচে দেয় চার গোল। তাদের ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ম্যানেজার লুই সিজার মেনোত্তি, প্রি—কোয়ার্টার ফাইনাল রাউণ্ডের পর বললেন, এত দীনদরিদ্র বিশ্বকাপ তিনি কখনও দেখেননি। ”অলৌকিক কিছু না ঘটলে এই প্রতিযোগিতাকে রক্ষা করা যাবে না। তবে মনে হয় না কোনরকম উন্নতি ঘটবে।” উন্নতি সত্যিই ঘটেনি।
প্রি—কোয়ার্টারের আটটি ম্যাচে নব্বই মিনিটের খেলায় হল ১৭ গোল। কোয়ার্টার ফাইনালের চারটি ম্যাচে নব্বুই মিনিটের নির্ধারিত সময়ের খেলায় ছয় গোল। সেমি—ফাইনালের দুটি ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলায় চার গোল। ফাইনালে এক গোল এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীর জন্য খেলায় তিন গোল। মোট ৫২ ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের দেওয়া দুটি গোল ধরে (টাইব্রেকারের গোল বাদে) ১১৫ গোল। গড়ে ম্যাচ পিছু ২.২১ গোল। এত কম গোলের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আগে কখনও হয়নি।