স্পষ্ট দেখলুম, সেই কিশোরীদ্বয়ের চোখে সপ্রশংস কৌতুক খেলে গেলো। মুহূর্তে আমার বুক জ্বলে পম্পেই। দোকানদার ভদ্রলোক সহজাত নির্লিপ্ততায় একটা প্যাকেট এনে ঠকাস করে রেখে বললেন ‘দস রুপেয়া’।
এতক্ষণ সব কিছু ঠিক চলছিল। গোল বাধলো এর পরেই। অতিদর্পে হতা লঙ্কা, এই আপ্তবাক্য ভুলে বন্ধুবর গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘ইসকা কালার কেয়া হ্যায়?’
সেই মহাপুরুষের মহাপ্রশ্নে দোকানী হতভম্ব, কিশোরীদ্বয়ও যৎপরোনাস্তি বিস্মিত। আমার কথা আর কহতব্য নয়। কন্ডোমের কালার? অ্যাঁ, বোকাচণ্ডী, এই ছিলো তোর মনে?
তা সেই দোকানদার ভদ্রলোক, তাঁর সমস্ত ডিগনিটি কুড়িয়েবাড়িয়ে বললেন,
‘পিঙ্ক হ্যায়। কিঁউ?’
‘হরা ইয়া ব্ল্যাক কালার কা নেহি মিলেগা?’
স্তব্ধ। দুনিয়া থেমে গেছে। হাসি মুছে গেছে। কোকিল গাইছে না। কাক কা কা করছে না। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ। মেয়েদুটির পলক পড়ছে না।
এমন সময়ে সেই দোকানির ভারি নিরীহ এবং নিরাসক্ত প্রশ্ন সেই নৈঃশব্দ্য খানখান করে দিলো, ‘ব্ল্যাক ইয়া হরা মে এক্সট্রা মজা আয়েগা কেয়া?’
দীর্ঘ তেরো বছর কেটে গেছে, এখনো কণ্ডোম কিনতে গেলে সেই মহাপ্রশ্ন মনে পড়ে, যায়, আর সেই অনামা বিপণীমালিকের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথাটা নীচু হয়ে আসে। সত্যিই তো,
কণ্ডোমের কালারভেদে কি আনন্দের রকমফের হয় রে পাগলা, অ্যাঁ?