কম্পিত পরিধি প্ৰান্তে ; পাশে অসংলগ্ন জলে গম্ভীর বকের
এক-পা বাড়ানো ধ্যান : মনে একটি মাছ ; উঁচু টেলিগ্ৰাফ তারে
কোটি বার্তা চলে তা কে জানে, তাতে ব’সে দোলায় সখের
পুচ্ছ বুনো পাখি, ভিন্ন লোকে ; মাঠে লাল ট্র্যাক্টর অন্যধারে।
মধ্য-মার্কিনে আছি মিসিসিপি পারে, চলেছি যে-ঘড়ি হাতে
টিকটিক আয়ু তার আনে ছিন্ন এটা-ওটা : খুজি নিঃসময়
কোন ঘটনার ছবি–বাংলা ভাষায় গাঁথা–চিরক্ষণে যাতে
শাদা বক, ব্যস্ত ট্রেন, বুকে ধরে এই সকালের পরিচয়৷।
সাবেকি
গেলো
গুরুচরণ কামার, দোকানটা তার মামার,
হাতুড়ি আর হাপর ধারের ( জানা ছিল আমার )
দেহটা নিজস্ব |
রাম নাম সত্ হ্যায়
গৌর বসাকের প’ড়ে রইল ভরন্ত খেত খামার|
রাম নাম সত্ হ্যায় ||
দু-চার পিপে জমিয়ে নস্য হঠাত্ ভোরে হ’লো অদৃশ্য—
ধরনটা তার খ্যাপারই—
হরেকৃষ্ণ ব্যাপারি |
রাম নাম সত্ হ্যায়
ছাই মেখে চোখ শূণ্যে থুয়ে, পেরেকের খাট তাতে শুয়ে
পলাতক সেই বিধুর স্বামী
আরো অপার্থিবের গামী
রাম নাম সত্ হ্যায়
রান্না রেঁধেকান্না কেঁদে, সকলেরপ্রাণে প্রাণে বেঁধে
দিদি ঠাকরুন গেলেন চ’লে—
খিড়কি দুয়োর শূণ্যে খোলে!
রাম নাম সত্ হ্যায়
আমরা কাজে রই নিযুক্ত, কেউ কেরানি কেউ অভুক্ত,
লাঙল চালাই কলম ঠেলি, যখন তখন শুনে ফেলি
রাম নাম সত্ হ্যায়
শুনবো না আর যখন কানে বাজবে তবু এই এখানে
রাম নাম সত্ হ্যায় ||
১৩৫০
হাত থেকে তার পড়ে যায় খসে
অবশ্য আধলা ধুলোয়।
চোখ ঠেলে খোলা অসাড় শূন্যে।
প্রাণ, তুমি আজো আছ ঐ দেহে,
আছ মুমূর্ষু দেশে।
কঙ্কাল গাছ ভাদ্রশেষের ভিখারী ডালটা নাড়ে,
কড়া রোদ্দুর প্রখর দুপুরে ফাটে।
হাতের আঙুলে স্নেহ দিয়েছিলে
চোখে চেনা জাদু আপন ঘরের বুকে –
বাঙলার মেয়ে, এসে ছিল তার জীবনের দাবি নিয়ে,
দুদিনের দাবি ফলন্ত মাঠে, চলন্ত সংসারে;
কতটুকু ঘেরে কত দান ফিরে দিতে।
সামান্য কাজে আশ্চর্য খুশি ভরা।
আজ শহরের পথপাশে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েকোথা
সভ্যতা ছোটে তেরোশো পঞ্চাশিকে।।