This thy stature is like to a palm tree, and thy breasts to clusters of grapes.
I said, I will go up to the palm tree, I will take hold of the boughs thereof: now also thy breasts shall be as clusters of the vine, and the smell of thy nose like apples;
And the roof of thy moutp like the best wine for my beloved, that goeth down sweetly, causing the lips of those that are asleep to speak.
I am beloved’s, and his desire is toward me.
কী গম্ভীর হাউ সাবলাইম! পাশবিক যৌনক্ষুধাকে সৃষ্টির কী মহিমময় অনিন্দ্যসুর নন্দনকাননে তুলে নিয়ে গেল তার স্বর্ণপক্ষ দিয়ে এ কবিতা!! এ যৌনক্ষুধা নন্দনের সুধায় সিঞ্চিত না থাকলে এর বর্ষণে ইন্দ্রপুরীর হাসি মুখে মেখে নিয়ে দেবশিশুরা মর্তে অবতীর্ণ হত কী করে?
বিরাট বাইবেলে এই একটিমাত্র প্রেমের কবিতা ছিটকে এসে পড়েছে। কী করে পড়ল তার সদুত্তর কোনো পণ্ডিত এখনো দিতে পারেননি। তাই বোধ করি তারা ধমক দিয়ে বলেন, এ প্রেম রূপক-রূপে নিতে হবে, এ প্রেমের সঙ্গে মানব-মানবীর প্রেমের কোনো সম্পর্ক নেই–এ প্রেম নাকি দি মিউচেল লাভ অব ক্রাইসট আণ্ড হিজ চার্চ বর্ণনা করেছে। চার্চের বড় কর্তা স্বয়ং পোপ। এখানে আমি পোপের স্বার্থান্বেষী করাঙ্গুলি-সঙ্কেত দেখতে পাই।
তোমাদের আদিরসাত্মক কামরসে-ঠাসা বৈষ্ণব কবিতাও নাকি শুধু বৈকুষ্ঠের দেবদেবীর জন্য। সেগুলোকেও নাকি প্রতীক হিসেবে নিতে হয়। এখানে কার স্বার্থ লুকানো আছে জানিনে।
আমি মানিনে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ-সব কবিতা শব্দার্থে নিতে হবে। যৌন সম্পর্ক জীবনের অন্যতম গভীর সত্য। তাকে স্বীকার করে আমাদের কবিরা সত্যকে স্বীকার করেছেন মাত্র। এতে কোনো দুঃসাহস বা মৃঢ়তার প্রশ্ন ওঠে না। তোমাদের কোনো কোনো মন্দিরে যৌন সম্পর্কের নগ্ন প্রস্তরমূর্তি দেখে কেউ কেউ আশ্চর্য হয়। আমি হইনে। কাব্যে যে সত্য কবিরা অকুণ্ঠ ভাষায় বর্ণনা করে স্বীকৃতি দিয়েছেন, শিল্পী প্রস্তর-গাত্রে সেটা খোদাই করবে না কেন?
তুমি বলবে, এ-সব গুরুগম্ভীর তত্ত্বের টীকা-টিপ্পনি কাটার কী অধিকার আমার? অধিকার তবে কার? পুরু-পাণ্ডদের, পাত্রী-গোসাইদের? কিন্তু ভগবান তো তাদের পকেটের ভিতর। এসব তত্ত্বে তাদের কী প্রয়োজন? গীতগোবিন্দ বাইবেল এগুলো তো আমার মতো পাপীতাপীদের জন্য সৃষ্ট হয়েছে। যে ভক্ত ভগবানকে পেয়ে গিয়েছেন তিনি মন্দিরে যাবেন কী করতে? মন্দিরে তো যাব আমি। এ-সবের মূল্য যাচাই করব আমি, অর্থ বের করব আমি।
জীবনের এই গভীরতম রহস্যাবৃত সত্যের অত্যন্ত কাছে এসে পড়েছি বলেই কি আহির মন আমাকে এর অনুভূতি থেকে বঞ্চিত করল?
.
২০শে আগস্ট
পলে পলে তিলে তিলে কত যুগ ধরে আমি কি দহনে দগ্ধ হয়েছি, সে শুধু আমিই জানি। এ দহন কিন্তু সময়ের মাপকাঠি দিয়ে মাপা যায় না। বেদনা থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্য তোমাদের সাধকেরা বলেন, বেদনা আসে মনের বটলনেকের ভিতর দিয়ে, সেই মনকে তুমি যদি আয়ত্তে আনতে পার তবে আর কোনো বেদনাবোধ থাকবে না। এ তত্ত্বটা আমি যাচাই করে দেখিনি, কারণ আমার মনে হয়েছে মনের বটলনেক যদি আমি বন্ধ করে দিয়ে বেদনা-বোধকে থামিয়ে দি, তবে সঙ্গে সঙ্গে আনন্দবোধের অনুভূতি আমার চৈতন্যে প্রবেশ করতে পারবে না। তার অর্থ সর্বপ্রকার অনুভূতি বিবর্জিত হয়ে জড়জগতে ইট পাথরের মতো শুদ্ধমাত্র খানিকটে স্পেস নিয়ে এগসিস্ট করা। তাহলে আত্মহত্যা করলেই হয়। পঞ্চভূতে পঞ্চভূত মিলে গিয়ে যে যার পরিমিত জায়গা দখল করে অস্তিত্ব বজায় রাখবে। তফাত কোথায়?
আমাদের গুণীরা বলেন, হৃদয়-বেদনা ভুলতে হলে কাজের মধ্যে ঝাঁপ দাও। মন তখন কাজে এমনি নিমগ্ন হয়ে যাবে যে, অন্য কিছু ভাবতে পারবে না। আমি তাই সেই সময়ে কাজে দিলুম ঝাঁপ। তোমার মনে আছে নিশ্চয়ই, আমি হঠাৎ কী রকম আমার এলাকার খুন-খারাবির আদমশুমারি নিয়ে উঠে পরে লেগেছিলুম, এলাকার বিরাট ম্যাপ তৈরি করে বদমায়েশির জায়গাগুলোতে চর কেটে কেটে তার কেন্দ্রস্থলের বদমায়েশকে ধরবার চেষ্টা করেছিলুম; দাগী আসামী জেল থেকে খালাস পেলেই তার গ্রামকে কেন্দ্র করে চতুর্দিকের গ্রামের চুরি-চামারির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া থেকে তোমাদের কাছে প্রমাণ। করলুম, ঘড়েল বদমাইশ আপন গায়ে বদ কাজ করে না।
তাতে করে শুধু তোমাদের অতিষ্ঠ করে তোলা হয়েছিল। আমার কোনো লাভ হয়নি।
কাজের ভিতর সমস্ত দিন তুমি যে বেদনবোধকে বাধ দিয়ে আটকে রেখে ভাবলে বেঁচে গেছ, সে তখন কাজের অবসানে তোমার সকল বাধ ভেঙে লণ্ডভণ্ড করে দেয় তোমার সর্ব অস্তিত্বকে। পলে পলে তিলে তিলে দিনভর তুমি যদি তোমার বেদনা বোধকে নিয়ে পড়ে থাক, তাকে যদি কাজ কিংবা অন্য কোনো কৃত্রিম উপায়ে ঠেলিয়ে রাখার চেষ্টা না কর, তবে তার ইনটেনসিটি অনেকখানি কমে যায়। কিন্তু সলমনের বোতলে ভরা জিন যখন সন্ধ্যায় নিষ্কৃতি পায়, তখন তার বেধড় মার থেকে আর কোনো নিষ্কৃতি নেই।
সেই মার খেয়ে খেয়ে এপাশ ওপাশ করে করে যেন এগালে চড় খেয়ে ওপাশ হয়ে শুই–যেন ও গালে চড় খেয়ে এপাশ হয়ে শুই রাত বারোটায় এল ঘুম। কিন্তু শয়তান তোমায় নিষ্কৃতি দেবে কেন? ঘুম ভেঙে যাবে রাত দুটোয়।