দীপ বলল, “অনেক কিছু ভাবতে পারে।”
মানালি বলল, “আচ্ছা। চলুন ভিতরে চলুন।”
দীপ বলল, “না আমি যাব না। আমি বাড়ি যাই।”
মানালি বলল, “আচ্ছা। যান তাহলে।”
দীপ বলল, “অ্যাকচুয়ালি লং ড্রাইভে যেতে চাইছিলাম। কাউকে পাচ্ছি না।”
মানালি বলল, “ওহ। ঠিক আছে।”
দীপ কয়েক সেকেন্ড পকেটে হাত রেখে দাঁড়িয়ে বলল, “আপনি যাবেন?”
মানালি আঁতকে উঠল, “এত রাতে?”
দীপ নিভে গেল একটু, “তাও ঠিক। অনেক রাত হয়েছে। আসলে আমি এখনও এত কনফিউজড, বুঝতে পারছি না কী করব। জাস্ট কয়েকটা দিনে কী থেকে কী হয়ে গেলাম। আমি বুঝতে পারছি আমার এখানে আসা একেবারেই উচিত হয়নি। কদিন ধরে আপনাকেও বড্ড জ্বালাতন করছি বলুন? আমি বরং.. আমি বরং যাই, হ্যাঁ?”
মানালিকে কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে দীপ হনহন করে হাঁটা লাগাল।
মানালি সেদিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে বাড়ির দরজায় বেল বাজাল। মা দরজা খুলল। মানালি বলল, “মা ব্যাগটা রাখো তো, একটা জরুরি অ্যাসাইনমেন্ট এসেছে, একটু বেরোতে হবে।”
মা তার দিকে হাঁ করে তাকাল, “এত রাতে?”
মানালি বলল, “হ্যাঁ, এই তো জাস্ট এল। পরে ফোন করে নিচ্ছি। যাই এখন।”
মানালি ব্যাগটা মার হাতে দিয়েই পিছন ফিরে দৌড় লাগাল।
ছেলেটা কদ্দূর চলে গেল কে জানে…