হাদীস নং ১৯৮২
কুতাইবা রহ……….ইবনে উমর রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন দু’ ব্যক্তি ক্রয়-বিক্রয় করে, তখন তাদের উভয়ে যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন না হবে অথবা একে অপরকে ইখতিয়ার প্রদান না করবে, ততক্ষণ তাদের উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। এভাবে তারা উভয়ে যদি ক্রয়-বিক্রয় করে তবে তা সাব্যস্ত হয়ে যাবে। আর যদি তারা উভয়ে ক্রয়-বিক্রয়ের পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তাদের কেউ যদি তা পরিত্যাগ না করে তবে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হয়ে যাবে।
হাদীস নং ১৯৮৩
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ……..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন না হবে, ততক্ষণ তাদের মাঝে কোন ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হবে না। অবশ্য ইখতিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হলে তা সাব্যস্ত হবে।
হাদীস নং ১৯৮৪
ইসহাক রহ………হাকীম ইবনে হিযাম রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকবে উভয়ের বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত। যদি তারা উভয়ে সত্য কথা বলে ও (পণ্যের দোষত্রুটি) যথাযথ বর্ণনা করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে, আর যদি তার মিথ্যা বলে এ (দোষ) গোপন করে, তবে হয়ত খুব লাভ করবে কিন্তু তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত বিনষ্ট হয়ে যাবে। অপর সনদে হাম্মাম ……..আবদুল্লাহ ইবনে হারিস রহ. হাকীম ইবনে হিযাম রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ১৯৮৫
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, এক সাহাবী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উল্লেখ করলেন যে, তাকে ক্রয়-বিক্রয়ে ধোঁকা দেওয়া হয়। তখন তিনি বললেন, যখন তুমি ক্রয়-বিক্রয় করবে তখন বলে নিবে কোন প্রকার ধোঁকা নেই।
হাদীস নং ১৯৮৬
মুহাম্মদ ইবনে সাববাহ রহ…….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : (পরবর্তী যামানায়) একদল সৈন্য কাবা (ধ্বংসের উদ্দেশ্যে) অভিযান চালাবে। যখন তারা বায়দা নামক স্থানে পৌঁছবে তখন তাদের আগের পিছের সকলকে যমীনে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। আয়িশা রা. বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তাদের অগ্রবাহিনী ও পশ্চাৎবাহিনী সকলকে কীভাবে ধ্বসে দেওয়া হবে, অথচ সে সেনাবাহিনীতে তাদের বাজারের (পণ্য-সামগ্রী বহনকারী) লোকও থাকবে এবং এমন লোকও থাকবে যারা তাদের দলভূক্ত নয়, তিনি বললেন : তাদের আগের পিছনের সকলকে ধ্বসে দেওয়া হবে। তারপরে (কিয়ামতের দিবসে) তাদের নিজদের নিয়্যাত অনুযায়ী উত্থান করা হবে।
হাদীস নং ১৯৮৭
কুতাইবা রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের কারো জামাআতে সালাত আদায় নিজ ঘরের সালাতের চাইতে বিশ গুণেরও অধিক মর্তবা রয়েছে। কারণ সে যখন উত্তমরূপে উযূ করে মসজিদে আসে, সালাত আদায় ছাড়া অন্য কোন অভিপ্রায়ে আসে না, সালাত ছাড়া অন্য কিছুই তাকে উদ্বুদ্ধ করে না। এমতাবস্থায় তার প্রতি কদমে এক মর্তবা বৃদ্ধি করা হবে এবং একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর ফেরেশতাগণ তোমাদের সে ব্যক্তির জন্য (এমর্মে) দু’আ করতে থাকবেন, যতক্ষণ সে যেখানে সালাত আদায় করেছে, সেখানে থাকবে: আয় আল্লাহ আপনি তার প্রতি অনুগ্রহ করুন, তার প্রতি রহম করুন। যতক্ষণ না সে তথায় উযূ ভঙ্গ করে, যতক্ষণ না সে তথায় কাউকে কষ্ট দেয়। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের সে ব্যক্তি সালাতরত গণ্য হবে, যতক্ষণ সে সালাতের অপেক্ষায় থাকে।
হাদীস নং ১৯৮৮
আদম ইবনে আবু ইয়াস রহ……..আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সময় বাজারে ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আবুল কাসিম ! নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকালে তিনি বললেন, আমি তো তাকে ডেকেছি। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ কিন্তু আমার কুনিয়াতে কুনিয়াত রেখো না।
হাদীস নং ১৯৮৯
মালিক ইবনে ইসমাঈল রহ………..আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সাহাবী বাকী নামক স্থানে আবুল কাসিম বলে (কাউকে) ডাক দিলেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকালেন। তিনি বললেন, আমি আপনাকে উদ্দেশ্যে করিনি। তখন তিনি বললেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ কিন্তু আমার কুনিয়াতে কারো কুনিয়াত রেখোনা।
হাদীস নং ১৯৯০
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………আবু হুরায়রা দাওসী রা. থেকে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের এক অংশে বের হলেন, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি এবং আমিও তাঁর সাথে কথা বলিনি। অবশেষে তিনি বনূ কায়নুকা বাজারে এলেন (সেখান থেকে ফিরে এসে) ফাতিমা রা.-এর ঘরের আঙিনায় বসে পড়লেন। তারপর বললেন, এখানে খোকা (হাসান রা.) আছে কি? এখানে খোকা আছে কি ? ফাতিমা রা. তাকে কিছুক্ষণ দেরী করালেন। আমার ধারণা হল তিনি তাকে পুতির মালা সোনা-রূপা ছাড়া যা বাচ্চাদের পরানো হত, পরাচ্ছিলেন বা তাকে গোসল করালেন। তারপর তিনি দৌড়িয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং চুমু খেলেন। তখন তিনি বললেন, আয় আল্লাহ ! তুমি তাকেও (হাসানকে) মুহাব্বত কর এবং তাকে যে ভালবাসবে তাকেও মুহাব্বত কর। সুফিয়ান রহ. বলেন, আমার কাছে উবায়দুল্লাহ বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নাফি ইবনে জুবায়রকে এক রাকআত মিলিয়ে বিতর আদায় করতে দেখেছেন।