হাদীস নং ১৯৭০
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ……..আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হুনায়নের যুদ্ধে গেলাম। তখন তিনি আমাকে একটি বর্ম দিয়েছিলেন। আমি সেটি বিক্রি করে তার মূল্য দ্বারা বনূ সালিমা গোত্রের এলাকায় অবস্থিত একটি বাগান খরিদ করি। এ ছিল ইসলাম গ্রহণের পর আমার প্রথম স্থাবর সম্পত্তি অর্জন।
হাদীস নং ১৯৭১
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ………আবু মূসা রা.থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিসক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের থেকে তুমি রেহাই পাবে না। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয় তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে।
হাদীস নং ১৯৭২
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ…….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তায়বা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে শিংগা লাগলেন তখন তিনি তাকে এক সা’ পরিমাণ খেজুর দিতে আদেশ করলেন এবং তার মালিককে তার দৈনিক পারশ্রমিকের হার কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
হাদীস নং ১৯৭৩
মুসাদ্দাদ রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিংগা লাগালেন এবং যে তাকে শিংগা লাগিয়েছে, তাকে তিনি মজুরী দিলেন। যদি না হারাম হত তবে তিনি তা দিতেন না।
হাদীস নং ১৯৭৪
আদম রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর রা.-এর নিকট রেশমী চাদর পাঠিয়ে দেন, পরে তিনি তা তাঁর গায়ে দেখতে পেয়ে বলেন, আমি তো তোমাকে এ জন্য দেইনি যে, তুমি তা পরিধান করবে।অবশ্য তা তারাই পরিধান করে, যার (আখিরাতে) কোন অংশ নেই। আমি তো তা তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি তা দিয়ে উপকৃত হবে অর্থাৎ বিক্রি করবে।
হাদীস নং ১৯৭৫
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি একটি ছবিযুক্ত বালিশ খরিদ করেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখতে পেয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে গেলেন, ভিতরে প্রবেশ করলেন না। আমি তাঁর চেহারায় অসন্তুটির ভাব দেখতে পেলাম। তখন বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে তাওবা করছি। আমি কী অপরাধ করেছি? তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ বালিশের কী সমাচার? আয়িশা রা. বলেন, আমি বললাম, আমি এটি আপনার জন্য খরিদ করেছি, যাতে আপনি হেলান দিয়ে বসতে পারেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই ছবিওয়ালাদেরকে কিয়ামতের দিন আযাব দেওয়া হবে। তাদের বলা হবে, তোমরা যা বানিয়েছিলে, তা জীবিব কর। তিনি আরো বলেন, যে ঘরে এ সব ছবি থাকে, সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না।
হাদীস নং ১৯৭৬
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……..আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে বনূ নাজ্জার ! আমাকে তোমাদের বাগানের মূল্য বল। বাগানটিতে ঘরের ভাঙ্গা চুরা অংশ ও খেজুর গাছ ছিল।
হাদীস নং ১৯৭৭
সাদাকা রহ……….ইবনে উমর রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন না হবে, ততক্ষণ তাদের বেচা-কেনার ব্যাপারে উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। আর যদি খিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হয় (তাহলে পরেও ইখতিয়ার থাকবে) নাফি রহ. বলেন, ইবনে উমররা. কোন পণ্য ক্রয়ের পর তা পছন্দ হলে মালিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তেন।
হাদীস নং ১৯৭৮
হাফস ইবনে উমর রহ………হাকীম ইবন হিযাম রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যতক্ষণ ক্রেতা-বিক্রেতা বিচ্ছিন্ন না হবে ততক্ষণ তাদের খিয়ারের অধিকার থাকবে। আহমদ রহ. বাহয রহ. সূত্রে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে হাম্মাম রহ. বলেন, আমি আবু তাইয়্যাহ রহ.-কে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, আবদুল্লাহ ইবনে হারিস যখন এই হাদীসটি আবু খলীলকে বর্ণনা করেন, তখন আমি তার সঙ্গে ছিলাম।
হাদীস নং ১৯৭৯
আবু নুমান রহ…….ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের খিয়ার থাকবে অথবা এক পক্ষ অপর পক্ষকে বলবে, গ্রহণ করে নাও। রাবী অনেক সময় বলেছেন, অথবা খিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হলে।
হাদীস নং ১৯৮০
ইসহাক রহ…….হাকীম ইবনে হিযাম রা. সূত্রে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ক্রেতা-বিক্রেতা বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। যদি তারা উভয়ে সত্য কথা বলে ও (পণ্যের দোষত্রুটি) যথাযথ বর্ণনা করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে, আর যদি তার মিথ্যা বলে এ (দোষ) গোপন করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত বিনষ্ট হয়ে যাবে।
হাদীস নং ১৯৮১
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের একে অপরের উপর ইখতিয়ার থাকবে, যতক্ষণ তারা বিচ্ছিন্ন না হবে। তবে খিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয়ে (বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও ইখতিয়ার থাকবে)।