হাদীস নং ২৪৮৬
মুহাম্মদ ইবনে সালাম রহ………..আবু বকর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির প্রশংসা করল। তখন তিনি বললেন, তোমার জন্য আফসোস। তুমি তো তোমার সাথীর গর্দান কেটে ফেললে, তুমি তো তোমার সাথীর গর্দান কেটে ফেললে। তিনি একথা কয়েকবার বললেন, এরপর তিনি বললেন, তোমাদের কেউ যদি তার (মুসলমান) ভাইয়ের প্রশংসা করতেই চায় তাহলে তার (এভাবে) বলা উচিত, অমুককে আমি এরূপ মনে করি, তবে আল্লাহই তার সম্পর্কে অধিক জানেন। আর আল্লাহর প্রতি সোপর্দ না করে আমি কারো সাফাই পেশ করি না। তার সম্পর্কে ভালো কিছু জানা থাকলে বলবে, আমি তাকে এরূপ মনে করি।
হাদীস নং ২৪৮৭
মুহাম্মদ ইবনে সাব্বাহ রহ……..আবু মূসা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির প্রশংসা করতে শুনে বললেন, তোমরা তাকে ধ্বংস করে দিলে কিংবা (বারীর সন্দেহ) বলেছেন, তোমরা লোকটির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ফেললে।
হাদীস নং ২৪৮৮
উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রঃ) …….. ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর কাছে তাকে (ইবন উমরকে) পেশ করলেন, তখন তিনি চৌদ্দ বছরের বালক। (ইবন উমর বলেন) তখন তিনি আমাকে (যুদ্ধে গমনের) অনুমতি দেননি। পরে খন্দকের যুদ্ধে তিনি আমাকে পেশ করলেন এবং অনুমতি দিলেন। তখন আমি পনের বছরের যুবক। নাফি (রঃ) বলেন, আমি খলীফা উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে গিয়ে এ হাদীস শোনালাম। (হাদীস শুনে) তিনি বললেন, এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। এরপর তিনি তার গভর্নরদেরকে লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে, (সেনাবাহিনীতে) যাদের বয়স পনেরতে উপনীত হয়েছে তাদের জন্য যেন ভাতা নির্ধারণ করেন।
হাদীস নং ২৪৮৯
আলী ইবন আবদুল্লাহ (রঃ) ………. আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী (সাঃ) . বলেছেন, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের উপর জুমু’আ দিবসের গোসল কর্তব্য।
হাদীস নং ২৪৯০
মুহাম্মদ (রঃ) ……. আবদুল্লাহ (ইবন মাস’উদ) (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের সম্পদ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করবে, (কিয়ামতের দিন) সে আল্লাহর সংগে সাক্ষাৎ করবে এমন অবস্থায় যে আল্লাহ তার উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। রাবী বলেন, তখন আশআস ইবন কায়স (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম। এ বর্ণনা আমার ব্যাপারেই। একখন্ড জমি নিয়ে (জনৈক) ইয়াহূদী ব্যক্তির সাথে আমার বিবাদ ছিল। সে আমাকে অস্বীকার করলে আমি তাকে নাবী (সাঃ) . এর কাছে হাযির করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) আমাকে বললেন, তোমার কি কোন প্রমাণ আছে ! আসআস (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, না (কোন প্রমাণ নেই।) তখন তিনি (উক্ত ইয়াহূদীকে) বললেন, তুমি কসম কর। আশআস (রাঃ) বলেন, (একথা শুনে) আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ্ ! তবে তো সে (মিথ্যা) কসম করে আমার সম্পদ আত্মসাত করে ফেলবে। আশআস (রাঃ) বলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা আয়াত নাযিল করেনঃ যারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা এবং নিজের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে….. (৩:৭৭)
হাদীস নং ২৪৯১
আবূ নু’আই (রঃ) ……. ইবন আবূ মূলায়কা (রঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবন আব্বাস (রাঃ) আমাকে লিখে জানিয়েছেন, নাবী (সাঃ) . ফায়াসালা দিয়েছেন যে, বিবাদীকে কসম করতে হবে।
হাদীস নং ২৪৯২
উসমান ইবন আবূ শায়বা (রঃ) ….. আবদুল্লাহ (ইবন মাস’উদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে এমন (মিথ্যা) কসম করে, যা দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয়। সে (কিয়ামতের দিন) আল্লাহর সংগে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট, তারপর আল্লাহ্ তা’আলা উক্ত বর্ণনার সমর্থনে আয়াত নাযিল করেনঃ যারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে……… তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক (আযাব)। (৩:৭৭) এরপর আশআস ইবন কায়স (রাঃ) আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আবূ আবদুর রাহমান (রঃ) তোমাদের কি হাদীস শুনিয়েছেন আমরা তার বর্ণিত হাদীসটি তাকে শোনালাম। তিনি বললেন, তিনি (ইবন মাসউদ) ঠিকই বলেছেন। আমার ব্যাপারেই আয়াতটি নাযিল হয়েছে। কিছু একটা নিয়ে আমার সাথে এক (ইয়াহূদী) ব্যক্তির বিবাদ ছিল। আমরা উভয়ে নাবী (সাঃ) . এর নিকট আমাদের বিবাদ উত্থাপন করলাম। তখন আমি বললাম, তবে তো সে মিথ্যা কসম করতে কোন দ্বিধা করবে না। তখন নাবী (সাঃ) . বললেন, কেউ যদি এমন কসম করে, যার দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয় এবং সে যদি উক্ত ব্যাপারে মিথ্যাবাদী হয়, তা হলে (কিয়ামতের দিন) সে আল্লাহর সংগে সাক্ষাৎ করবে এমন অবস্থায়, আল্লাহ তার উপরে অসন্তুষ্ট। এরপর আল্লাহ তা’আলা এ বর্ণনার সমর্থনে আয়াত আয়াত নাযিল করেন। একথা বলে তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন।
হাদীস নং ২৪৯৩
মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রঃ) ……. ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হিলাল ইবন ইমাইয়া নাবী (সাঃ) . এর কাছে তার স্ত্রী বিরুদ্ধে শারীক ইবন সাহমা এর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ করলে নাবী (সাঃ) . বললেন, হয় তুমি প্রমাণ (সাক্ষী) পেশ করবে, নয় তোমার পিঠে (বেত্রাঘাতের) দন্ড আপতিত হবে। সে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ্ আমাদের কেউ কি আপন স্ত্রী উপর অপর কোন পুুরুষকে দেখে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ছুটে যাবে? কিন্তু নাবী (সাঃ) . একই কথা (বার বার) বলতে থাকলেন, হয় প্রমাণ পেশ করবে, নয় তোমার পিঠে বেত্রাঘাতের দন্ড আপতিত হবে। তারপর তিনি লি’আন সংক্রান্ত হাদীস বর্ণনা করলেন।