হাদীস নং ১৯৪৪
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারো পক্ষে এক বোঝা লাকড়ী সংগ্রহ করে পিঠে বহন করে নেওয়া উত্তম কারো কাছে সাওয়াল করার চাইতে। (যার কাছে যাবে) সে দিতেও পারে অথবা নাও দিতে পারে।
হাদীস নং ১৯৪৫
ইয়াহইয়া ইবনে মূসা রহ………যুবাইর ইবনে আওয়াম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের কারো পক্ষে তার রশি নিয়ে কাঠ সংগ্রহ করতে বের হওয়া তার সাওয়াল করা থেকে উত্তম। আবু নুআইম রহ. বলেন, মুহাম্মদ ইবনে সওযয়াব ও ইবনে নুমাইর রহ. হিশাম রহ.-এর মাধ্যমে তার পিতা থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ১৯৪৬
আলী ইবনে আইয়্যাশ রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি ক্রয়-বিক্রয় এবং পাওনা তাগাদায় নম্র ব্যবহার করে, আল্লাহ তা’আলা তার উপর রহম করুন।
হাদীস নং ১৯৪৭
আহমদ ইউনুস রহ………..হুযায়ফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের পূর্ববর্তীগণের মধ্যে এক ব্যক্তির রূহের সাথে সাথে সাক্ষাত করে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কোন নেক কাজ করেছ? লোকটি উত্তর দিল, আমি আমার পীড়াপীড়ি না করে। রাবী বলেন, তিনি বলেছেন, ফেরেশতারাও তাকে ক্ষমা করে দেন। আবু মালিক রহ. রিবঈ ইবনে হিরাশ রহ. সূত্রে বর্ণনা করেন, আমি সচ্ছল ব্যক্তির ব্যাপারে সহজ করতাম এবং অভাবগ্রস্ত কে অবকাশ দিতাম। শুবা রহ. আবদুল মালিক রহ. থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। আবু আওয়ানা রহ. আবদুল মালিক রহ. সূত্রে বর্ণনা করেন, আমি সচ্ছল কে অবকাশ দিতাম এবং অভাবগ্রস্ত কে মাফ করে দিতাম এবং নুআইম ইবনে আবু হিনদ রহ. রিবঈ রহ. সূত্রে বলেন, আমি সচ্ছল ব্যক্তি থেকে গ্রহণ করতাম এবং অভাবগ্রস্ত কে ক্ষমা করে দিতাম।
হাদীস নং ১৯৪৮
হিশাম ইবনে আম্মার রহ……….আবু হুরায়রা রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যবসায়ী লোকদের ঋণ দিত। কোন অভাবগ্রস্তকে দেখল সে তার কর্মচারীদের বলত, তাকে মাফ করে দাও, হয়তো আল্লাহ তা’আলা আমাদের মাফ করে দিবেন। এর ফলে আল্লাহ তা’আলা তাকে মাফ করে দেন।
হাদীস নং ১৯৪৯
সুলাইমান ইবনে হারব রহ………..হাকীম ইবনে হিযাম রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয়, ততক্ষণ তাদের ইখতিয়ার থাকবে। যদি তারা সত্য বলে এবং অবস্থা ব্যক্ত করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে আর যদি মিথ্যা বলে এবং দোষ গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত চলে যাবে।
হাদীস নং ১৯৫০
আবু নুআঈম রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের মিশ্রিত খেজুর দেওয়া হত, আমরা তার দু’ সা এক সা’-এর বিনিময়ে বিক্রি করতাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এক সা’ এর পরিবর্তে দু’ সা এবং এক দিরহামের পরিবর্তে দু’ দিরহাম বিক্রি করবে না।
হাদীস নং ১৯৫১
উমর ইবনে হাফস রহ………আবু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু শুআইব নামক জনৈক আনসারী এসে তার কসাই গোলামকে বললেন, পাঁচ জনের উপযোগী খাবার তৈরী কর। আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-সহ পাঁচ জনকে দাওয়াত দিলেন। তাদের সঙ্গে আরেকজন অতিরিক্ত এলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এ আমাদের সঙ্গে এসেছে, তুমি ইচ্ছা করলে একে অনুমতি দিতে পার আর তুমি যদি চাও সে ফিরে যাক, তবে সে ফিরে যাবে। সাহাবী বললেন, না, এবং আমি তাকে অনুমতি দিলাম।
হাদীস নং ১৯৫২
বদল ইবনে মুহাববার রহ……..হাকীম ইবনে হিযাম রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন না হবে ততক্ষণ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকবে । যদি তারা সত্য বলে ও যথাযথ অবস্থা বর্ণনা করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে, আর যদি পণ্যের প্রকৃত অবস্থা গোপন করে ও মিথ্যা বলে তবে ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত চলে যাবে।
হাদীস নং ১৯৫৩
আদম ইবনে আবু ইয়াস রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মানুষের উপর এমন এক যুগ অবশ্যই আসবে যখন মানুষ পরোয়া করবে না যে কিভাবে সে মাল অর্জন করল হালাল থেকে না হারাম থেকে।
হাদীস নং ১৯৫৪
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন সূরা বাকারার শেষ আয়াতগুলো নাযিল হল, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা মসজিদে পড়ে শোনালেন। তারপর মদের ব্যবসা হারাম বলে ঘোষণা করেন।
হাদীস নং ১৯৫৫
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……..সামুরা ইবনে জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আজ রাতে আমি স্বপ্নে দেখিছি যে, দু’ ব্যক্তি আমার নিকট এসে আমাকে পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌঁছলাম। নদীর মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানের লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায় তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খণ্ড নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে যতবার সে বেরিয়ে আসতে চায় ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ কে ? সে বলল, যাকে আপনি (রক্তের) নদীতে দেখেছেন, সে হল সুদখোর।