হাদীস নং ১৯২৪
মুহাম্মদ ইবনে কাসীর রহ……..উকবা ইবনে হারিছ রা. থেকে বর্ণিত যে, একজন মেয়েলোক এসে দাবী করল যে, সে তাদের (উকবা ও তার স্ত্রী) উভয়কে দুধপান করিয়েছে। তিনি এ কথা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং মুচকি হেঁসে বললেন, কিভাবে ? অথচ এমনটি বলা হয়ে গেছে। তাঁর স্ত্রী ছিলেন আবু ইহাব তামীমীর কন্যা।
হাদীস নং ১৯২৫
ইয়াহইয়া ইবনে কাযাআ রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উতবা ইবনে আবু ওয়াক্কাস তার ভাই সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রা.-কে ওয়াসীয়াত করে যান যে, যামআর বাদীর গর্ভস্থিত পুত্র আমার ঔরসজাত; তুমি তাকে তোমার অধীনে নিয়ে আসবে। আয়িশা রা. বলেন, মক্কা বিজয়ের কালে ঐ ছেলেটিকে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রা. নিয়ে নিলেন এবং বললেন, এ আমার ভাইয়ের পুত্র। তিনি আমাকে এর সম্পর্কে ওয়াসীয়াত করে গেছেন । এদিকে যামআর পুত্র আবদ দাবী করে যে, এ আমার ভাই, আমার পিতার বাঁদীর পুত্র। তার শয্যা সঙ্গিনীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছে। তারপর উভয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গেলেন। সাদ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! এ আমার ভাইয়ের পুত্র, সে এর ব্যাপারে আমাকে ওয়াসীয়াত করে গেছে। এবং আবদ ইবনে যামআ বললেন, আমার ভাই। আমার পিতার দাসীর পুত্র, তাঁর সঙ্গে শায়িনীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছে। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : হে আবদ ইবনে যামআ ! এ ছেলেটি তোমার প্রাপ্য। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : শয্যা যার, সন্তান তার। ব্যভিচারী যে, বঞ্চিত সে। এরপর তিনি নবী সহধর্মিণী সাওদা বিনতে যামআ রা.-কে বললেন, তুমি ঐ ছেলেটি থেকে পর্দা করবে। কারণ তিনি ঐ ছেলেটির মধ্যে উতবার সাদৃশ্য দেখতে পান। ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঐ ছেলেটি আর সাওদা রা.-কে দেখেনি।
হাদীস নং ১৯২৬
আবুল ওয়ালীদ রহ………আদী ইবনে হাতিম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পার্শ্বফলা বিহীন তীর (দ্বারা শিকার) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, যদি তীরের ধারালো পার্শ্ব আঘাত করে, তবে সে খাবে, আর যদি এর ধারহীন পার্শ্বের আঘাতে মারা যায়, তবে তা খাবেনা। কেননা তা প্রহারে মৃত। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি বিসমিল্লাহ পড়ে আমার কুকুর ছেড়ে দিয়ে থাকি । পরে তার সাথে শিকারের কাছে অন্য কুকুর দেখতে পাই যার উপর আমি বিসমিল্লাহ পড়িনি এবং জানি না যে, উভয়ের মধ্যে কে শিকার ধরেছে। তিনি বললেন : তুমি তা খাবে না। তুমি তো তোমার কুকুরের উপর বিসমিল্লাহ পড়েছ, অন্যটির উপর পড় নাই।
হাদীস নং ১৯২৭
কাবীসা রহ…….আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একবার) পথ অতিক্রমকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়ে থাকা একটি খেজুর দেখে বললেন, যদি এটা সাদকার খেজুর বলে সন্দেহ না হতো, তবে আমি তা খেতাম। আবু হাম্মাদ রহ. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমার বিছানায় পড়ে থাকা খেজুর আমি পাই।
হাদীস নং ১৯২৮
আবু নুআইম রহ………আববাদ ইবনে তামীমের চাচা (আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ ইবনে আসিম) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, সালাত আদায়কালে তার উযূ ভঙ্গের কিছু হয়েছে বলে মনে হয়, এতে কি সে সালাত ছেড়ে দেবে ? তিনি বলেন, না, যতক্ষণ না সে আওয়াজ শোনে বা দুর্গন্ধ টের পায় অর্থাৎ নিশ্চিত না হয়। ইবনে আবু হাফসা রা. যুহরী রহ. থেকে বর্ণনা করেন, তুমি গন্ধ না পেলে অথবা আওয়াজ না শোনলে উযূ করবে না।
হাদীস নং ১৯২৯
আহমদ ইবনে মিকদাম ইজলী রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, কিছু সংখ্যক লোক বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! বহু লোক আমাদের কাছে গোশত নিয়ে আসে আমরা জানিনা, তারা বিসমিল্লাহ পড়ে যবেহ করেছিল কিনা ? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা এই উপর আল্লাহর নাম লও এবং তা খাও (ওয়াসওয়াসা শিকার হয়ো না)।
হাদীস নং ১৯৩০
তালক ইবনে গান্নাম রহ………জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করছিলাম। তখন সিরিয়া হতে একটি ব্যবসায়ী কাফেলা খাদ্য নিয়ে আগমন করল। লোকজন সকলেই সে দিকে চলে গেলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মাত্র বারোজন থেকে গেলেন । এ প্রসংগে নাযিল হল : যখন তারা দেখল ব্যবসা ও কৌতুক তখন তারা সে দিকে ছুটে গেল।
হাদীস নং ১৯৩১
আদম রহ……..আবু হুরায়রা রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন এক যুগ আসবে, যখন মানুষ পরোয়া করবে না যে, সে কোথা থেকে অর্জন করল, হালাল থেকে না হারাম থেকে।
হাদীস নং ১৯৩২
আবু আসিম রহ…….আবুল মিনহাল রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সোনা-রূপার ব্যবসা করতাম। এ সম্পর্কে আমি যায়েদ ইবনে আরকাম রা.-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ফাযল ইবনে ইয়াকুব রহ. অন্য সনদে…….আবুল মিনহাল রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বারা ইবনে আযিব ও যায়েদ ইবনে আরকাম রা.-কে সোনা-রূপার ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা উভয়ে বললেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ব্যবসায়ী ছিলাম। আমরা তাকে সোনা-রূপার ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, যদি হাতে হাতে (নগদ) হয়, তবে কোন দোষ নেই, আর যদি বাকী হয় তবে দুরস্ত নয়।