হাদীস নং ২০৫৬
ইবনে মুকাতিল রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর ফল পোখতা হওয়ার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। আবু আবদুল্লাহ বলেন, অর্থাৎ লালচে হওয়ার আগে।
হাদীস নং ২০৫৭
মুসাদ্দাদ রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফলের রং পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। রাবী বলেন, অর্থাৎ লালচে বর্ণের বা হলুদ বর্ণের না হওয়া পর্যন্ত এবং তা খাওয়ার যোগ্য না হওয়া পর্যন্ত ।
হাদীস নং ২০৫৮
আলী ইবনে হায়সাম রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফলের উপযোগিতা প্রকাশ হওয়ার আগে তা বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এবং খেজুরের রং ধরার আগে (বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন)। জিজ্ঞাসা করা হল, রং ধরার অর্থ কী ? তিনি বলেন, লাল বর্ণ বা হলুদ বর্ণ ধারণ করা। আবু আবদুল্লাহ বলেন, আমি মুআল্লা ইবনে মানসুর রহ. থেকে হাদীস লিপিবদ্ধ করেছি। কিন্তু এ হাদীস তার থেকে লিখিনি।
হাদীস নং ২০৫৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রং ধরার আগে ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। জিজ্ঞাসা করা হল, রং ধারণ করার অর্থ কী ? তিনি বললেন, লাল বর্ণ ধারণ করা। পরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : দেখ, যদি আল্লাহ তা’আলা ফল ধরা বন্ধ করে দেন, তবে তোমাদের কেউ (বিক্রেতা) কিসের বদলে তার ভাইয়ের মাল (ফলের মূল্য) নিবে? লাইস রহ………ইবনে শিহাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যদি ফলের উপযোগিতা প্রকাশ হওয়ার পূর্বে তা খরিদ করে, পরে তাঁতে মড়ক দেখা দেয়, তবে যা নষ্ট হবে তা মালিকের উপর বর্তাবে।(যুহরী রহ.) বলেন, আমার কাছে সালিম ইবনে আবদুল্লাহ রহ. ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, উপযোগিতা প্রকাশ হওয়ার আগে তোমরা ফল খরিদ করবে না এবং শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করবে না।
হাদীস নং ২০৬০
উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস রহ……..আমাশ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবরাহীম রহ.-এর কাছে বন্ধক রেখে বাকিতে ক্রয় করার ব্যাপারে আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, এতে কোন দোষ নেই। এরপর তিনি আসওয়াদ রহ. সূত্রে আয়িশা রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দিষ্ট মেয়াদে (মূল্য বাকি রেখে) জনৈক ইয়াহুদীর নিকট থেকে খাদ্য খরিদ করেন এবং তাঁর বর্ম বন্ধক রাখেন।
হাদীস নং ২০৬১
কুতাইবা রহ……..আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে খায়বারে তহসীলদার নিযুক্ত করেন। সে জানীব নামক (উত্তম) খেজুর নিয়ে উপস্থিত হলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, খায়বারের সব খেজুর কি এ রকমের? সে বলল, না আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! এরূপ নয়, বরং আমরা দু’ সা’ এর পরিবর্তে এ ধরনের এক সা’ খেজুর নিয়ে থাকি এবং তিন সা’ এর পরিবর্তে এর দু’ সা’। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এরূপ করবে না। বরং মিশ্রিত খেজুর দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দিরহাম দিয়ে জানাবী খেজুর খরিদ করবে।
হাদীস নং ২০৬২
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ তাবীর করার পরে খেজুর গাছ বিক্রি করলে বিক্রেতা সে ফলের মালিক থাকবে, অবশ্য ক্রেতা যদি (ফল লাভের) শর্ত করে, তবে সে পাবে।
হাদীস নং ২০৬৩
কুতাইবা রহ……….ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাবানা নিষেধ করেছেন, আর তা হল বাগানের ফল বিক্রি করা। খেজুর হলে মেপে শুকনা খেজুরের বদলে, আঙ্গুর হলে মেপে কিসমিসের বদলে, আর ফসল হলে মেপে খাদ্যের বদলে বিক্রি করা। তিনি এসব বিক্রি নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২০৬৪
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি খেজুর গাছ তাবীর করার পরে মূল গাছ বিক্রি করল, সে গাছের ফল যে তাবীর করেছে তারই থাকবে, অবশ্য ক্রেতা যদি ফলের শর্ত করে (তবে সে খাবে)।
হাদীস নং ২০৬৫
ইসহাক ইবনে ওহাব রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাকালা, মুখাদারা, মুলামাসা, মুনাবাযা ও মুযাবানা নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২০৬৬
কুতাইবা রহ………আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাকার পূর্বে ফল বিক্রি নিষেধ করেছেন। (রাবী বলেন) আমরা আনাস রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ফল পাকার অর্থ কি? তিনি বললেন, লালচে বা হলদে হওয়া। (নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) বলত, আল্লাহ তা’আলা যদি ফল নষ্ট করে দেন, তবে কিসের বদলে তোমরা ভাইয়ের মাল গ্রহণ করবে?
হাদীস নং ২০৬৭
আবুল ওয়ালীদ হিশাম ইবনে আবদুল মালিক রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম, তিনি সে সময়ে খেজুরের মাথি খাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন, গাছের মধ্যে এমনও গাছ আছে, যা মুমিন ব্যক্তির সদৃশ। আমি বলতে ইচ্ছা করলাম যে, তা হল খেজুর গাছ। কিন্তু আমি লক্ষ্য করলাম যে, আমি সকলের মাঝে বয়ঃকনিষ্ঠ (তাই লজ্জায় বলি নাই। কেউ উত্তর না দেওয়ায়) তিনি বললেন, তা খেজুর গাছ।