হাদীস নং ২০২২
হাসসান ইবনে আবু আববাদ রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা রা. বারীরার দরদাম করেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের উদ্দেশ্যে বের হয় যান। যখন ফিরে আসেন তখন আয়িশা রা. তাকে বললেন যে, তারা (মালিক পক্ষ) ওয়ালা এর শর্ত ছাড়া বিক্রি করতে রাযী নয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : ওয়ালা তো তারই, যে আযাদ করে। (রাবী বলেন, আমি নাফি রহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, বারীরার স্বামী আযাদ ছিল, না দাস ? তিনি বললেন, আমি কি করে জানব?
হাদীস নং ২০২৩
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………জারীর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদার রাসূল্লাহ-এ কথা সাক্ষ্য দেওয়ার, সালাত কায়েম করার, যাকাত দেওয়ার আমীরের কথা শুনার ও মেনে চলার এবং প্রত্যেক মুসলমানের হিত কামনা করার উপর বায়আত করেছিলাম।
হাদীস ২০২৪
সালত ইবনে মুহাম্মদ রহ…….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা পণ্যবাহী কাফেলার সাথে (শহরে প্রবেশের পূর্বে সস্তায় পণ্য খরিদের উদ্দেশ্যে) সাক্ষাৎ করবে না এবং শহরবাসীর পক্ষে বিক্রয় না করে। রাবী তাউস রহ. বলেন, আমি ইবনে আব্বাস রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, শহরবাসী যেন গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রয় না করে, তাঁর একথার অর্থ কি? তিনি বললেন, তার হয়ে যেন সে প্রতারণামূলক দালালী না করে।
হাদীস নং ২০২৫
আবদুল্লাহ ইবনে সাববাহ রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, গ্রামবাসীর পক্ষে শহরবাসীর বিক্রয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। ইবনে আব্বাস রা. ও এ মত পোষণ করেছেন।
হাদীস নং ২০২৬
মক্কী ইবনে ইবরাহীম রহ……আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যেন তার ভাইয়ের কেনা-বেচার উপর খরিদ না করে। আর তোমরা প্রতারণামূলক দালালী করবে না এবং শহরবাসী যেন গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রি না করে।
হাদীস নং ২০২৭
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ……..আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, গ্রামবাসীর পক্ষে শহরবাসীর বিক্রয় করা থেকে আমাদের কে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদীস নং ২০২৮
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, শহরে প্রবেশের পূর্বে বণিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং গ্রামবাসীর পক্ষে শহরবাসীর বিক্রয় করা থেকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২০২৯
আইয়্যাশ ইবনে ওয়ালীদ রহ………তাউস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস রা. -কে গ্রামবাসীর পক্ষে শহরবাসী বিক্রয় করবে না, এ উক্তির অর্থ কি, তা জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তার পক্ষে দালালী করবে না।
হাদীস নং ২০৩০
মুসাদ্দাদ রহ……….আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি স্তনে দুধ আটকিয়ে রাখা (বকরী-গাভী) উটনী খরিদ করে (তা ফেরৎ দিলে) সে যেন তার সাথে এক সা’ পরিমাণ (খেজুরও) ফেরৎ দেয়। তিনি আরো বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বণিক দলের সাথে (শহরে প্রবেশের পূর্বে) সাক্ষাৎ করতে নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২০৩১
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : তোমাদের কেউ ক্রয়-বিক্রয়ের উপর যেন ক্রয়-বিক্রয় না করে এবং তোমরা পণ্য ক্রয় কর না তা বাজারে উপস্থিত না করা পর্যন্ত।
হাদীস নং ২০৩২
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ………আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা বণিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের থেকে খাদ্য খরিদ করতাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যের বাজারে পৌছানোর পূর্বে আমাদের তা খরিদ নিষেধ করেছেন । আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, তা হল বাজারের প্রান্ত সীমা। উবায়দুল্লাহ রহ.-এর হাদীসে এ বর্ণনা রয়েছে।
হাদীস নং ২০৩৩
মুসাদ্দাদ রহ…….আবদুল্লাহ (ইবনে উমর) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা বাজারের প্রান্ত সীমায় খাদ্য খরিদ করে সেখানেই বিক্রি করে দিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্থানান্তর না করে সেখানেই বিক্রি করতে তাদের নিষেধ করলেন।
হাদীস নং ২০৩৪
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বারীরা রা. আমার কাছে এসে বলল, আমি আমার মালিক পক্ষের সাথে নয় উকিয়া দেওয়ার শর্তে মুকতাবা করেছি-প্রতি বছর যা থেকে এক উকিয়া করে দেওয়া হবে। আপনি (এ ব্যাপারে) আমাকে সাহায্য করান। আমি বললাম, যদি তোমরা মালিক পক্ষ পছন্দ করে যে, আমি তাদের একবারেই তা পরিশোধ করব এবং তোমার ওয়ালা-এর অধিকার আমার হবে, তবে আমি তা করব। তখন বারীরা রা. তার মালিকদের নিকট গেল এবং তাদের তা বলল। তারা তা অস্বীকার করল। বারীরা রা. তাদের নিকট থেকে (আমার কাছে) এল। আর তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সে বলল, আমি (আপনার) সে কথা তাদের কাছে পেশ করেছিলাম। কিন্তু তার নিজেদের জন্য ওয়ালার অধিকার সংরক্ষণ ছাড়া রাযী হয়নি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শোনলেন, আয়িশা রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা সবিস্তারে জানালেন।তিনি বললেন : তুমি তাকে নিয়ে নাও এবং তাদের জন্য ওয়ালার শর্ত মেনে নাও। কেননা, ওয়ালা এর হক তারই, যে আযাদ করে। আয়িশা রা. তাই করলেন। তারপর বললেন, লোকদের কী হল যে, তারা এমন শর্ত আরোপ করে যা আল্লাহর বিধানে নেই। আল্লাহর বিধানে যে শর্তের উল্লেখ নেই, তা বাতিল বলে গণ্য হবে, শত শর্ত হলেও। আল্লাহর ফায়সালাই সঠিক, আল্লাহর শর্তই সুদৃঢ়। ওয়ালার হক তে তারই, যে আযাদ করে।