হাদীস নং ২০১১
সাঈদ ইবনে উফায়র রহ………..আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুনাবাযা পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন। তা হল, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ক্রেতা কাপড়টি উল্টানো পাল্টানো অথবা দেখে নেওয়ার আগেই বিক্রেতা কর্তৃক তা ক্রেতার দিকে নিক্ষেপ করা। আর তিনি মুলামাসা পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় করতেও নিষেধ করেছেন। মুলামাসা হল কাপড়টি না দেখে স্পর্শ করা (এতেই বেচা-কেনা সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য হত)।
হাদীস নং ২০১২
কুতাইবা রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দুই ধরনের পোশাক পরিধান করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তা হল একটি কাপড় শরীরে জড়িয়ে তার এক পার্শ্ব কাঁধের উপর তুলে দেওয়া এবং দুই ধরনের বেচা-কেনা হতে নিষেধ করা হয়েছে; স্পর্শের এবং নিক্ষেপের বেচা-কেনা।
হাদীস নং ২০১৩
ইসমাঈল রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পর্শ ও নিক্ষেপের পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২০১৪
আইয়্যাশ ইবনে ওয়ালীদ রহ………আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ধরনের পোশাক পরিধান এবং স্পর্শ ও নিক্ষেপ এরূপ দু’ ধরনের বেচা-কেনা নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২০১৫
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ……..আবু হুরায়রা রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তোমরা উটণী ও বকরীর দুধ (স্তনে) আটকিয়ে রেখো না। যে ব্যক্তি এরূপ পশু খরিদ করবে, সে দুধ দোহনের পরে দুটি অধিকারের একটি যেটি তার পক্ষে ভাল মনে করবে, তাই করতে পারবে। যদি সে ইচ্ছা করে তবে ক্রীত পশুটি রেখে দিবে আর যদি ইচ্ছা করে তবে তা ফেরৎ দিবে এবং এর সাথে এক সা’ পরিমাণ খেজুর দিবে। আবু সালিহ মুজাহিদ, ওয়ালীদ ইবনে রাবাহ ও মূসা ইবনে ইয়াসার রহ. আবু হুরায়রা রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এক সা’ খেজুরের কথা উল্লেখ রয়েছে। কেউ কেউ ইবনে সীরীন রহ. সূত্রে এক সা’ খাদ্যের কথা বলেছেন। এবং ক্রেতার জন্য তিন দিনের ইখতিয়ার থাকবে । আর কেউ কেউ ইবনে সীরীন রহ. সূত্রে এক সা’ খেজুরের কথা বলেছেন, তবে তিন দিনের ইখতিয়ারের কথা উল্লেখ করেননি। ( ইমাম বুখারী রহ. বলেন অধিকাংশের বর্ণনায় খেজুরের উল্লেখ রয়েছে)।
হাদীস নং ২০১৬
মুসাদ্দাদ রহ…….আবদুল্লাহ রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (স্তনে) দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী খরিদ করে তা ফেরৎ দিতে চায় সে যেন এর সঙ্গে এক সা’ পরিমাণ খেজুরও দেয়। আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (পণ্য খরিদ করার জন্য) বণিক দলের সাথে (শহরে প্রবেশের পূর্বে পথিমধ্যে) সাক্ষাত করতে নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২০১৭
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা (পণ্যবাহী) কাফেলার সাথে (শহরে প্রবেশের পূর্বে) সাক্ষাত করবে না তোমাদের কেউ যেন কারো ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে। তোমরা প্রতারণামূলক দালালী করবে না। শহরবাসী তোমাদের কেউ যেন গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রয় না করে। তোমরা বকরীর দুধ আটকিয়ে রাখবে না। যে এ রূপ বকরী খরিদ করবে, সে দুধ দোহনের পরে এ দুটির মধ্যে যেটি ভাল মনে করবে, তা করতে পারে। সে যদি এতে সন্তুষ্ট হয় তবে বকরী রেখে দিবে, আর যদি সে তা অপছন্দ করে তবে ফেরৎ দিবে এবং এক সা’ পরিমাণ খেজুর দিবে।
হাদীস নং ২০১৮
মুহাম্মদ ইবনে আমর রা. আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি (স্তনে) দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী খরিদ করে, তবে দোহনের পরে যদি ইচ্ছা করে তবে সেটি রেখে দেবে আর যদি অপছন্দ করে তবে দুহিত দুধের বিনিময়ে এক সা’ খেজুর দিবে।
হাদীস নং ২০১৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যদি বাঁদী ব্যভিচার করে এবং তার ব্যভিচার প্রমাণিত হয়, তবে তাকে বেত্রাঘাত করবে। আর তিরস্কার করবে না। তারপর যদি আবার ব্যভিচার করে তাকে বেত্রাঘাত করবে, তিরস্কার করবে না। এরপর যদি তৃতীয়বার ব্যভিচার করে তবে তাকে বিক্রি করে দিবে ; যদিও পশমের রশির (ন্যায় সামান্য বস্তুর) বিনিময়ে হয়।
হাদীস নং ২০২০
ইসমাঈল রহ………আবু হুরায়রা রা. ও যায়েদ ইবনে খালিদ রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবিবাহিতা দাসী যদি ব্যভিচার করে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যদি বাঁদী ব্যভিচার করে ব্যভিচার তবে তাকে বেত্রাঘাত কর। তারপর যদি আবার ব্যভিচার করে তাকে বেত্রাঘাত কর। এরপর যদি ব্যভিচার করে তবে তাকে বিক্রি করে দিবে ; যদিও রশির বিনিময়ে হয়।
হাদীস নং ২০২১
আবুল ইয়ামান রহ……….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন তখন আমি তাঁর নিকট (বারীরা নাম্নী দাসীর খরিদ সংক্রান্ত ঘটনা) উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, তুমি খরিদ কর এবং আযাদ করে দাও। কেননা, যে আযাদ করবে ওয়ালা (আযাদ সূত্রে উত্তরাধিকার) তারই। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিকালের দিকে (মসজিদে নববীতে) দাঁড়িয়ে আল্লাহ তা’আলার যথাযথ প্রশংসা বর্ণনা করে তারপর বললেন, লোকদের কী হল যে, তারা এরূপ শর্তারোপ করে, যা আল্লাহ কিতাবে নেই। কোন ব্যক্তি যদি এমন শর্তারোপ করে, যা আল্লাহর কিতাবে নেই, তা বাতিল, যদিও সে শত শত শর্তারোপ করে। আল্লাহর শর্তই সঠিক ও সুদৃঢ়।