হাদীস নং ২০০০
আবুল ওয়ালীদ রহ……….ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : খাদ্য খরিদ করে কেউ যেন তা হস্তগত করার পূর্বে বিক্রি না করে।
হাদীস নং ২০০১
আলী রহ…….মালিক ইবনে আওস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি ঘোষণা দিলেন যে, কে সারফ এর বেচা-কেনা করবে ? তালহা রা. বললেন, আমি করব। অবশ্য আমার পক্ষের বিনিময়ে প্রদানে আমার হিসাব রক্ষক গাবা (এলাকা) থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত দেরী করে। (বর্ণনাকারী) সুফিয়ান রহ. বলেন, আমি যুহরী রহ. থেকে এটুকু মনে রেখেছি, এর থেকে বেশী নয়। এরপর যুহরী রহ. বলেন, মালিক ইবনে আওস রা. আমাকে বলেছেন যে, তিনি উমর ইবনে খাত্তাব রা.-কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন : নগদ হাতে হাতে বিনিময় ছাড়া সোনার বদলে সোনা বিক্রি, গমের বদলে গম বিক্রি, খেজুরের বদলে খেজুর বিক্রি, যবের বদলে যব বিক্রি করা সূদ হিসাবে গণ্য।
হাদীস নং ২০০২
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ……ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিষেধ করেছেন, তা হল অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রয় করা। ইবনে ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আমি মনে করি, প্রত্যেক পণ্যের ব্যাপারে অনুরূপ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
হাদীস নং ২০০৩
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ………..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খাদ্য খরিদ করে পুরোপুরী মেপে না নিয়ে। রাবী ইসমাঈল রহ. আরো বলেন খাদ্যদ্রব্য খরিদ করে নিজের অধিকারে না এনে কেউ যেন তা বিক্রি না করে।
হাদীস নং ২০০৪
ইয়াহইয়া ইবনে বুকারই রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময়ে দেখেছি যে, লোকেরা খাদ্য আনুমানিক পরিমাণের ভিত্তিতে বেচা-কেনা করত, পরে তা সেখানেই নিজেদের ঘরে তুলে নেওয়ার আগেই বিক্রি করলে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হত।
হাদীস নং ২০০৫
ফারওয়া ইবনে আবুল মাগরা রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন দিন খুব কমই গিয়েছে, যে দিন সকালে বা বিকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমার পিতা)) আব বকর রা.-এর ঘরে আসেননি। যখন তাকে (আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে) মদীনার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হল, তখন তিনি একদিন দুপুরের সময় আগমন করায় আমরা শংকিত হয়ে পড়লাম। আবু বকর রা.-কে এ সংবাদ জানানো হলে তিনি বলে উঠলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ কোন ঘটনার কারণেই অসময়ে আগমন করেছেন। যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবেশ করলেন তখন তিনি আবু বকর রা.-কে বললেন : যারা তোমার কাছে আছে তাদের সরিয়ে দাও। আবু বকর রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! এরা তো আমার দুই কন্যা আয়িশা ও আসমা। তিনি বললেন : তুমি কি জান আমাকে তো বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ? আপনার সঙ্গে সফর হওয়া আমার কাম্য ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তিনি বললেন : হ্যাঁ, তুমি আমার সফর সঙ্গী হবে। আবু বকর রা. বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমার কাছে দুটি উটণী রয়েছে, যা আমি হিজরতের জন্য প্রস্তুত রেখেছি। এর একটি আপনি গ্রহণ করুন। তিনি বললেন : আমি মূল্যের বিনিময়ে তা গ্রহণ করলাম।
হাদীস নং ২০০৬
ইসমাঈল রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে।
হাদীস নং ২০০৭
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গ্রামবাসীর পক্ষে শহরবাসী কর্তৃক বিক্রয় করা থেকে নিষেধ করেছেন এবং তোমরা প্রতারণামূলক দালালী করবে না। কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে। কেউ যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। কোন মহিলা যেন তার বোনের (সতীনের) তালাকের দাবী না করে, যাতে সে তার পাত্রে যা কিছু আছে, তা নিজেই নিয়ে নেয়।
হাদীস নং ২০০৮
বিশর ইবনে মুহাম্মদ রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি তার মৃত্যুর পরে তার গোলাম আযাদ হবে বলে ঘোষণা দিল। তারপর সে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোলামটিকে নিয়ে নিলেন এবং বললেন, কে একে আমার নিকট থেকে খরিদ করবে? নুআঈশ ইবনে আবদুল্লাহ রা. (তাঁর কাছ থেকে) সেটি এত এত মূল্যে খরিদ করলেন। তিনি গোলামটি তার হাওলা করে দিলেন।
হাদীস নং ২০০৯
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ……..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতারণামূলক দালালী থেকে নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২০১০
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গর্ভস্থিত বাচ্চার গর্ভের প্রসবের মেয়াদের উপর বিক্রি নিষেধ করেছেন। এ এক ধরনের বিক্রয়, যা জাহিলিয়াতের যুগে প্রচলিত ছিল। কেউ এ শর্তে উটণী ক্রয় করতে যে, এই উটণীটি প্রসব করবে পরে ঐ শাবক তার গর্ভ প্রসব করার পর তার মূল্য দেওয়া হবে।