হাদীস নং ১২৮৫
হাফস ইবনে উমর রহ………বারা ইবনে আযিব রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু’মিন ব্যক্তিকে যখন তার কবরে বসানো হয় তখন তার কাছে উপস্থিত করা হেব ফেরেশতাগণকে। তারপর (ফেরেশতাগণের জিজ্ঞাসার জওয়াবে) সে সাক্ষ্য প্রদান করে যে “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। ঐ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছে আল্লাহর কালাম :আল্লাহ পার্থিব জীবনে ও আখিরাতে অবিচল রাখবেন সে সকল লোককে যারা ঈমান এনেছে, শাশ্বত বাণীতে (কালিমায়ে তায়্যিবা) । ( ১৪ : ২৭ )
হাদীস নং ১২৮৬
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………..ইবনে উমর রা. থেকে সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বদরে নিহত) গর্তবাসীদের দিকে ঝুঁকে দেখে বললেন : তোমাদের সাথে তোমাদের রব যে ওয়াদা করেছিলেন, তা তোমরা বাস্তব পেয়েছো তো ? তখন তাকে বলা হল, আপনি মৃতদের ডেকে কথা বলছেন ? (ও কি শুনতে পায় ?) তিনি বললেন :তোমরা তাদের চাইতে বেশী শুনতে পাও না, তবে তারা সাড়া দিতে পারছে না।
হাদীস নং ১২৮৭
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে , নিশ্চয়ই তারা এখন ভালভাবে জানতে (ও বুঝতে) পেরেছে যে, (কবর আযাব প্রসঙ্গে) আমি তাদের যা বলতাম তা বাস্তব। আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন : “আপনি (হে নবী !) নিশ্চিতই মৃতদের (কোন কথা) শোনাতে পারেন না”।
হাদীস নং ১২৮৮
আবদান রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, এক ইয়াহুদী স্ত্রীলোক আয়িশা রা.-এর কাছে এসে কবর আযাব সম্পর্কে আলোচনা করে তাকে (দু’আ করে) বলল, আল্লাহ আপনাকে কবর আযাব থেকে রক্ষা করুন। পরে আয়িশা রা. কবর আযাব সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন : হ্যাঁ, কবর আযাব (সত্য)। আয়িশা রা. বলেন, এরপর থেকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এমন কোন সালাত আদায় করতে আমি দেখিনি, যাতে তিনি কবর আযাব থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেননি। (এ হাদীসের বর্ণনায়) গুনদার অধিক উল্লেখ করেছেন যে, কবর আযাব বাস্তব সত্য।
হাদীস নং ১২৮৯
ইয়াহইয়া ইবনে সুলাইমান রহ………উরওয়া ইবনে যুবাইর রা. সূত্রে বর্ণিত, তিনি আসমা বিনতে আবু বকর রা.-কে বলতে শুনেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন, তাঁতে তিনি কবরে মানুষ যে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে, তার বর্ণনা দিলে মুসলমানগণ ভয়ার্ত চিৎকার করতে লাগলেন।
হাদীস নং ১২৯০
আইয়াশ ইবনে ওয়ালীদ রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : (মৃত) বান্দাকে যখন তার কবরে রাখা হয় এবং তার সাথী এতটুকু মাত্র দূরে যায় যে সে (মৃত ব্যক্তি) তখনও তাদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। এ সময় দু’জন ফেরেশতা তার কাছে এসে তাকে বসান এবং তাঁরা বলেন, এ ব্যক্তি অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে তুমি কি বলতে ? তখন মু’মিন ব্যক্তি বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। তখন তাকে বলা হবে, জাহান্নামে তোমার অবস্থানস্থলটির দিকে নযর কর, আল্লাহ তোমাকে তার বদলে জান্নাতের একটি অবস্থান স্থল দান করেছেন। তখন সে দুটি স্থলের দিকেই দৃষ্টি করে দেখবে। কাতাদা রহ. বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, সে ব্যক্তির জন্য তাঁর কবর প্রশস্ত করে দেওয়া হবে। এরপর তিনি পুনরায় আনাস রা. এর হাদীসের বর্ণনায় ফিরে আসেন। তিনি (আনাস) রা. বলেন, আর মুনাফিক বা কাফির ব্যক্তিকেও প্রশ্ন করা হবে তুমি এ ব্যক্তি (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে কি বলতে ? সে উত্তরে বলবে, আমি জানি না। লোকেরা যা বলত আমি তা-ই বলতাম। তখন তাকে বলা হবে, তুমি না নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। আর তাকে লোহার মুগুর দ্বারা এমনভাবে আঘাত করা হবে, যার ফরে সে এমন বিকট চিৎকার করে উঠবে যে, দু’ জাতি (মানব ও জিন) ব্যতীত তার আশপাশের সকলেই তা শুনতে পাবে।
হাদীস নং ১২৯১
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……..শু’বা সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন যে, “আল্লাহ অবিচল রাখবেন যারা ঈমান এনেছে……..১৪ : ২৭ ) এ আয়াত কবরের আযাব সম্পর্কে নাযিল হয়েছিল।
হাদীস নং ১২৯২
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ………..আবু আইয়ূব (আনসারী) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একবার) সূর্য ডুবে যাওয়ার পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন। তখন তিনি একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে বললেন : ইয়াহুদীদের কবরে আযাব দেওয়া হচ্ছে। (এটা আযাব দেওয়ার বা আযাবের ফেরেশতাগণের বা ইয়াহুদীদের আওয়াজ)। (ইমাম বুখারী রহ. বলেন) নযর রহ………..আবু আইয়ূব রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (অনুরূপ) বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ১২৯৩
মুআল্লা রহ………বিনতে খালিদ ইবনে সাঈদ ইবনে আস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কবর আযাব থেকে পানাহ চাইতে শুনেছেন।