হাদীস নং ১২৫৯
উসমান ইবনে আবু শায়বা রহ……..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তিকে রাত্রিকালে দাফন করার পর তার (জানাযার) সালাত আদায় করার জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ (দাফনকৃত ব্যক্তির কবরের পাশে) গিয়ে দাঁড়ালেন। তখন তিনি লোকটির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন এবং বললেন, এ লোকটি কে ? তাঁরা জবাব দিলেন, অমুক গত রাতে তাকে দাফন করা হয়েছে। তখন তাঁরা সকলে তার (জানাযার) সালাত আদায় করলেন।
হাদীস নং ১২৬০
ইসমাঈল রহ…………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অসুস্থতাকালে তাঁর এক সহধর্মিণী হাবশা দেশে তাঁর দেখা ‘মারিয়া’ নামক একটি গীর্জার কথা আলোচনা করলেন। (উম্মাহাতুল মু’মিনীনের মধ্যে) উম্মে সালামা এবং উম্মে হাবীবা রা. হাবশায় গিয়েছিলেন। তাঁরা ঐ গীর্জাটির সৌন্দর্য এবং তাঁতে রক্ষিত চিত্রসমূহের বিবরণ দিলেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মাথা তুলে বললেন : সে সব দেশের লোকেরা তাদের কোন পূণ্যবান ব্যক্তি মারা গেলে তাঁর সমাধিতে মসজিদ নির্মাণ করত এবং তাঁতে সে সব চিত্র অংকন করত। তারা হল, আল্লাহর দরবারে নিকৃষ্ট মাখলুক।
হাদীস নং ১২৬১
মুহাম্মদ ইবনে সিনান রহ……..আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এক কন্যার দাফনে হাজির ছিলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের পাশেই বসেছিলেন। আমি দেখলাম, তাঁর দু’ চোখে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে আজ রাতে স্ত্রী মিলনে লিপ্ত হয়নি ? আবু তালহা রা. বলেন, আমি । তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তাঁর কবরে নেমে পড়, তিনি তাঁর কবরে নেমে গেলেন এবং তাকে দাফন করলেন।
হাদীস নং ১২৬২
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদগণের দু’দু’ জনকে একই কাপড়ে (কবরে) একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কুরআন সম্পর্কে অধিক জানত ? দু’ জনের মধ্যে এক জনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বললেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হব। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) সালাতও আদায় করা হয়নি।
হাদীস নং ১২৬৩
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….উকবা ইবনে আমির রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বের হলেন এবং উহুদে পৌছে মৃতের জন্য যেরূপ (জানাযার) সালাত আদায় করা হয় উহুদের শহীদানের জন্য অনুরূপ সালাত আদায় করলেন। এরপর ফিরে এসে মিম্বরে তাশরীফ রেখে বললেন : আমি হব তোমাদের জন্য অগ্রে প্রেরিত এবং আমি তোমাদের জন্য সাক্ষী। আল্লাহর কসম ! এ মুহূর্তে আমি অবশ্যই আমার হাউয (হাউয-ই কাউসার) দেখছি। আর অবশ্যই আমাকে পৃথিবীর ঝান্ডার সমূহের চাবি গুচ্ছ প্রদান করা হয়েছে। অথবা (রাবী বলেন ) পৃথিবীর চাবি গুচ্ছ আর আল্লাহর কসম ! তোমরা আমার পরে শিরক করবে এ আশংকা করি না। তবে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশংকা যে, তোমরা পার্থিব সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে।
হাদীস নং ১২৬৪
সাঈদ ইবনে সুলাইমান রহ………..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি খবর দিয়েছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদগণের দু’ দু’ জনকে একত্র করে দাফন করেছিলেন।
হাদীস নং ১২৬৫
আবুল ওয়ালীদ রহ………জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তাদেরকে তাদের রক্ত সহ দাফন কর। অর্থাৎ উহুদের যুদ্ধের দিন শহীদগণের সম্পর্কে আর তিনি তাদের গোসলও দেননি।
হাদীস নং ১২৬৬
ইবনে মুকাতিল রহ……..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদগণের দু’ দু’ জনকে একই কাপড়ে (কবরে) একত্রে দাফন করার ব্যবস্থা করে জিজ্ঞাসা করলেন। তাদের মধ্যে কে কুরআন সম্পর্কে অধিক জানত ? দু’ জনের মধ্যে এক জনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হব। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তিনি তাদের জানাযার সালাতও আদায় করা হয়নি। তাদের গোসলও দেননি। রাবী আওযায়ী রহ. যুহরী রহ. সূত্রে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদ যুদ্ধের শহীদগণের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের মধ্যে কে কুরআন সম্পর্কে অধিক জানত ? দু’ জনের মধ্যে এক জনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন । জাবির রা. বলেন, আমার পিতা ও চাচাকে একখানা পশমের তৈরী নকশা করা কাপড়ে কাফন দেওয়া হয়েছিল (আর সুলাইমান ইবনে কাসীর রহ. সূত্রে যুহরী রহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার নিকট এমন এক ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করেছেন, যিনি জাবির রা. থেকে শুনেছেন।