হাদীস নং ১২৪৯
উবাইদুল্লাহ ইবনে মূসা রহ…….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগে ইন্তিকাল করেছিলেন, সে রোগাবস্থায় তিনি বলেছিলেন : ইয়াহুদী ও নাসারা সম্প্রদায়ের প্রতি আল্লাহর লা’নত, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। আয়িশা রা. বলেন, সে আশংকা না থাকলে তাঁর (নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) কবরকে উম্মুক্ত রাখা হত, কিন্তু আমার আশংকা যে, (খুলে দেয়া হলে) একে মসজিদে পরিণত করা হবে।
হাদীস নং ১২৫০
মুসাদ্দাদ রহ………..সামুরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে আমি এমন এক মহিলার জানাযার সালাত আদায় করেছিলাম, যে নিফাস অবস্থায় মারা গিয়েছিল। তিনি তার মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে ছিলেন।
হাদীস নং ১২৫১
ইমরান ইবনে মায়সারা রহ………..সামুরা ইবনে জুনদাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে আমি এমন এক মহিলার জানাযার সালাত আদায় করেছিলাম, যে নিফাস অবস্থায় মারা গিয়েছিল। তিনি তার মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে ছিলেন।
হাদীস নং ১২৫২
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আবিসিনিয়ার বাদশাহ) নাজাশীর মৃত্যুর দিন তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানালেন এবং সাহাবীগণকে নিয়ে জানাযার সালাতের স্থানে চার তাকবীর আদায় করলেন।
হাদীস নং ১২৫৩
মুহাম্মদ ইবনে সিনান রহ………….জাবির রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আবিসিনিয়ার বাদশাহ) আসহামা-নাজশীর জানাযা সালাত আদায় করলেন, তাঁতে তিনি চার তাকবীর বললেন। ইয়াযীদ ইবনে হারুন ও আবদুস সামাদ রহ. সালীম রহ. থেকে ‘আসহামা’ শব্দ বর্ণনা করেন।
হাদীস নং ১২৫৪
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার ও মুহাম্মদ ইবনে কাসীর রহ……..তালহা ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আউফ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (আবদুল্লাহ) ইবনে আব্বাস রা.-এর পিছনে জানাযার সালাত আদায় করলাম। তাঁতে তিনি সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করলেন এবং (সালাত শেষে) বললেন, (আমি এমন করলাম) যাতে সবাই জানতে পারে যে, তা (সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা) জানাযার সালাতে সুন্নাত ( একটি পদ্ধতি)।
হাদীস নং ১২৫৫
হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল রহ……..শাবী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে এমন এক সাহাবী বর্ণনা করেছেন, যিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংগে একটি পৃথক কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাদের ইমামতি করলেন এবং তাঁরা তাঁর পিছনে জানাযার সালাত আদায় করলেন। (রাবী বলেন) আমি শা’বী কে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবু আমর ! আপনার কাছে এ হাদীস কে বর্ণনা করেছেন ? তিনি বললেন, ইবনে আব্বাস রা.।
হাদীস নং ১২৫৬
মুহাম্মদ ইবনে ফাযল রহ…………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, কাল বর্ণের এক পুরুষ বা এক মহিলা মসজিদে ঝাড়ু দিত। সে মারা গেল। কিন্তু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মৃত্যু সংবাদ জানতে পারেননি। একদিন তার কথা উল্লেখ করে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এ লোকটির কি হল ? সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সে তো মারা গিয়েছে। তিনি বললেন : তোমরা আমাকে অবহিত করলে না কেন ? তাঁরা বললেন, সে ছিল এমন এমন (তার) ঘটনা উল্লেখ করলেন। রাবী বলেন, তাঁরা (যেন) তাকে খাট করে দেখলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : আমাকে তার কবর দেখিয়ে দাও। রাবী বলেন, তখন তিনি তার কবরের কাছে তাশরীফ এনে তার জন্য জানাযার সালাত আদায় করলেন।
হাদীস নং ১২৫৭
আয়্যাশ ও খলীফা রহ……….আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : বান্দাকে যখন তার কবরে রাখা হয় এবং তাকে পিছনে রেখে তার সাথীরা চলে যায় (এতটুকু দূরে যে) তখনও সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায়, এমন সময় তার কাছে দু’ জন ফেরেশতা এসে তাকে বসিয়ে দেন। এরপর তাঁরা প্রশ্ন করেন, এই যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সম্পর্কে তুমি কি বলতে ? তখন সে বলবে, আমি তো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। তখন তাকে বলা হবে, জাহান্নামে তোমার অবস্থানের জায়গাটি দেখে নাও, যার পরিবর্তে আল্লাহ পাক তোমার জন্য জান্নাতে একটি স্থান নির্ধারিত করেছেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : তখন সে দুটি স্থান একই সময় দেখতে পাবে। আর যারা কাফির বা মুনাফিক, তারা বলবে, তুমি নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। এরপর তার দু’ কানের মধ্যবর্তী স্থানে লোহার মুগুর দিয়ে এমন জোরে আঘাত করা হবে, এতে সে চিৎকার করে উঠবে, মানুষ ও জীন ব্যতীত তার আশেপাশের সকলেই তা শুনতে পাবে।
হাদীস নং ১২৫৮
মাহমুদ রহ………….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন মালাকুল মাওতকে মূসা আ.-এর কাছে পাঠানো হল। তিনি তাঁর কাছে আসলে, মূসা আ. তাকে চপেটাঘাত করলেন। (এতে তাঁর চোখ বেরিয়ে গেল)। তখন মালাকুল মাওত তাঁর প্রতিপালক এর দরবারে ফিরে গিয়ে বললেন, আমাকে এমন এক বান্দার কাছে পাঠিয়েছেন , যে মরতে চায় না। তখন আল্লাহ তাঁর চোখ ফিরিয়ে দিয়ে হুকুম করলেন, আবার গিয়ে তাকে বল, তিনি একটি ষাঁড়ের পিঠে তাঁর হাত রাখবেন, তখন তাঁর হাত যতটুকু আবৃত করবে, তার সম্পূর্ণ অংশের প্রতিটি পশমের বিনিময়ে তাকে এক বছর করে আয়ু দান করা হবে। মূসা আ. এ শুনে বললেন, হে আমার রব ! তারপর কি হবে ? আল্লাহ বললেন : তারপর মৃত্যু। মূসা আ. বললেন, তাহলে এখনই আমি প্রস্তুত। তখন তিনি একটি পাথর নিক্ষেপ করলে যতদূর যায় বাইতুল মুকাদ্দাসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাকে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলার কাছে আরয করলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : এখন আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পাথরের পাশে লাল বালুর টিলার নিকটে তাঁর কবর তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।