হাদীস নং ১২৩৯
মুসাদ্দাদ রহ………….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে নাজাশীর মৃত্যু সংবাদ শোনালেন, পরে তিনি সামনে অগ্রসর হলেন এবং সাহাবীগণ তাঁর পিছনে কাতারবদ্ধ হলে তিনি চার তাকবীরে (জানাযার সালাত) আদায় করলেন।
হাদীস নং ১২৪০
মুসলিম রহ………..শাবী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন এক সাহাবী যিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংগে উপস্থিত ছিলেন, তিনি আমাকে খবর দিয়েছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পৃথক কবরের কাছে গমন করলেন এবং লোকদের কাতারবদ্ধ করে চার তাকবীরের সংগে (জানাযার সালাত) আদায় করলেন। (শায়বানী রহ. বলন) আমি শা’বী রহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ হাদীস আপনাকে কে বর্ণনা করেছেন ? তিনি বললেন, ইবনে আব্বাস রা. ।
হাদীস নং ১২৪১
ইবরাহীম ইবনে মূসা রহ……….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : হাবশা দেশের একজন নেককার লোকের ওফাত হয়েছে, তোমরা এসো তাঁর জন্য (জানাযার) সালাত আদায় কর। রাবী বলেন, আমরা তখন কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (জানাযার) সালাত আদায় করলেন, আমরা ছিলাম কয়েক কাতার। আবু যুবাইর রহ. জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন, জাবির রা. বলেছেন, আমি দ্বিতীয় কাতারে ছিলাম।
হাদীস নং ১২৪২
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ…………ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক (ব্যক্তির) কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যাকে রাতের বেলা দাফন করা হয়েছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, একে কখন দাফন করা হল ? সাহাবীগণ বললেন, গত রাতে। তিনি বললেন, তোমরা আমাকে অবহিত করলে না কেন ? তাঁরা বললেন, আমরা তাকে রাতের আধাঁরে দাফন করেছিলাম, তাই আপনাকে জাগানো পছন্দ করিনি। তখন তিনি (সেখানে) দাঁড়িয়ে গেলেন। আমরাও তাঁর পিছনে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালাম। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আমিও তাদের মধ্যে ছিলাম। তিনি তাঁর (জানাযার) সালাত আদায় করলেন।
হাদীস নং ১২৪৩
সুলাইমান ইবনে হারব রহ……….শা’বী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন এক সাহাবী আমাকে খবর দিয়েছেন, যিনি তোমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংগে একটি পৃথক কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি (নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইমামতি করলেন, আমরা তাঁর পিছনে কাতার করলাম এবং সালাত আদায় করলাম। (শায়বানী রহ. বলেন) আমরা (শা’বীকে) জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবু আমর ! আপনাকে এ হাদীস কে বর্ণনা করেছেন ? তিনি বললেন, ইবনে আব্বাস রা.।
হাদীস নং ১২৪৪
আবু নুমান রহ………নাফি রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে উমর রা.-এর নিকট বর্ণনা করা হল যে, আবু হুরায়রা রা. বলে থাকেন, যিনি জানাযার অনুগমন করবেন তিনি এক কীরাত (পরিমাণ) সওয়াব পাবেন । তিনি বললেন, আবু হুরায়রা রা. আমাদের বেশী বেশী হাদীস শোনান। তবে আয়িশা রা. এ বিষয়ে আবু হুরায়রা রা.-কে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমিও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ হাদীস বলতে শুনেছি। ইবনে উমর রা. বললেন, তাহলে তো আমরা অনেক কীরাত (সওয়াব) হারিয়ে ফেলেছি। ‘ফাররাত্তু’ এর অর্থ আল্লাহর আদেশ আমি খুইয়ে ফেলেছি।
হাদীস নং ১২৪৫
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা, আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ও আহমদ ইবনে শাবীব ইবনে সাঈদ রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি মৃতের জন্য সালাত আদায় করা পর্যন্ত জানাযায় উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক কীরাত (সওয়াব) । আর যে ব্যক্তি মৃতের দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে তার জন্য দু’ কীরাত (সওয়াব) জিজ্ঞাসা করা হল দু’ কীরাত কি ? তিনি বললেন, দুটি বিশাল পর্বত সমতুল্য।
হাদীস নং ১২৪৬
ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম রহ………ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কবরের কাছে তাশরীফ আনেন। সাহাবাগণ বললেন, একে গত রাতে দাফন করা হয়েছে। তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করলেন।
হাদীস নং ১২৪৭
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আবিসিনিয়ার বাদশাহ) নাজাশীর মৃত্যুর দিনই আমাদের তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানান এবং ইরশাদ করেন : তোমরা তোমাদের ভাইয়ের (নাজাশীর) জন্য ইসতিগফার কর। আর ইবনে শিহাব সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব রহ. সূত্রে আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিয়ে মুসাল্লায় কাতার করলেন, এরপর চার তাকবীর আদায় করেন।
হাদীস নং ১২৪৮
ইবরাহীম ইবনে মুনযির রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে (খায়বারের) ইয়াহুদীরা তাদের এক পুরুষ ও এক স্ত্রীলোককে হাজির করল, যারা যিনা করেছিল। তখন তিনি তাদের উভয়কে (রজম করার) নির্দেশ দেন। মসজিদের পাশে জানাযার স্থানের কাছে তাদের দু’ জনকে রজম (পাথর নিক্ষেপ) করা হল।